সফল ব্যবসায়ীর গুন
সফল ব্যবসায়ীর গুণাবলী

একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করা সহজ। কিন্ত প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে সাফল্য অর্জন করা খুবই কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ। কারন বর্তমান প্রতিযোগিতায়মূলক বাজারে ব্যবসায় হলো একটি দক্ষতার খেলা।

একজন ব্যবসায়ী কতটুকু দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারছে তার উপরই এর সাফল্য নির্ভর করে। একমাত্র উত্তম ব্যবসায়ীই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সার্থকভাবে চালাতে পারে।

নিম্নে একজন ব্যবসায়ীর যে সকল গুণ থাকা উচিত সেগুল আলোচনা করা হলোঃ

০১। সততা ও নিষ্ঠাঃ

ব্যবসায়ের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার উপর। কারণ একজন ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সর্বদা লেনদেন, যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলতে হয়। সততা ও নিষ্ঠা থাকলে সকল পক্ষের সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও সুনাম অর্জন করা সম্ভব হয়। তাই একজন ব্যবসায়ীর কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে।

০২। সময়ানুবর্তিতাঃ

ব্যবসায়ীদের জন্য সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। কথায় আছে, “Time and tide wait for none.” আর এ জন্নই সময়ে সঠিক কাজটি তাকে অবশ্যই করতে হবে। সময়ানুবর্তিতা ব্যবসায়ীর অমূল্য সম্পদ।

০৩। যথেষ্ট কৌশলী হতে হবেঃ

অবস্থা অনুযায়ী কি করা বা বলা উচিত তা বুঝতে পারার সূক্ষন শক্তিকে কৌশল বলা হয়। ব্যবসায়ীকে ত্রিমুখী কাজ চালাতে হয়। একদিকে ভোক্তা সাধারণ, অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ী এবং আর একদিকে সরকার বা সরকারি নীতি। একজন ব্যবসায়ীকে অবশ্যই সর্বদা এ সকল পক্ষের সঙ্গে মিল রেখে চলতে হয়। আর একেই বলে কৌশল। তাই ব্যবসায়ীকে অবশ্যই একজন কৌশলী হতে হবে।

০৪। শারীরিক ও মানসিক শক্তিঃ

প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে শারীরিক ও মানসিক শক্তির অধিকারী হতে হবে। প্রথমতঃ তাকে অধিক পরিশ্রম করার শারীরিক শক্তির অধিকারী হতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ব্যবসায়ীকে আর্থিক ঝুঁকির অন্যান্য বাধা বিপত্তি উত্তরণের মানসিক শক্তি রাখতে হবে। সুতরাং ব্যবসায়ের সফলতা অর্জনের জন্য অবশ্যই প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি অধিকারী হতে হবে।

০৫। শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাঃ

বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আধুনিক ব্যবসায়ী জগত খুবই জটিল প্রকৃতির। এরূপ অবস্থায় একজন ব্যবসায়ীকে সঠিকপথে পরিচালনার জন্য তার সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবসায়ী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন। তাছাড়া ব্যবসায় পরিচালনায় বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকা অতিরিক্ত গুণাবলী হিসেবে গণ্য হবে।

০৬। ধৈর্য ও কষ্ট সহিষ্ণুতাঃ

বর্তমান ব্যবসায় জগত প্রতিযোগিতায় পূর্ণ। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়ীকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন মানুষ ও পরিবেশের সঙ্গে মিশতে হয়। ঝুঁকি ও লোকসানের কথাও সর্বদা মনে রাখতে হয়। একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে অবশ্যই ধৈর্য ও কষ্ট সহিষ্ণুতা থাকতে হবে।

০৭। সেবার মনোভাবঃ

আমরা জানি ব্যবসায়ের মুখ্য উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন। তবে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি তার সেবার মনোভাব ও থাকতে হবে। এ ধরনের কাজগুলো হল ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ, পণ্যে ভেজাল না মেশানো, পণ্যের কিতিম সঙ্কট সৃষ্টি না করা এবং সর্বোপরি সামাজিক দায়িতভ পালন করা। এরূপ সেবার মনোভাব তাকে সুনাম অর্জনের সহায়তা করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here