উপসর্গঃ
১। সামান্য শারীরিক পরিশ্রমে কিংবা শুয়ে পরার সময় হাঁপিয়ে ওঠা বা দম ফুরিয়ে যাওয়া এরকম হাঁপিয়ে ওঠার সময় অনেক ক্ষেত্রে বুকে শন শন শব্দ হতে পারে, যেটাকে প্রায়শই হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগের লক্ষণ বলে ভুল করা হয়।
২। দুর্বলতা এবং অবসাদ গ্রস্ততা।
৩। বুকে ব্যথা অনুভব করা।
৪। ঘুমাবার সময় সাধারনের তুলনায় বেশি বালিশের প্রয়োজন বোধ করা কিংবা বসে বসেই ঘুমানো।
৫। পায়ের পাতায় গোড়ালিতে কিংবা পা ফুলে ওঠা।
৬। ক্রমাগত কাশি হওয়া এবং কাশির সঙ্গে ফেনাযুক্ত রক্তমাখা শ্লেষ্মার নির্গমন।
৭। অনিয়মিত কিংবা হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন।
৮। তলপেটে চাপ অনুভব করা বা ভরা পেট অনুভব করা।
৯। তরলের নির্গমন কম হওয়া ও ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।
১০। বার বার প্রস্রাবের চাহিদা, বিশেষ করে রাতের বেলা।
১১। গলার রগগুলো ফুলে ওঠা।
১২। বিষাদ গ্রস্ততা, বমি হওয়া এবং খাবারের পরতি অনিহা জন্মানো।
কি করবেনঃ
১। প্রথমে রোগ আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা।
২। প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন। পরে লক্ষণ গুলো অপসারিত হতে শুরু করলে (ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে) আপনাকে প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে এবং সেইট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
৩। লবণ কম খাবেন, কেননা লবণ বেশি খেলে শরীরে পানি বেশি ধারণ করে এবং ফুলে উঠতে পারে।
৪। ক্যাফেইন মিশ্রিত পানীয় পান করবেন না। আর যদি আপনার হার্টের পাপিটেশন থাকে সেক্ষেত্রে ক্যাফেইন মিশ্রিত পানীয় পান সেটাকে আরু গুরুতর ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৫। ঘুমাবার সময় সময় মাথার নিচে ম্যাট্রেসের তলায় কোনো কিছু দিয়ে উঁচু করে নিতে পারেন কিংবা বালিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেন।
৬। যখন বসে থাকবেন তখন আপনার পা দুটোকে উপরে উঠিয়ে বসুন।
প্রতিরোধঃ
১। মদ পান থেকে দূরে থাকুন।
২। এই রোগের পিছনে যে মূল কারণ রয়েছে যেমন উচ্চ রক্তচাপ এবং চিকন হয়ে যাওয়া বা ধমনি ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণের জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সেগুলো পালন করুন।
৩। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকে কিংবা হৃদরোগ থাকে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোগের চিকিৎসা করুন।