আদর্শ ছাত্র হওয়ার উপায়
আদর্শ ছাত্র হওয়ার উপায়

আদর্শ ছাত্র সমাজ ও দেশের সম্পদ। নিজেকে সুখী রাখতে হলেও প্রয়োজন আদর্শ ছাত্র হওয়া। কিভাবে আদর্শ ছাত্র হওয়া যায় ও তার গুনাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে জানতে পারবেন।

ভালো ছাত্র হওয়ার উপায়

ভাল ছাত্র হবার সুবিধা অনেক। সেই সব সুবিধের কথা জানেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। তাই কথা না বাড়িয়ে চলে যাই কিভাবে ভাল ছাত্র যায়।

ডেইলি রুটিনঃ

সময়ের সাথে সবচাইতে বেশি সঙ্গতিপুর্ন হল প্রতিদিনের রুটিন। এই রুটিনের মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে সপ্তাহের সব দিনে টোটাল বিষয় সমুহ এসেছে কি না। যদি না আসে তবে সে অনুযায়ী সাজাতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের কাজ সপ্তাহেই শেষ করতে হবে। পাঠ্যসুচীতে যা কিছু আছে তার সবটাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রথম কাজ। যে ছাত্র একটি সুন্দর রুটিন মেনে চলে সে ভাল না হয়ে পারেনা। দিনের প্রত্যেক ক্ষুদ্রাংশকেও ভেঙ্গে সাজাতে হয়। প্রতি দশ মিনিটের জন্য একটি কাজ করা যেতে পারে আর তার রেজাল্ট মাসের শেষে মিলিয়ে দেখলে এমনিতেই ডেইলি রুটিনের গুরুত্ব বুঝা যাবে।

সময় পরিকল্পনাঃ

একটি দৈনিক রুটিনের মাঝে এমন ভাবে সময় প্ল্যান করতে হবে যেন বোরিং না আসে। পড়ার সময় খুব বেশি যেন না হয়। দিনে ৬ ঘন্টার বেশি পড়া উচিত না। বেশি পড়লেই ভাল হয় না। ভাল করে পড়লে কম পড়াই যথেষ্ট। তবে মেধানুসারে ৬ঘন্টা থেকে আরো বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখা উচিত সেই বাড়তি সময় যেন মনের উপর প্রভাব না ফেলে।

ডেইলি নোটঃ

যদি নোট করার অভ্যেস না থাকে তবে আজি তা আয়ত্ব করুন। নোট এমন একটি ব্যাপার যা না করলে কখনোই তেমন কিছু মনে রাখা সম্ভব নয়। যে কোন কঠিন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলেও একটি নোটের মাধ্যমে তা সহজ করে ফেলা যায়। জটিল বিষয়ের জটিল পয়েন্টসগুলো লিখে রাখাই উত্তম।

নিয়মিত ক্লাসঃ

ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকাটা আবশ্যক। প্রতিদিনের মত যদি ক্লাসে উপস্থিত না থাকা যায় তবে সেই অনুপস্থিত ক্লাসের পড়াটাও সংগ্রহ করা উচিত। শিক্ষকের সাথে একই সময়ে যে পাঠ চর্চা করা হয় তা সাথে সাথেই বোধগম্য হয়ে যায়। নিয়মিত ক্লাস করার সুবিধা অনেক।

পড়া পড়া এবং লেখাঃ

পড়ার কোন বিলল্প নেই। তবে তা কেবল না বুঝে পড়াই নয়, বুঝে শুনে পড়া। কোন কিছু মগজে না ঢুকতে চাইলে তা লিখে ফেলা উচিত। লিখতে গেলে বিষয়টা খুব ভাল ভাবে মনে থাকে। তাই প্রথম চেষ্টা হচ্ছে পড়া, তার পরের চেষ্টাও পড়া এবং সবশেষে লিখে চেষ্টা করা। এছাড়াও যদি বিষয়টি পড়া শেষ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন কতে লিখে দেখা যেতে পারে যে অই বিষয়টি আসলেই আয়ত্ব হয়েছে কি না।

সহায়ক গ্রন্থের পাঠ বাড়ানোঃ

যে কোন পাঠের বিস্তারিত পাঠ্যবইয়ে না থাকাটা স্বাভাবিক। এর বিস্তারিত জানার জন্যে সহায়ক বইয়ের সাহায্য নেয়া উচিত। যেমন বিজ্ঞান বিষয়ে অন্য অনেক সহায়ক গ্রন্থ আছে যা থেকে সেই বিষয়ে আরো অনেক জ্ঞান অর্জন করা।

লক্ষ্য ঠিক করাঃ

ভালো স্টুডেন্টদের মূল্যায়ন সব জায়গাতেই হয় এবং এরা অনেক সুযোগ পেয়ে থাকেন জীবনের সফলতা অর্জনে। আপনি যদি একজর ভালো স্টুডেন্ট হতে চান তাহলে আবশ্যই আপনার জীবনের একটি লক্ষ্য তৈরি করুন। কোন পথে ঠিক কিভাবে এগোবেন সেই বিষয়ে ভাবুন। একটা গতিপথ তৈরি করুন।

অধ্যবসায় করাঃ

ভালো স্টুডেন্ট হতে হলে আপনাকে অধ্যবসায় করতে হবে। জীবনের লক্ষ্য অনুযায়ী এগুতে গিয়ে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন রয়েছে। ছাত্রজীবনের অধ্যবসায় আপনাকে জীবনে সফলতা এনে দেবে। কঠিন অধ্যবসায়ই আপনাকে একজন ভালো স্টুডেন্ট তৈরি হতে সহায়তা করবে।

রুটিন করুনঃ

আপনি ছাত্রজীবনে যে ধরনের কাজ করছেন তার একটি সুনির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। রুটিনে পড়াশুনা এবং অন্যান্য কাজের সময়গুলো হিসেব করে ভাগ করে নিন। রুটিনটিতে পড়ার সময়টুকু অবশ্যই বেশি রাখবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে যান। এতে করে দেখবেন ফলাফল ইতিবাচক আসবেই।

লাইব্রেরী ওয়ার্ক করুনঃ

ভালো স্টুডেন্টরা লাইব্রেরী ওয়ার্ক করতে পছন্দ করেন বেশি। লাইব্রেরী ওয়ার্ক করলে খুব সহজেই কঠিন বস্তুকে আয়ত্ব করা যায়। এ কারণে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বাছাই করে আপনি ঐ সময়টাতে লাইব্রেরী ওয়ার্ক করুন। দেখবেন ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ওঠা খুবই
সহজ হয়ে যাবে।

খারাপ বন্ধু ত্যাগ করুনঃ

ভালো স্টুডেন্ট হতে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল খারাপ বন্ধুগুলোকে ত্যাগ করতে হবে। খারাপ বন্ধু থাকলে আপনার সময়গুলো খুবই বাজেভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। পড়াশুনা করতে পারবেন না,এমনকি মাদকাসক্ত হয়ে পড়তে পারেন। এ কারণে ভালোভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ আনতে আপনি আপনার বন্ধুচক্র থেকে খারাপ বন্ধুদের বাদ দিয়ে দিন প্রয়োজনে কিছু ভালো বন্ধু যোগ করুন।

স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে

একজন ভালো ছাত্র হতে হলে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি ।শরীরের ভালো থাকলে মন ভালো থাকবে আর মন ভালো থাকলে পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়া যাবে । তাই প্রতিদিন অত্যন্ত ৭-৮ঘন্টা ঘুমাতে হবে; সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে ।তাছাড়া কিছু সময়ের ব্যায়াম বা খেলাধুলা বা বেড়ানো মনকে রাখবে চাঙ্গা ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here