খারাপ চিন্তার কুফল
খারাপ চিন্তার কুফল

খারাপ চিন্তা বা কুচিন্তা যে একটা মানুষকে কত নিচে নামাতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। খারাপ চিন্তার রয়েছে অনেক কুফল, এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানুন।

বেশি বেশি দুশ্চিন্তা বা টেনশন থেকেই খারাপ চিন্তার উৎপত্তি হয়ে থাকে। তাই নিজেকে সবসময় চিন্তা মুক্ত রাখুন। খারাপ চিন্তা তো করবেনই না সাথে যেকোনো দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখুন।

অতিরিক্ত ‘টেনশন’ বা উদ্বেগে ভোগা একধরনের সমস্যা। একে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ছোটখাটো সমস্যা তারা অনেক বড় করে দেখে এবং যেকোনো বিষয়ের নেতিবাচক দিকটাই তাদের সামনে চলে আসে। এরা ছোটখাটো চাপ মোকাবিলা করতে হিমশিম খায়, যা জীবনের স্বাভাবিক গুণগত মান নানাভাবে (কর্মদক্ষতা, পারস্পরিক সম্পর্ক, জীবন উপভোগ করা ইত্যাদি) কমিয়ে দেয়। (তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো)

একটু হতাশা আর হয়তো খানিকটা সমালোচনা, কিন্তু আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেসব প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তার সমস্ত সময়টা আপনার জীবনের অমূল্য অর্জন হয়ে থাকবে। এটি সত্য যে, হয়তো আপনি আপনার এই অর্জিত অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন পাবেন না সবার কাছে, কিন্তু জীবনে চলার প্রতিটি পদে এই অর্জিত অভিজ্ঞতা আপনার পাথেয় হয়ে থাকবে চিরকাল।

যেকোনো নেতিবাচক চিন্তা বা দুশ্চিন্তা একবার মাথায় ঢুকলে সেগুলো আরও নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আনে, যা শেষ পর্যন্ত হতোদ্যম করা ছাড়া কিছুই করে না। কাজেই প্রথম থেকেই কোনো নেতিবাচক চিন্তা এলে সেটা নিয়ে না ভেবে মন সঙ্গে সঙ্গে অন্যদিকে সরিয়ে ফেলুন বা নিজেকে অন্য কাজে নিয়োজিত করুন

খারাপ চিন্তার কিছু কুফল

০১। আত্মবিশ্বাস কমিয়ে ফেলে
০২। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়
০৩। মানসিক সমস্যা দেখা দেয়
০৪। সঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন না
০৫। অল্পতেই ভেঙ্গে পড়বেন
০৬। এত সহজেই সফল হতে পারবেন না
০৭। কারো কাছে পর্যাপ্ত সম্মান পাবেন না
০৮। ভালো ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন না
০৯। সুখী জীবন যাপন করতে পারবেন না
১০। সাধারণ মানুষের কাছে ভালোবাসা পাবেন না

খারাপ চিন্তা থেকে বাঁচার উপায়

০১। আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে কাজ করুন
০২। সবসময় সৎ ও সঠিক পথে চলুন
০৩। সৎ ও হালাল পথে ইনকাম করুন
০৪। সর্বদা সবাইকে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন
০৫। ভালো মানুষদের অনুসুরন করুন
০৬। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন
০৭। মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করুন
০৮। পজিটিভ কোন কাজে নিজেকে ব্যস্থ রাখুন
০৯। নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন
১০। বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here