মোটা হতে চান? নিজেকে আরও স্বাস্থ্যবান বানাতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এখানে আপনি জানতে পারবেন মোটা হওয়ার ৭টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে। যথেষ্ট বিস্তারিত তথ্যের সাথে আপনার প্রয়োজনীয় উপায় গুলো খুব সহজেই জানতে পারবেন।
মোটা হওয়ার ৭টি উপায়
০১। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
০২। সকালে কিচমিচ ও রাতে খেজুর খান।
০৩। ওজন কমানো খাবার কমিয়ে দেন।
০৪। নিয়মিত ব্যায়াম বা জিম করুন।
০৫। নিজেকে সর্বদা স্টেস মুক্ত রাখুন।
০৬। মেটাবলিজাম কমানো উচিত।
০৭। দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো হবে।
০১। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
মোটা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার। অর্থাৎ আপনাকে নিয়মিত সঠিক সময়ে সাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। বেঁচে থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কারণ, না খেয়ে থাকলে যেমন আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন, ঠিক তেমনি পুষ্টিকর বা সাস্থ্যকর খাবার না খেলে ও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। অর্থাৎ আপনাকে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যেমনঃ সেদ্ধ ডিম, গরুর দুধ, মাছ, মাংস, এছাড়াও আছে পুষ্টিকর ফল, যেমন আপেল, পেয়ারা, খেজুর, বাদাম ইত্যাদি। তবে কিছু আছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও দ্রুত কার্যকরী, এই গুলো নিয়মিত খাওয়া উচিত।
জেনে নিন ১০টি স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে যা সবার নিয়মিত খাওয়া উচিত, এখানে ক্লিক করুন।
০২। সকালে কিচমিচ ও রাতে খেজুর খান।
মোটা হওয়ার জন্য অনেক খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ও খুবই কার্যকরী খাবার হচ্ছে কিচমিচ ও খেজুর। রাতে একটি গ্লাসে ২০/৩০ টা কিচমিচ ভিজিয়ে রাখবেন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কিচমিচ খেয়ে ফেলবেন। আপনি চাইলে পানিও খেতে পারেন শরীর ভালো রাখার জন উপকার পাবেন। এবং ভালো মানের খেজুর নিয়ে আসবেন, প্রতিদিন ৫/৭ টা ধুয়ে খান। এইভাবে নিয়মিত খেতে পারলে ভালো ফল পাবেন। অর্থাৎ প্রতিদিন সকালে কিচমিচ ও রাতে খেজুর খেতে পারলে, ওজন খুব তারাতারি বৃদ্ধি পাবে। যেখানে থাকবে না কোন সাইট ইফেক্ট, খুব নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কোন সমস্যাই হবে না। শুধু তাই নয় ওজন বাড়ার সাথে সাথে আরও অনেক উপকার পাবেন।
জেনে নিন খেজুর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে, এখানে ক্লিক করুন!
০৩। ওজন কমানো খাবার কমিয়ে দেন।
আপনি তো মোটা হতে চান ও ওজন বাড়াতে চান তাই না। তাহলে ওজন কমানোর খাবার খাচ্ছেন কেন? যে খাবার গুলো খেলে ওজন কমে যায়, শরীরের মেদ দ্রুত কমে যায়, এইসব খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। যেমন বেশি পরিমাণে পানি, আপেল, ভিজানো বাদাম ও আরও অন্যান্য খাবার অর্থাৎ যেগুলোও শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়, এইগুলো খাওয়া কমিয়ে দেন। একেবারে বন্ধ করা ঠিক হবে না, শুধু খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
০৪। নিয়মিত ব্যায়াম বা জিম করুন।
হ্যাঁ, নিয়মিত ব্যায়াম বা জিম করুন, দেখবেন কিছু দিনের মধ্যে সাস্থ্যবান হয়ে যাবেন। অনেকেই বলে থাকে ব্যায়াম করলে নাকি ওজন কমে যায়, আসলে ওজন খুব বেশি যে কমে যায়, ঠিক তা নয়। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাহলে আপনার ফিটনেসই অন্যরকম দেখাবে। প্রতিদিন আপনাকে ব্যায়াম করতেই হবে ওজন বাড়ানোর জন্য। আর ওজন বাড়াতে গেলে শুধু দৌড় বা জগিং যথেষ্ট নয়। দরকার জিমে গিয়ে ওয়েট লিফটিং। সিট আপ, পুস আপ এই সব তো করবেনই, তাছাড়া কার্ডিয়ো করা দরকার। শুধু খাবার খেলেই চলবে না, আপনাকে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। ফিটনেস ভালো রাখার জন্য খাবারের পাশাপাশি জিম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
০৫। নিজেকে সর্বদা স্ট্রেস মুক্ত রাখুন।
মানসিক চাপ প্রতিটা মানুষকে কতটা যে ক্ষতি করে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অতিরিক্ত স্ট্রেস থাকলে আপনি প্রায় অসুস্থ হয়ে যাবেন, আর কাজের কিছুই হবে না। শুধু তাই নয়, স্ট্রেস মুক্ত না থাকলে আপনি দিন দিন রোগা ও চিকন হতে থাকবে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা মাত্রাতিরিক্ত চাপ নিয়ে থাকে, দুশ্চিন্তা করে সবসময়, দিন দিন তাদের ওজন কমতে থাকে ও একটা সময় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে। আর এইভাবে থাকলে কোন দিনও আপনি আপনার দরকারী কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন না। তাই যদি নিজকে স্বাস্থ্যবান ও মোটা বানাতে চান, তাহলে নিজেকে সর্বদা স্ট্রেস মুক্ত রাখুন।
০৬। মেটাবলিজাম কমানো উচিত।
মোটা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে মেটাবলিজাম কমানো। সাধারণত মানুষের দেহের ওজন কম হওয়ার ব্যাপারে উচ্চ মেটাবলিজাম ও অনেকটা দায়ী থাকে। যদি আপনার শরীরে উচ্চমাত্রায় মেটাবলিজাম থাকে তাহলে শরীরে তা ক্যালরিকে বাড়তে দেয় না। ফলে ওজন কম হয়ে থাকে। তাই মোটা হতে গেলে সবার প্রথম এই মেটাবলিজাম হার কমাতে হবে। ফলে যা খাওয়ার খাওয়া হবে তা বারতি ওজন আকারে শরীরে জমা হতে থাকবে। মেটাবলিজাম কম রাখতে হলে রোজ দুপুরে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ ঘুমনো যেতে পারে। যারা কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা লাঞ্চের পর ১ ঘণ্টা রেস্ট নিন। ফলে খুব সহজেই মেটাবলিজাম কমাতে পারবেন।
০৭। দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো হবে।
সবশেষে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। নিয়মিত যদি না ঘুমান তাহলে শরীর অসুস্থের পাশাপাশি রোগা ও হালকা হয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনার ওজন কমে যাবে। তাই যদি মোটা হতে চান, নিজেকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে চান। তাহলে রাতে নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ও দিনে দুপরে খাবারের পর ২ ঘণ্টা ঘুমান। উপরের সব কিছু ঠিক রাখার পর এইভাবে ঘুমাতে পারলে, শরীর স্বাস্থ্য মোটা ও সতেজ থাকবে সবসময়। ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল বলে দিচ্ছি। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন। কিছু খেয়ে ঘুমাতে পারলে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
উপকারি লেখা! ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।