বিভিন্ন রোগের লক্ষণসমূহ
বিভিন্ন রোগের লক্ষণসমূহ

০১। সর্দি ও কাশিঃ

লক্ষণঃ

নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, গলা খুসখুস করা, জোর কাশি, গা- হাত পা কামড়ানো, বুক ব্যথা প্রভৃতি এই রোগের প্রধান লক্ষণ। ঠাণ্ডা লাগা, পানিতে ভেজা, বাতাস লেগে ঘাম গায়ে শুকানো, হঠাৎ করে গরম থেকে ঠাণ্ডাবা ঠাণ্ডা থেকে গরম হয়ে যাওয়া আই রোগের লক্ষণ।

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ

১) বাসক পাতা ১০ গ্রাম, তুলসী মঞ্জরী ১০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম পানিতে ফুটিয়ে ১০০ গ্রাম হলে নামাতে হবে। ছেঁকে নিয়ে ৪ চাপচ মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খেতে হবে ৫ দিন।
২) বাসকপাতা ৪ গ্রাম, তুলসীপাতা ৪ গ্রাম, তেজপাতা ৩ গ্রাম, পিপুল ৩ গ্রাম

০২। সাধারন জ্বরঃ

লক্ষণঃ

ঠাণ্ডা লাগা, হঠাৎ ঘাম বন্ধ হওয়া, অত্যাধিক পরিশ্রম করা, আঘাত লাগা, রাত্রি জাগা, গোসল ও খাওয়ার অনিয়ম এবং হঠাৎ ঋতু পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে এই জ্বর হয়। প্রথমে শীত কাপুনি ও গা ব্যথা সহ জ্বর দেখা দেয়। কখনো শীত, কখনো গরম, গা জ্বালা, অস্তিরতা, পিপাসা, মাথা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা উদরাময়, নাড়ী দ্রুত চলা, ঘনঘন শ্বাসপ্রশ্বাস, অরুচি, ময়লা জিব্বা প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ।

চিকিৎসাঃ

৫ গ্রাম শিউলি পাতার রস, ৫ গ্রাম তুলসী পাতার রস, ১ চামচ মধুসহ সামান্য মকরধ্বজ মিলিয়ে খেতে হবে দিনে তিনবার করে তিন দিন।
পথ্যঃ ডাল বা সজি দিয়ে আটার রুটি এবং দুধ খেতে হবে।

০৩। ম্যালেরিয়া জ্বরঃ

লক্ষণঃ

হঠাৎ করে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে আবার হঠাৎ করে ছাড়ে। শরীর ব্যথা, মাথা দপদপ করা, তৃষ্ণা, কখনো কাশি, কখনো প্রচণ্ড ঘাম প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়। অ্যানোফিলিস নামক মশার কামড়ে এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে।

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ

১০ গ্রাম চিরতা, ১০ গ্রাম গুলঞ্জ, ১০ গ্রাম কটকী, ১০ গ্রাম তুলসীপাতা ও ৫ গ্রাম বাসকপাতা ১ কেজি পানিতে সেদ্ধ করতে হবে। ২০০ গ্রাম হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে রেখে দিতে হবে। রোজ সকাল ও সন্ধায় আধকাপ করে মধু মিশিয়ে ৭ দিন খাওয়াতে হবে।

পরামর্শঃ জ্বর না থাকলে ভাত না খাওয়াই উচিত, রুটি খাওয়া ভালো।

০৪। টাইফয়েডঃ

লক্ষণঃ

এই জ্বর সাধারনত ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। প্রথমে শীতবোধ, দুর্বলতা, পেটফাঁপা, সামান্য চাপ দিলে পেতে ব্যথা, বমি, মাথা যন্ত্রণা অস্তিরতা, চমকে ওঠা, মুত্র লাল ও অল্প হওয়া। বুক ও পেটের ওপর এবং পিঠে লাল দাগ বা ফুস্করি দেখা দেয়। রোগের প্রথম ৫/৬ দিন বিকাল বেলা শরীরের তাপ ১০০ থেকে ১০২ পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং সকাল বেলা আরু কম হয়ে থাকে। ৭/৮ দিন পরে শরীরের তাপ ১০৩ থেকে ১০৪ পর্যন্ত হয়ে। জিভ প্রথমে সরস পরে অপরিষ্কার ও লালচে। রক্তস্রাব, বাক শক্তিহীনতা, প্রলাপ প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ।

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ

শিউলি পাতার রস ২ চামচ কালমেঘ পাতার রস ১ চামচ, নিম পাতার রস ১ চামচ, সামান্য বিটলবণ এবং মকরধ্বজ একত্রে মিশিয়ে দেন দুই বার করে খেতে হবে।
পথ্যঃ আটার রুটি দুধ, বিভিন্ন ফল খাওয়া উচিত। টক জাতীয় খাবার খাওয়া নিষেধ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here