ভালোবাসার মানুষকে খুশি করার উপায়
ভালোবাসার মানুষকে খুশি করার উপায়

প্রিয় সঙ্গীরা একজন অপরজনের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শুধু ভালোবাসা পেতেই চাই। ভালোবাসা দেওয়ার আগে প্রিয় মানুষটিকে খুশি করতে হবে। অনেকের জীবনে ভালোবাসার মানুষ খুব কমই আসে, আবার অনেকের আসলেও বেশি দিন স্থায়ী থাকে না। বিভিন্ন অহেতুক কারণে, নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়ে সম্পর্ক বেশি দিন টিকে না। কারণ যেখানে প্রকৃত শব্দ নাই, সেখানে আর কিই বলার থাকে। জীবনে ভালো একজন মানুষকে নির্বাচন করার গুরুত্ব অনেক। যদি বাকি দিন গুলোতে আনন্দিত ও সুখী হতে চান। আর যদি সঙ্গীকে পেয়ে যান তাহলে অবশ্যই ভালোবাসার মানুষটিকে সর্বদা খুশি রাখতে হবে। নিচে ভালোবাসার মানুষকে খুশি করার ১০টি কার্যকরী উপায় দেওয়া হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকারী ধাপ গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই কাছের মানুষের মন জয় করতে পারবেন, যা আপনার জীবনকে আরও উন্নত ও যথেষ্ট সুখ বয়ে আনবে।

ভালোবাসার মানুষকে খুশি করার ১০ টি উপায়

০১। যথেষ্ট সময় দেওয়ার দিতে হবে।
০২। প্রত্যেকটা ভালো কাজে প্রশংসা করুন।
০৩। একে অপরের কাজে সহযোগিতা করুন।
০৪। মাঝেমাঝে ছোট্ট কিছু উপহার দিন।
০৫। সঙ্গীর পছন্দ অপছন্দের খুঁজ রাখুন।
০৬। পছন্দের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন।
০৭। মাঝেমাঝে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ভ্রমনে যান।
০৮। ভালোবাসার মানুষটিকে সর্বদা হাসাবেন।
০৯। রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করুন।
১০। কোন কাজে ভুল হলে সেক্রিফাইস করুন।

০১। যতেষ্ট সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন।

ভালোবাসার মানুষকে খুশি করার প্রথম ধাপই হচ্ছে যতেষ্ট সময় দেওয়া। আপনার খুব কাছের এবং প্রিয় মানুষটাকে যদি খুশি রাখতে চান, তাঁর মন ভালো রাখতে চান অথবা তাঁর কাছে আপনাকে আরও কাছের করে নিতে চান, তাহলে তাকে যতেষ্ট সময় দিতে হবে। আপনি যদি পরিবারকে সবচেয়ে বেশি খুশি রাখতে চান, তাহলে তাদেরকেই বেশি সময় দিতে হবে অথবা যদি অন্য কাওকে খুশি করতে চান, তাকে সময়ও দিতে হবে। একটা মানুষ যখন একা একা থাকে, তখন বিভিন্ন ধরনের অকার্যকরী বা অপ্রয়োজনীয় চিন্তা আসা শুরু করে বা বিষণ্ণতায় ভুগে অথবা মন খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

তাই তাকে সময় দিন, কোন প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে আড্ডা দিন ও মন খুলে কথা বলুন। দেখবেন সে অনেক খুশি হবে, তাঁর মন ভালো হয়ে যাবে। একটা ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে একে অপরেকে সময় দেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কতটা সময় একে অপরের সঙ্গে কাটানো হচ্ছে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি ভালোবাসার মানুষকে সময় দিবেন, মনের সব আবেগ অনুভ্রতি শেয়ার করবেন তত খুশি থাকবে।

০২। প্রত্যেকটা ভালো কাজে প্রশংসা করুন।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ছোট একটি কাজ করেই যেকোনো মানুষকে অনেক বেশি খুশি বা ইমপ্রেস করা যায়, আর সেটি হচ্ছে তাঁর ভালো কাজ গুলোতে প্রশংসা করা। সবসময় খুশি রাখতে চাইলে, ভালোবাসার মানুষটির প্রত্যেকটা ভালো কাজের প্রশংসা করুন। যখন আপনি কোন ভালো কাজ করবেন বা লেগে থাকবেন, তখন আপনার কোন ভাই – বন্ধু যদি প্রশংসা করে, তাহলে আপনিও অনেক খুশি হবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। তাই আপনি ও কাছের মানুষের কাজে প্রশংসা করুন। আর এটি করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
কথায় আছে,

“অন্যের প্রশংসা করুন, আপনিও প্রশংসিত হবেন
অন্যকে সম্মান করুন, আপনিও সম্মানিত হবেন।“

তাই নিজের ভালোর জন্য বা সুবিধার্থে অথবা ভালোবাসার প্রিয় মানুষটি মুখে ও অন্তরে আনন্দ ফোঁটাতে চাইলে, আজ থেকেই তাঁর প্রত্যেকটা ভালো কাজে প্রশংসা করুন।

০৩। একে অপরের কাজে সহযোগিতা করুন।

খুব আনন্দ, হাসি-খুশি থাকতে বা মজা করতে চাইলে একে অপরের কাজে সহযোগিতা করুন। আপনি যখন বাসার কোন কাজে আপনার ভালোবাসার মানুষকে বা সঙ্গিকে সাহায্য করবেন, তখন সে যতেষ্ট খুশি হবে। মনে এই চিন্তাটা বেশি কাজ করবে, নিশ্চয় আপনি তাকে অনেক অনেক ভালোবাসেন তাই বাসার কাজে ও সহযোগিতা করছেন। আর হ্যাঁ প্রত্যেকটা কাছের মানুষ কিন্ত চাই শুধু ভালোবাসা। যদি আপনার কাজে সহযোগিতা করে বা আপনি তাঁর কোন কাজে সহযোগিতা করেন, তাহলে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রচণ্ড বেড়ে যাবে এবং পরিশেষে যথেষ্ট খুশি হবে। ছোট্ট, সাধারণ ও কার্যকরী একটি ফর্মুলা, কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন আপনার ভালোবাসার মানুষ খুশি হয় কিনা।

০৪। মাঝেমাঝে ছোট্ট কিছু উপহার দিন।

যখন মাঝে মাঝে ভালোবাসার মানুষটিকে তাঁর পছন্দের কোন কিছু উপহার দিয়ে অবাক করে দিবেন, সে মন থেকে অনেক আনন্দিত হবে আর আপনাকে প্রচণ্ড ভালবাসবে। আপনি ইচ্ছা করলে বিভিন্ন ইভেন্টে ফুল, চকলেট, বই, কার্ড, পোশাক, মোবাইল ছাড়াও আরও অনেক কিছু উপহার দিতে পারেন। অথবা কোন ইভেন্ট ছাড়াও এইরকম কিছু পছন্দের গিফট করতে পারেন। এতে করে সে অনেক অবাক হবে, খুশি হবে। সত্যি বলতে ভালোবেসে দেওয়া ছোট উপহার গুলোই খুশির খোরাক হয়ে উঠতে পারে।

তাই ভালোবাসার মানুষটিকে খুশি রাখতে চাইলে অবশ্যই চেষ্টা করুন, মাঝে মাঝে পছন্দের ছোট্ট কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। এইটা আসলেই খুব কার্যকরী একটা ধাপ। আপনি নিজেই একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন, খুশি রাখতে ও ভালোবাসা পেতে কতটা সহায়তা করে এই পদ্ধতিটি।

অবাক করার মতো ১৫টি গিফটের নাম জেনে নিতে, এখানে কিল্ক করুন!

০৫। সঙ্গীর পছন্দ অপছন্দের খুঁজ রাখুন।

সবসময় ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির বা সঙ্গীর প্রতিটা ব্যাপারে পছন্দ – অপছন্দের খবর রাখুন। ফলে সে কখন কোনটা পছন্দ করে ও কখন কোনটা অপছন্দ করে সহজেই বুঝতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। এতে করে সে খুব খুশি হবে আপনার প্রতি। সে কি সিনেমা দেখতে পছন্দ করে, ঘুরতে যাওয়া পছন্দ করে, কি কি খেতে পছন্দ করে নাকি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে বেশি পছন্দ করে, এইরকম আরও অনেক ব্যাপারে ভালো করে জেনে নিন, কি কি পছন্দ করে এবং কি কি পছন্দ করে না।

আর আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন, তাঁর পছন্দের কাজটি করার জন্য এবং অপছন্দের কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে খুব সহজেই ভালোবাসার মানুষটিকে খুশি রাখতে পারবেন।

০৬। পছন্দের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন।

ভালো খাবার খেতে কেই বা অপছন্দ করে বর্তমানে খাবার আসলে একটা বিনোদন হয়ে গেছে অথবা ট্রেন্ড বললেও চলে। অর্থাৎ মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে খুব পছন্দ করছে, আর নিত্যনতুন খাবার আসছেই। ফলে ভালো খাবারের প্রতি সব মানুষের একটা আকর্ষণ থাকছে। এইজন্যই কাছের বা ভালোবাসার মানুষ সবাই একসাথে মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে।
আপনিও চাইলে আপনার ভালোবাসার পছন্দের খাবার সারপ্রাইজ হিসেবে বাসায় নিয়ে আসতে পারেন অথবা কোথায় যেয়ে খেতে চাইলে সেইটাও করতে পারেন। মূল কথা হচ্ছে, কি কি খাবার খেতে খুব বেশি পছন্দ করে সেগুলো মনে রাখা এবং যেইভাবে হোক প্রিয় মানুষটির পছনের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে সে যথেষ্ট খুশি হবে। এবং আপনাকে পর্যাপ্ত ভালোবাসবে।

০৭। মাঝেমাঝে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ভ্রমনে যান।

কোন ঐতিহ্যবাহী বা প্রাকৃতিক পরিবেশে ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরি করার আনন্দই অন্যরকম। মাঝে মাঝে বন্ধুদের, ফ্যামিলির বা প্রিয় কোন মানুষের সাথে ভ্রমনে গেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। অর্থাৎ ভ্রমণে গেলে মন ভালো ও যথেষ্ট পরিমাণে সতেজ হয়ে যায়, একঘেয়েমি দূর হয়, ব্রেইন সতেজ হয়, টেনশন কমে যায় ও ভ্রমণ থেকে আসার পর কাজে মন বসে, ভালোভাবে কাজ করা যায় ইত্যাদি, আরও সুবিধা রয়েছে। তাই আপনি যদি আপনার ভালোবাসার মানুষকে খুশি রাখতে চান, মাঝেমাঝে ভ্রমনে নিয়ে যান। দেখবেন সে অনেক খুশি হবে এবং আপনাকে ও প্রচুর ভালবাসবে। একটু আনন্দ, মন খুলে হাসাহাসি ও কথা বলা, সবকিছুই অতীতের দুঃখ মোচন করবেন।

০৮। প্রিয় মানুষটিকে সর্বদা হাসি খুশি রাখুন।

হাসি-খুশি জীবন সবাই চায়। হাঁ, সবসময় প্রিয় মানুষটিকে হাসি খুশি রাখতে হবে। সর্বদা প্রত্যেকটা কাজে, খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে। যিনি যত হাসি খুশি-সুখী জীবন যাপন করেন ও মন খুলে প্রিয় মানুষটির কথা বলেন, তিনি তত দীর্ঘজীবী হন। মন খুলে হাসতে ও কথা বলতে পারলে, মন মানসিকতা যেমন ভালো থাকে ঠিক শরীর সাস্থ্যও যথেষ্ট ভালো থাকে। যদি জীবনকে সুখী করতে চান, ভালোভাবে উপভোগ করতে চান, তাহলে হাসার কোন বিকল্প উপায় নেই। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে, ভালোবাসার মানুষের প্রতিটা কাজে, প্রতিটা সময়ে হাসি খুশি রাখার।

০৯। রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করুন।

ভালোবাসার মানুষকে খুশি করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটা ধাপ হচ্ছে রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করা।

১০। কোন কাজে ভুল হলে সেক্রিফাইস করুন।

ভালোভাবে খুশি রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একজন অন্যজনকে সেক্রিফাইস করা। অর্থাৎ সব পয়েন্টের পর এই পয়েন্টা কাজে লাগাতে হবে সবচেয়ে বেশি। আসলে একে অপরকে সেক্রিফাইস করার মধ্য দিয়ে অনেক ভালোবাসা ফুটে উঠে। আপনার প্রিয় মানুষটিকে যদি প্রত্যেকটা ব্যাপারে সহযোগিতা ও সেক্রিফাইস করতে পারেন, তাহলে সে অনেক খুশি হবে, বুঝে নিবে যে কতটা ভালোবাসেন থাকে। শুধু মাঝে মাঝে না, সবসময় চেষ্টা করবেন ভালোবাসার মানুষটিকে সেক্রিফাইস করার জন্য। অনেক গুলোর কাজের মাঝখানে ১/২ টা কাজ ভুল হওয়াটা আমাদের কাছে স্বাভাবিক। তাই প্রিয় মানুষটির কোন কাজে ভুল হলে, সেক্রিফাইস করার চেষ্টা করুন।

জেনে নিন, স্মার্ট হওয়ার ১০টি সহজ ও কার্যকরী উপায় – এখানে ক্লিক করুন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here