রাত জেগে কাজ করলে কী খাবেন
রাত জেগে কাজ করলে কী খাবেন

রাত জেগে কাজ করলে কি খাওয়া উচিত, যদি না জানেন? তাহলে আপনি সঠিক জাইগায় এসেছেন। এখানে আপনি জানতে পারবেন রাত জেগে কাজ করলে কি কি খাওয়া প্রয়োজন।

রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে একদেশের কাজের জন্য অন্যদেশের দক্ষ লোকদের নিয়োগ দেওয়া যায় খুব সহজেই। যা ফ্রীলান্সিং নামে পরিচিত। বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখের ও বেশি মানুষ ফ্রীলান্সিং করছে।

আর যেহেতু এইটা বিভিন্ন দেশের সাথে কাজ করতে হয় বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রলিয়ার মতো প্রথম বিশ্বের দেশ গুলোর সাথে, তাই ক্লায়েন্টদের সাথে সময় ব্যবস্থা করতে গিয়ে রাত জাগতে হয়। সবাই যে রাত জাগে তা কিন্ত নয়, তবে অধিকাংশ ফ্রীলান্সার রাত জেগে কাজ করতে পছন্দ করে ও অভ্যাস হয়ে গেছে। আবার অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য রাত জাগে এবং কিছু ছাত্র ছাত্রী আছে পড়াশুনা রাত জেগে করে।

মাত্রাতিরিক্ত রাত জাগা ঠিক না, অসুস্থ্য হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে যারা রাত জেগে কাজ করতেই হবে, তাদের উচিত কিছু খাবার রাখা। অর্থাৎ রাত জেগে যে কাজই করেন না কেন, আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার খাওয়ার প্রয়োজন। এতে করে শরীর সাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে যথেষ্ট শক্তি পাবেন এবং কাজে মনোযোগ চলে আসবে।

রাত জেগে কাজ করলে কি খাওয়া উচিত

০১। বিশুদ্ধ পানি

বেশি পরিশ্রম করলে শরীর দুর্বল হয়ে পরে, দেহ থেকে ঘাম বের হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এইজন্য সবচেয়ে প্রধান কাজ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি পান করা। অর্থাৎ কাজ শুরু করার শুরুতেই ১ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এবং যখন শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিবে, সাথে সাথে ১ গ্লাস পানি খাওয়া দরকার। এতে করে শরীর সুস্থ্য ও সতেজ থাকবে এবং কাজে মন বসবে।

০২। ঘি

ঘি খুব রুচিশীল খাবার এবং এটি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, রাত জাগলে শরীরে শুষ্ক ভাব দেখা দেয়। কাজে যাওয়ার আগে এক চামচ ঘি খেতে পারেন। এতে শরীরের শুষ্ক ভাব আসবে না এবং শরীরে ভারসাম্য ঠিক থাকবে। তবে কোলেস্টেরলের বিষয়টি যাঁদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এইজন্য প্রয়োজন হলে ভালো ও বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে ঘি এর পরিবর্তে দই ও খেতে পারেন।

০৩। বাদাম

বাদামে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই বাদাম এনে রাখবেন এবং কাজের ফাঁকে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এর ফলে অনেক উপকার পাবেন, ও যথেষ্ট এনার্জি বাড়বে। প্রতি ১০০ গ্রাম কাজুবাদামে ৩০.১৯ গ্রাম শর্করা, ১৮.২২ গ্রাম আমিষ, ৪৩.৮৫ গ্রাম চর্বি থাকে। কাজুবাদামে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে। এখন থেকে রাতের জন্য কিছু বাদাম এনে রাখবেন, এবং কাজের মাঝে ১/২ টা খেলে ঘুম ও আসবে না।

০৪। খেজুর

খেজুরে রয়েছে অনেক উপকারিতা। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিষ্কার ও তাজা খেজুর ফলে ভিটামিন-সি রয়েছে যা থেকে ২৩০ ক্যালরী (৯৬০ জুল) শক্তি উৎপাদন করে। খেজুরে স্বল্প পরিমাণে পানি থাকে যা শুকানো অবস্থায় তেমন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এ প্রক্রিয়ার ফলে সঞ্চিত ভিটামিন সি খাদ্য উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিদিন সকালে ২/৩ টা করে খেজুর খেতে পারলে, ভালো ফল পাওয়া যা। যা শরীর স্বাস্থ্য উপযুক্ত রাখার জন্য যতেষ্ট ভূমিকা রাখে। খেজুর অত্যন্ত সুস্থাদু, স্বাস্থ্যকর ও রুচিশীল একটি ফল। শরীরে শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ও ওজন বারাতেও সহায়তা করে।

খেজুর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে, এখানে ক্লিক করুন!

০৫। সতেজ ফল

যাঁরা রাতে কাজ করেন, তাঁদের প্রচুর সতেজ ফল ও সবজি খাওয়া উচিত। সবচেয়ে উপকারী ও কার্যকরী খাবার হচ্ছে সতেজ ফল। যেমনঃ আপেল, কমলা লেবু, পেয়ারা, আঙুর, কলা ইত্যাদি। সতেজ ফলের অসাধারণ উপকারিতা রয়েছে। বেশি রাত পর্যন্ত সজাগ থাকলে সতেজ ফলের জুস খেতে পারেন। এটি শরীরে অনেক পুষ্টি যোগাবে। এবং রাত জাগার ফলে যে ক্ষতি হয়, সেইটা পূরণ করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।

আরও জানুন –

রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কুফল জেনে নিন

পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর সহজ ৫টি উপায়

সকালে খালি পেটে কি খাবেন ও কি খাবেন না

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here