ইন্টারনেট কি? এই প্রশ্নের উওর আমরা অনেকেই দিতে পারবো না, যদিও সবসময় ব্যবহার করে থাকি। ইন্টারনেট কাকে বলে এবং এটি কিভাবে কাজ করে ও এর সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন।
যা আপনার জ্ঞানের পরিধি একধাপ বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর জন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকাঃ
কিছুদিন আগে স্কুলের পাশে একা বসেছিলাম। বসে বসে যেহেতু আর কোন কাজ নেই, তাই আশেপাশের যারা উপস্থিত ছিলো সবার কার্যকলাপ খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম একটা তিন চার বছরের ছেলে তার মায়ের কাছে মোবাইল ফোন চাচ্ছে। বেশ কয়েকবার মোবাইল চাওয়ার পরে বাচ্চাটার মা উনার ব্যাগ থেকে উনার নামী দামী ব্র্যান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইলটি বের করে ছেলের হাতে দিলেন। তো মোবাইল সেটটি হাতে নিতেই ছেলে তো মহাখুশি কিন্তু মিনিট খানেক পরেই সে আবার তার মাকে বললো-আম্মু কার্টুন চলেনা মোবাইলে ইন্টারনেট দাও।
এইটুকুন বাচ্চার মুখে ইন্টারনেট শব্দ শুনে আমি অতিউৎসাহী মানুষ আরো মনোযোগী হলাম ওই বাচ্চাটার প্রতি। বাচ্চার মা তখন বাচ্চাকে বললো বাবা আমার ফোনে ডাটা নেই তো, কীভাবে ইন্টারনেট দিবো? বাচ্চাটার রিপ্লাই টা তখন খুব ভালো ছিলো, ঠোঁট উল্টিয়ে বাচ্চাটা মাকে বললো তুমি এখনই ফোনে টাকা ঢুকাও আর আমাকে অনেক এমবি কিনে দাও!!
যাই হোক,প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এখন কতটা আধুনিক আর কতটা স্মার্ট, ভেবে দেখেছেন? আমাদের এই আধুনিকতা আর স্মার্টনেসের পেছনে পুরোপুরিভাবে যেসব জিনিসের অবদান, ইন্টারনেট কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম একটা জিনিস।
এই যে ইন্টারনেট এতো বহুল প্রচলিত একটা শব্দ, বাচ্চা থেকে বুড়ো প্রায় সবাই এ শব্দের সাথে পরিচিত আসলে এই জিনিস টা কি? এর উৎপত্তি কোথায় আর এ কীভাবেই বা কাজ করে? তাছাড়া ইন্টারনেটের সুফল এবং কুফল গুলোই বা কি? চলুন পাঠক আজকের আর্টিকেলে ইন্টারনেট নিয়ে এসব খুঁটিনাটি বিষয়ের বিস্তারিত ও কার্যকরী কিছুটা আমরা জানার চেষ্টা করি।
ইতিহাসঃ
মূলত এ ইতিহাসের শুরুটা হয়েছে ১৯৫০ সাল থেকে যখন কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যাপক লিওনার্ড ক্রাইনার্ক তার নিজস্ব গবেষণাগার (ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া) থেকে কিছু ডাটা পাঠান অন্য আরেকটি রিসার্চ সেন্টারে(স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট)। এই বার্তা পাঠানোর জন্য তিনি মাধ্যম হিসেবে অর্পানেট নামক এক নতুন নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের ব্যবহার করেছিলেন। বলা বাহুল্য, এই নেটওয়ার্কিং এর সমস্ত সরঞ্জামাদির এক অংশ ছিলো প্রফেসরের রিসার্চ সেন্টারে এবং আরেক অংশ ছিলো স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ সেন্টারের কম্পিউটার ল্যাবে।
১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেট সুইসিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবহার বিভিন্নভাবে চলতে থাকে। তবে বানিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা মার্কেটে আসতে থাকেন ১৯৮০ আর ১৯৯০ এর মাঝামাঝি সময় থেকে। ধরা যায় ১৯৯৫ সাল থেকে ইন্টারনেটের বানিজ্যিক ব্যবহার পুরোপুরি শুরু হয়।
তবে ১৯৯০ সাল থেকেই আরো উন্নত নেটওয়ার্কিং সিস্টেম যেমন, ভিভিএনএস, ইন্টারনেট ২, ল্যমডারেল ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা চলতে থাকে এবং বহু বছরের গবেষণা ও পরিশ্রমের ফলাফল হিসেবে অবশেষে আবিষ্কৃত হয় আজকের দিনের অতি উচ্চ গতি সম্পন্ন এবং অনেক বড় তথ্য আদান-প্রদান করার সুযোগ সম্বলিত নেটওয়ার্কিং সিস্টেম অপটিক ফাইবার।
ইন্টারনেট কিঃ
আমরা কমবেশী সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তাই না? কিন্তু আমরা কয়জন জানি ইন্টারনেট কি? কোন কাঠামোগত সঙ্গাতে না গিয়ে যদি সোজা ভাবে বলি ইন্টারনেট কি? তাহলে হবে –
ইন্টারনেট হলো একটা মাছ ধরার জালের মতন। ওই যে জাল আছে না যেটা আমরা পানিতে ছুড়ে দিয়ে অনেক মাছ ধরি, ঠিক তেমন।
বোঝার সুবিধার্থে ধরে নিন ওই ঝাকি জালের ভেতরের সমস্ত মাছ গুলো হলো সব কম্পিউটার আর আপনি যে জাল দিয়ে মাছ গুলোকে প্যাঁচায় ধরে রেখেছেন সেটা হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট হলো, এমন একটা অদৃশ্য জাদুর জাল যার ভেতরে রয়েছে পৃথিবীর সকল কম্পিউটার। এই জাদুর জালের সাহায্যেই আপনি অংশগ্রহণ করতে পারেন বিস্ময়কর এক যোগাযোগ ব্যবস্থায়, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই দুনিয়ার অন্য প্রান্তে থাকা কম্পিউটারে সাথে আপনার ঘরের কম্পিউটার টাকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সংযুক্ত করতে পারেন।
ইন্টারনেট এর প্রয়োজনীয়তাঃ
যেই ভদ্রলোক বা ভদ্রমহিলা এক ঘন্টাও ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে পারেন না, তাকে কেবল একটা পুরো দিন ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে দিন। কেবল সেই বুঝবে তখন ইন্টারনেট এর কি প্রয়োজনীয়তা!!
বিশ্বায়নের এ যুগে মানবসভ্যতার উন্নততর বিকাশ সাধনে ইন্টারনেটের অবদান কতটা গভীর আসলে সেটা পরিমাপ করা ও যায় না। তথ্যপ্রযুক্তি এ যুগে ইন্টারনেট এর সাহায্যেই আপনি এমন অনেক কাজ করতে পারবেন যেগুলো ইন্টারনেট ছাড়া করতে আপনার টাকা এবং সময় দুটোই বেহিসাব খরচ হবে। তার সাথে আপনার পারিশ্রমের কথা নাই বললাম।
প্রিয় পাঠক, ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল টুকু শেষ পর্যন্ত পড়ে যান, অনেক কিছু জানতে পাবেন।
ইন্টারনেট কি ভাবে কাজ করে?
প্রথমত প্রতিটি কম্পিউটার স্থানীয় একটি নেটওয়ার্কের সাথে নিজেকে যুক্ত করে। ওই স্থানীয় নেটওয়ার্ক গুলো পরবর্তীকালে একে অপরের সাথে যুক্ত হয় যে নতুন আরেকটা নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে, সেটাই হলো ইন্টারনেট।
এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার তার ব্যক্তিগত মডেমের সাহায্যে সবচেয়ে কাছের কোন আই এস পি অথবা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে ওই আই এস পি আবার অন্য কোন আই এস পির সাথে যুক্ত হয়। এভাবে আই এস পি টু আই এস পি যুক্ত হতে হতে লোকাল কোন এরিয়া, সর্বোপরি কোন দেশ ছাড়িয়ে আই এস পির কানেকশন গুলো এসে আবার কানেক্ট হয় সমুদ্রের তলদেশে থাকা অপটিক ফাইবারের সাথে।
অপটিক ফাইবারের ট্রান্সলেকটিক ডাটার মাধ্যমে ইন্টারনেট এর সংযুক্তি ঘটে সমুদ্রের এ পাশে থাকা বৃহৎ আই এস পি এর সাথে সেখান থেকে আবার ছোট পরিসরের আই এস পি, এভাবে আবার কয়েক দফা আই এস পি টু আই এস পি হয়ে এই ইন্টারনেট চলে যায় অন্য কোন এলাকার কোন লোকাল আই এস পি এর কাছে।
ফাইনালি ওই লোকাল আই এস পি থেকে কারো ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ব্যক্তিগত মডেমে।
মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট মূলত সেলুলার টাইপ হয়ে থাকে, মোবাইল থেকে প্রথমে কানেকশন যায় কাছাকাছি থাকা কোন মোবাইল টাওয়ারে সেখান থেকে কাছের কোন আই এস পি সার্ভারে।
ইন্টারনেটের ব্যবহার কি কিঃ
তথ্য আদান-প্রদান করাঃ
যে কোন লিখিত ডকুমেন্টস, ছবি, ভিডিও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
তথ্য যোগাড় করাঃ
গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনের কল্যানে যে কোন তথ্য আপনি পেয়ে যান আপনার কাঙ্ক্ষিত সময়ের ও আগে । এটাও কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারনেই আপনি পারছেন।
যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করাঃ
দেশের বাইরে অন্য কোন দেশে আপনার কোন ফ্রেন্ড বা আত্নীয় স্বজন সেটেল্ড? আগের মত এখন কি আর মাসের পর মাস অপেক্ষা করেন তাদের একটা চিঠি পাবার জন্য? এই ইন্টারনেটের কল্যাণেই এক মুহূর্তেই বিদেশে থাকা আপনার স্বজনদের সাথে ভয়েজ কলে কথা যেমন বলতে পারছেন, তেমনি ভিডিও কনফারেন্সে তাদের সরাসরি দেখতেও পাচ্ছেন।
ব্যবসা বাণিজ্যিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করাঃ
একটা সময় বিয়ের পর বাচ্চাকাচ্চা হয়ে গেলে মেয়েদের চাকুরি করার স্বপ্ন একপ্রকার ধরাছোঁয়ার বাহিরেই থাকতো। অথচ আজকাল এই ইন্টারনেটের কল্যাণে কতশত অনলাইন পেজ খুলে ছেলে কি মেয়ে নিজের ঘরে থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে নিজের ব্যবসাপাতি চালিয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়া বিভিন্ন ই কমার্স সাইট যেমন, আলীবাবা, আমাজন, দাড়াজ এসব কিন্তু এতো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করছে এই ইন্টারনেটের বদৌলতেই।
বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করাঃ
ইন্টারনেট হলো আজকালকার যুগে বিনোদনের এক উৎকৃষ্ট মাধ্যম। এই ইন্টারনেট দিয়েই আপনি ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদির মত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বোরিং সময় কাটাতে পারছেন। তাছাড়া বিভিন্ন গান শোনা, মুভি দেখা অথবা অনলাইন বিভিন্ন গেমস খেলা সবই হচ্ছে এই প্রযুক্তিটির কল্যাণ।
অনলাইন মিডিয়া হিসেবে কাজ করাঃ
ইদানীং আমাদের সমস্ত পেপার পত্রিকা যেমন তাদের অনলাইন সংস্করণ ইন্টারনেটের কল্যাণে করতে পারছে তেমনি যত ছোট বড় টিভি চ্যানেল গুলো আছে তারাও তাদের অনলাইন লাইভ চ্যানেল প্রোগ্রাম করছে এই ইন্টারনেটের সুবাদেই।
অফিসিয়াল কার্যক্রমের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করাঃ
অফিসিয়াল বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ই-মেইল করা, কোম্পানির প্রয়োজনে বিভিন্ন জব সার্কুলার করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে ইন্টারনেট এর ব্যবহার সত্যিই প্রশংসনীয়।
ইন্টারনেটের উপকারীতা ও অপকারীতাঃ
ইন্টারনেট তো এখন সবাই ব্যবহার করে, কেউ হয়তো বেশী কেউ আবার কম। চিন্তার বিষয় হলো একজন পনেরো বয়সের বাচ্চা আর ত্রিশ বয়সের যুবক যখন সারাদিন ইন্টারনেটে আসক্ত থাকে তখন আর সেটাকে পজিটিভলি নেওয়া যায় না। যাই হোক ইন্টারনেটের উপকারীতা ও অপকারীতা গুলো দেখে নিই চলুন-
উপকারীতাঃ
০১। এটা আন্তর্জাতিক যোগাযোগের একটা মাধ্যম এর সাহায্যে সহজেই দূর দূরান্তের সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন কম খরচে এবং দ্রুত সময়ে।
০২। পড়াশোনা করতে পারবেন এর সাহায্যে,আজকাল তো অনলাইন বিভিন্ন কোর্স ও ঘরে বসেই করা যাচ্ছে শুধুমাত্র এই ইন্টারনেটের কল্যাণে।
০৩। বোরিং সময় না কাটিয়ে ইন্টারনেটের কল্যাণে দুই চার ঘন্টা সময় ও এক নিমিষেই কাটিয়ে দেওয়া যায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে, অথবা ভিডিও দেখে আর মিউজিক শুনে।
০৪। চাইলে দুনিয়ার যে কোন দুর্গম এলাকাটাও পরিদর্শন করে নিতে পারেন এই ইন্টারনেট থেকেই।
০৫। ইন্টারনেটের মাধ্যমে জরুরী স্বাস্থ্যসেবা, অনলাইন বেচা কেনা, ক্যাশ আউট করা, টিকেট কাটা, গ্যাস বিল, ইলেক্ট্রিসিটি বিল ইত্যাদি এমন আরো বহু কিছু এক ক্লিকেই ঘরে বসে করা যায়।
অপকারীতাঃ
০১। সারাদিন অযথাই ইন্টারনেটের আসক্তি মানুষকে অলস বানাচ্ছে বেশী।
০২। সারাদিন ইন্টারনেটের আসক্তির কারনে অযথাই আমাদের অনেক মূল্যবান সময় বেহিসাবে নষ্ট হচ্ছে।
০৩। কিশোর -কিশোরী, যুবক-যুবতী অধিকাংশের পড়াশোনার মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
০৪। বিভিন্ন রোগ যেমন,চোখে সমস্যা,মাথা ব্যথা, সারভাইক্যাল স্পন্ডালাইটিস, ইনসোমনিয়া, ইত্যাদি অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
০৫। পরিবারের সবার সাথে দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে।পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে অনেক বেশী। এই ইন্টারনেট ভিত্তিক জেনারেশন তুলনামূলক পরিবার কে প্রাধান্য অনেক কম দিচ্ছে!
০৬। বিভিন্ন নিষিদ্ধ কাজ যেমন, পর্ণ আসক্তি,সাইবার ক্রাইম, ড্রাগ এডিকশন,খুন, রাহাজানি,জুয়া খেলা ইত্যাদি হু হু করে বাড়ছে।
০৭। নিজস্ব সংস্কৃতি যেমন, গল্প বলা,আড্ডা দেওয়া, বাইরে খেলতে যাওয়া,বই পড়া, একসাথে বসে টেলিভিশনে ভালো কোন প্রোগ্রাম দেখা,বড়দের সাথে সময় কাটানো ইত্যাদি উদ্ধেকজনক হারে কমছে।
০৮। সর্বোপরি হতাশা,হীনমন্যতা, কোন কিছু ভালো না লাগা এমনকি আত্নহত্যা করার প্রবণতাও অনেক বাড়ছে।
উপসংহারঃ
পৃথিবীতে মানব সভ্যতার এই যে আপগ্রেডেশন হচ্ছে তা কিন্তু একদিনে এমনি এমনি হয়ে যায় নি। নিত্য নিতুন আবিষ্কার, মানুষের এই সভ্যতাকে আজকেই এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে এনে দাড় করিয়েছে।
যুগে যুগে যত নিত্য নতুন আবিষ্কার হয়েছে, বিশ্বাস করুন তার সবগুলোরই কিছু সুফল এবং কুফল দিক আছে। তেমনি ইন্টারনেটের আছে কিছু ভালো দিক আবার কিছু খারাপ দিক।
আমরা সৃষ্টির সেরা জীব, আমাদের চিন্তা ভাবনা বিবেক বুদ্ধি অন্যান্য সব প্রাণীদের চেয়ে অনেক উন্নত।
আর তাই, মানব সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনে আমাদের নিজেদের কেই এখন বেছে নিতে হবে আমরা আমাদের আবিষ্কৃত এই ইন্টারনেটকে কে ভালো কাজে ব্যবহার করবো না খারাপ কাজে।
আরও জানুন –
অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার সুবিধা অসুবিধা ও ক্ষেত্র গুলো কি কি?
অপারেটিং সিস্টেম কি ও কিভাবে কাজ করে বিস্তারিত জানুন
এ সময়ের সেরা ১০টি পেশা যা অবশ্যই আপনার জানা দরকার