ব্যবসায়ের প্রধান উদ্দেশ্য
ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য

সাধারণত মুনাফা অর্জন বা অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে মানুষ ব্যবসায় করে। কিন্ত বর্তমানে শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনকে ব্যবসায়ের একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে গণ্য করা হয় না। যদি এই উদ্দেশ্যই ব্যবসায় পরিচালনা করেন, তাহলে বেশি দূর যেতে পারবেন না।

কারণ ব্যবসায় একটি সামাজিক প্রক্রিয়া। তাই সমাজের মানুষের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণের মধ্যেই ব্যবসায়ের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। দেশ, কাল ও জাতিবেদে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যও বহুবিধ এবং বৈচিত্র্যমন্ডিত। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক পর্যায়ের কতিপয় উদ্দেশ্য অর্জনের প্রচেষ্টাও থাকা উচিত।

মূলত একটা প্রকৃত ব্যবসায়ের অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবিক ও জাতীয় উদ্দেশ্য থাকে। তবে এই আর্টিকেল বিস্তারিতভাবে জানবো ব্যবসায়ের মানবিক উদ্দেশ্য গুলো কি হওয়া উচিত। অন্যান্য উদ্দেশ্য মতো মানবিক উদ্দেশ্যও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইহা মানব সেবার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ছাড়া আর কিছুই নয়। এর বাহিরে গেলে অসাধু ব্যবসায় হিসেবে গণ্য করা হয়।

ব্যবসায়ের মানবিক উদ্দেশ্য গুলো হচ্ছেঃ –

০১। সঠিক পারিশ্রমিক প্রদানঃ

শ্রমিককে তার কাজের জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। আই পারিশ্রমিক সঠিক ও ন্যায়ভিত্তিক হচ্ছে কিনা, সেগুলো ভালোভাবে খেয়াল করা উচিত। ঠিকমতো মজুরি প্রদান করা না হলে শ্রমিকরা ভালোভাবে কাজ করে না। তাই ব্যবসায়ীকেও সঠিক মজুরি ও বোনাস দিয়ে শ্রমিকদেরকে কাজ করতে সাহায্য করে।

০২। মানব সম্পদ উন্নয়নঃ

ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো মানব সম্পদ সৃষ্টি করা। ব্যবসায়িক কারনে শ্রমিক – কর্মচারীদের উৎপাদন কৌশল, বাজার দক্ষতা অর্জন, সময়, অর্থ ও মেধার ব্যবহার, শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতা ইত্যাদি অর্জন করে। ফলে মানব সম্পদের উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটে।

০৩। সম্পর্ক সৃষ্টিঃ

ব্যবসায়িক কারনে শ্রমিক ও মালিক সম্পর্ক, ক্রেতা ও বিক্রেতা সম্পর্ক, ব্যবসায়ী ও জনগনের মধ্যে সম্পর্ক, আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের সাথে সম্পর্ক ও মৈত্রী সৃষ্টি হয় যা মানব সম্পর্কে উন্নত করে

০৪। শ্রমিক কল্যাণঃ

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করে। তাদেরকে নায্য মজ্জরি দেয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের ও বিনোদনের সুযোগ দেয়। ফলে শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত হয়।

০৫। চাকরীর নিরাপত্তাঃ

ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য শ্রমিক – কর্মচারীদের চাকরীর নিরাপত্তা দরকার হয়। বর্তমান যুগের ব্যবসায়ীরা এই বিষয়টি ভালোভাবে বোঝে। তাই পুরনো দিনের মতো শ্রমিকদেরকে কথায় কথায় চাওক্রির হারানোর ভয় দেখানো হয় না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here