SEO তে ক্যারিয়ার
SEO তে ক্যারিয়ার

বর্তমানে SEO (এসইও) তে ক্যারিয়ার কেমন এবং এসইও শিখে আয় করার উপায় গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত, কার্যকারী ও সহায়ক তথ্য জানতে পারবেন এই আর্টিকেল। জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

SEO তে ক্যারিয়ার

ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও কে বেঁচে নিবেন? এইটা কি আধৌ ভালো ডিসিশন হবে আপনার জন্য? ভবিষ্যতে কি এইটার ভ্যালু থাকবে? চাকরির ক্ষেত্র কেমন আছে বাংলাদেশে বা বিশ্বে? কোথায় কোথায় চাকরি করা বা কাজ করা যাবে। কেমন ইনকাম করা যায় এসইও এক্সাপার্ট হয়ে। এইরকম অনেক প্রশ্নই আপনার মনে থাকতে পারে।

আসলে, এক কথায় যদি বলি – এসইও এক্সপার্টদের বর্তমানে অনেক ভ্যালু রয়েছে। একজন দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারের কাজের ক্ষেত্রের অভাব নেই দেশে বা বিশ্বে বলেন। আপনি চাইলে অনলাইনে ও কাজ করতে পারেন অথবা অফলাইনে কোন কোম্পানির সাথে ও কাজ করতে পারেন। তারজন্য অবশ্যই আপনাকে এসইও এক্সপার্ট হতে হবে এবং এ টো জেড জানা উচিত। বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময় এবং কাজের ধরনের এই পরিবর্তনে যুগোপযোগি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তাদের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার বলা হয় বা এসইও এক্সপার্ট বলা হয়।

বাংলাদেশেই হাজার হাজার তরুণ তরুণী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসেবে প্রতি মাসেই শত শত ডলার আয় করছে। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন, অন্য কোন দেশের সাথেও সরাসরি ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন অনালাইনে। হাঁ ভবিষ্যতেও এইটার ভ্যালু থাকবে। যতদিন ওয়েবসাইট থাকবে, ইন্টারনেট থাকবে, ফেইসবুক, ইউটিউব থাকবে ঠিক ততদিন এসইও এর দরকার হবে, ততদিন এসইও এর কাজ পাওয়া যাবে।

আপওয়ার্ক এ দেখা গেছে সবসময়ই সাইটটিতে প্রায় ৭/৮ হাজারের অধিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটিতেও প্রায় দুই হাজারের অধিক প্রজেক্ট রয়েছে। এগুলো ঘন্টাচুক্তিতে বা ফিক্সড প্রাইসে করা যায়। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে সম্ভব হলে লোকাল মার্কেটের কিছু কাজ করে নিজস্ব ব্র্যান্ডিং ভ্যালু বাড়ানো উচিত। এতে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে। লোকাল বড় বড় কোম্পানি আপনাকে হায়ার করে নিবে যখন অনেক এক্সপিরিয়েন্স হবে।

এসইও শিখে আয় করার উপায়

এসইও শিখে কি করবেন, এইটা এত কষ্ট করে শিখে লাভ কি হবে? আপনি কি কি ধরনের কাজ করতে পারবেন? সহজ ভাষায় যদি বলি, এসইও শিখে কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন? আপনার অনলাইন কোন বিজনেস থাকলে, সেইটাকে আরও উন্নত করতে পারবেন, এসইও দ্বারা বিজনেসের সেল বাড়াতে পারবেন। Anything online that actually require traffic, online a website, blogging, e-commerce website, affiliate marketing etc. বিস্তারিত জেনে নিন, এসইও শিখার পর কি ধরনের কাজ করতে পারবেন।

০১। আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেনঃ

হাঁ, আপনি চাইলে নিজের একটা ব্যবসা অনলাইনে করতে পারবেন এসইও শিখার পর। অফলাইনে তো হাজার হাজার বিজনেস দেখছেন প্রতিষ্ঠা হতে। তবে বর্তমানে অনলাইনে ও অনেক বিজনেস দিন দিন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। অনেকেই ই কমার্স বিজনেস করছে, আপনি ও চাইলে করতে পারবেন। এসইও জানা থাকলে খুব ভালো ভাবে মার্কেট ধরতে পারবেন এবং নিজের ব্যবসাকে প্রমোট করতে পারবেন। নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকলে সেখানেও যেকোনো সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারবেন।

০২। এসইও শিখে আপনি ব্লগিং করতে পারবেনঃ

এসইও শিখে আপনি বিভিন্ন ধরনের সিংগেল নিস সাইট বা মাল্টি নিস সাইট তৈরি করতে পারবেন। এককথায় যাকে আমরা ব্লগিং করি। হাঁ ব্লগিং করে বর্তমানে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে দক্ষ এসইও এক্সপার্টরা। ওয়েবসাইটে বিভিন ধরনের ইনফোরমেটিভ ও কার্যকরী তথ্য দিয়ে বা যেকোনো ধরনের সেবা দিয়ে শুরু করতে পারবেন আপনার নিজস্ব ব্লগিং সাইট। সেখান থেকে অ্যাডসেন্সে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং এ ট্রাফিক নিয়ে আসতে হলে অবশ্যই সবগুলো কন্টেন্টকে এসইও করতে হবে। আর ট্রাফিক পর্যাপ্ত হলে অ্যাডসেন্স ছাড়াও আরও অনেক উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটের টার্গেট হয় লোকাল তাহলে লোকাল কোন কোম্পানির অ্যাড দিয়ে ও ইনকাম করতে পারবেন। যদি গ্লোবালি ওয়েবসাইট বানান, তাহলে অ্যাডসেন্স দিয়ে অনেক ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে মিডিয়া.নেট তবে তার জন্য অবশ্যই প্রথম বিশ্বের দেশ গুলোতে থেকে ট্রাফিক আনতে হবে। আর এইজন্য়ই আপনার ভালো ভাবে জানা উচিত এসইও।

০৩। এসইও এর সার্ভিস দিতে পারবেনঃ

আপনি এসইও এক্সপার্ট, ইনকামের কথা ভাবছেন? এসইও শিখে টাকা ইনকাম করার অন্যতম উপায় হচ্ছে। এসইও এর সার্ভিস দেওয়া। ঘরে বসে অনলাইনে এখন সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এসইও এর সার্ভিস গুলো দিতে পারবেন। তাছাড়া লোকাল কোম্পানি তো আছেই। আপনি চাইলে প্রজেক্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন, চাইলে অফিসে গিয়ে সার্ভিসেস দিতে পারবেন। এখন হইতো বলবেন, এসইও শিখে কি কি সার্ভিস দেওয়া যায়।

কোম্পানির প্রয়োজন অনুযায়ী, নিস আইডিয়া দিতে পারবেন, কীওয়ার্ড রির্সাচ করে দিতে পারবেন, কোম্পিটিটর এনালাইসিস করে দিতে পারবেন, তাছাড়া সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে অন পেইজ এসইও , অফ পেইজ এসইও, বা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট এর অডিট করে দিতে পারেন। বিস্তাতি আরও জানতে পারবেন, যখন এসইও এক্সপার্ট হয়ে যাবেন। শুধু লেগে থাকেন, গুগল ইউটিউবে রির্সাচ করেন আপডেট থাকেন নিয়মিত।

০৪। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেনঃ

এসই শিখে আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারবেন, যেইটা আমরা ফ্রীলাঞ্চিং বলে থাকে। জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট প্লেস হচ্ছে, আপওয়ার্ক, ফ্রীলান্সার, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার সহ আরও অনেক অনলাইনে মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেখানে আপনি এসইও এর বিভিন্ন সার্ভিসেস দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে কাজ শিখে মার্কেটপ্লেস গুলোতে যেতে হবে। সেখানে যারা কাজ করে তারা অনেক এক্সপার্ট, তাছাড়া যেহেতু আপনার আমার মতো আরও হাজার হাজার এসইও এক্সপার্ট কাজ করবে, তাই কাজ পাওয়াটাও একটু কঠিন হয়ে পরবে। তবে যতদিন যাবে ঠিক অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে তত কাজ পাবেন। তারজন্য কাজ করে লেগে থাকতে হবে, রির্সাচ করতে হবে। অন্যরা কিভাবে কাজ নিচ্ছে ক্লায়েন্ট থেকে সেগুল ভালোভাবে এনালাইসি করতে হবে।

০৫। কোন লোকাল কোম্পানিতে জব করতে পারবেনঃ

এসইও এক্সপার্ট হয়ে লোকাল কোন কোম্পানির সাথে সরাসরি কাজ করতে পারেন। তাদের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য আপনাকে হায়ার করবে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর কাজ পাওয়া যাচ্ছে এসইও এক্সপার্টদের, নির্দিষ্ট কোন সালারি দিয়ে হায়ার করছে এসইও এক্সপার্টদের। অথবা আপনি প্রজেক্ট আকারেও কাজ করতে পারবেন। এই নিশ্চিত রাখেন যে এসইও নিয়ে আগামিতে আমাদের দেশের অনেক জনপ্রিয় জব হবে। তাহলে কেনই বা এসইও শিখবেন না। যারা জব পছন্দ করেন তারাও কাজ করতে পারবেন।

০৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেনঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু জানেন কি? অনেক মানুষ রয়েছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। সহজ করে স্বল্প ভাষায় বলি, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে – আপনার ওয়েবসাইট দ্বারা তাদের কোন প্রোডাক্ট সেল করে দিবেন। অর্থাৎ আপনার যদি একটা নিস ওয়েবসাইট থাকে বা তৈরি করেন এবং সেখানে অ্যামাজনের কোন প্রোডাক্টের রিলেটেড কন্টেন্ট দেন, এবং পর্যাপ্ত টার্গেটেড ট্রাফিক নিয়ে আসেন তারপর তারা যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনার জন্য অ্যামাজন ওয়েবসাইট যায় এবং আপনার রেফারেন্সে কোন কাস্টমার যদি অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনে, তাহলে অ্যামাজন আপনাকে কিছু কমিশন দিবে এইটাই হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যেকোনো ইকমার্সের সাথে করতে পারবেন। তাদের পণ্য সেল করে দিবেন তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট একটা কমিশন পাবেন।

০৭। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেনঃ

ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার অন্যতম উপায় হচ্ছে কন্টেন্ট, অর্থাৎ ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কন্টেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। কন্টেন্ট কি? একটা ওয়েবসাইট আমরা যা দেখি সবগুল এক একটি কন্টেন্ট। যেমনঃ ইমেজ, ভিডিও, আর্টিকেল, ইত্যাদি হচ্ছে কন্টেন্ট। আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এসইও জানতে হবে।

অর্থাৎ গুগলে রাঙ্ক করার জন্য এবং ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং করতে হবে। বর্তমানে এসইও ফ্রেন্ডলি রাইটিং এর জন্য অনেক বড় বড় কোম্পানি দক্ষ রাইটার খুঁজে। এসইও এর সাথে রাইটিং এর সামঞ্জস্য থাকলে ও অনেকেই এসইও এবং এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট রাইটিংকে আলাদা আলাদা পেশা হিসেবে নিয়ে থাকে। আবার অনেকেই একসাথে কাজ করে। আপনি যদি ইংলিশে দক্ষ থাকেন এবং লেখা লিখি করার অভ্যাস থাকে, তাহলে এই পেশাটাকে নিয়ে পারেন। এসইও শিখতে হবে প্রথমে তারপর এসইও ফ্রেন্ডলি রাইটিং এ এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।

মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনেক কাজ পাওয়া যায় রাইটিং এর। অনেকেই ১০০০ শব্দের জন্য ১০০০ টাকা নিয়ে থাকে আবার হাই কোয়ালিটি রাইটাররা ১০০০ শব্দের জন্য ১৫০০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এছাড়াও বর্তমানে বাংলা ওয়েবসাইট বারার কারনে বাংলা রাইটিং এর ও প্রয়োজন পড়ে দেশে। এক কথায়, আপনাকে আগে এসইও জানতে হবে তারপর এসইও ফ্রেন্ডলি রাইটিং করতে পারবেন।

০৮। কোন আপস এর এসইও সেবা দিতে পারবেনঃ

আপস ছাড়া মোবাইল অচল আমরা সবাই জানি, বর্তমানে আপস এর জনপ্রিয়তা অনেক যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এপস প্রমোশনের জন্য আপনি কাজ করে দিতে পারবেন।

০৯। অনলাইনে সবকিছুতে যেখান ভিজিটর প্রয়োজন, সেখানেই কাজ করতে পারবেনঃ

অনালাইনে যেসব সাইটে ভিজিটর দরকার হবে, সেসব সাইটেই কাজ করতে পারবেন। ইকমার্স ওয়েবসাইট এর সেল বাড়িয়ে দিতে পারেন এসইও করে। এছাড়াও যেকোনো ওয়েবসাইটের কাজ করতে পারবেন, প্রমোশনের জন্য অবশ্যই আপনাকে হায়ার করবে, যদি এক্সপার্ট হন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here