শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য ১০টি পরামর্শ

শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ গুলো সঠিক ভাবে গ্রহন করতে পারলে, এককথায় জীবনে একধাপ খুব সহজেই উন্নত করতে পারবেন। প্রায় সবাই জানি “স্বাস্থ্যই সম্পদ” ও “স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল”। জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে শরীর। কথায় আছে, শরীর ভালো আছে তো প্রায় সব কিছু ঠিক। তাই শরীরের ভালো যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কিন্ত, আমরা কি আদৌ শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কোন কার্যকারী ধাপ গ্রহন করেছি? অনেকেই হয়তোবা কিছুটা চেষ্টা করে শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্ত প্রশ্ন থেকে যাই সঠিক ভাবে হচ্ছে কি?

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ও সঠিকভাবে শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য নিচের ১০ টি পরামর্শ আপনাকে যতেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করতে পারে। তাহলে আর দেরি কিসের এখনই পড়ে নিন, যা আপনাকে সুন্দর একটি জীবন পেতে ভূমিকা রাখবে। এবং এটি আপনার কাছের মানুষদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন, যেন তারাও উপকৃত হয়।

শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য ১০টি পরামর্শ

০১। ভালো ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রথমেই ভালো ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। মানুষ যেগুলোর জন্য বেঁচে আছে তার মধ্যে খাবার অন্যতম। নিয়মিত খাবার না খেলে খুব শীঘ্রই আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন। এবং কাজ করার মতো কোন শক্তি বা মন মানুসিকতা কিছুই থাকবে না। তাই শরীরের যত্নে বা ভালো রাখার জন্য প্রথম এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ ধাপই হচ্ছে খাবার। তবে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, ভালো ও পুষ্টিকর খাবার যেন হয়। খাবার না খেলে যেমন অসুস্থ হয়ে যাবেন ঠিক খারাপ বা ক্ষতিকর খাবার খেলেও একই অবস্থা হবে। তাই অবশ্যই নিয়মিত দেখে শুনে ফরমালিন মুক্ত ভালো ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

০২। উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সত্যি কথা বলতে আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে জানি না উত্তম স্বাস্থ্যবিধি গুলো কি কি? আবার মেনে চলবোই বা কিভাবে। শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে উত্তম স্বাস্থ্যবিধি গুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। উত্তম স্বাস্থ্যবিধি শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে বিরাট ভূমিকা রাখে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। আপনি ভালো ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলেন, কিন্ত সঠিক স্বাস্থ্যবিধি যদি না মেনে চলেন, এইসব খাবার কোন কাজেই আসবে না। বরং আপনি খুব তারাতারি অসুস্থ হয়ে যাবেন। বড় বড় চিকিৎসকরা সবসময় উত্তম স্বাস্থ্যবিধি সঠিক ভাবে মেনে চলার জন্য অনেক গুরুত্ব সহকারে বলে থাকে।

  • তাহলে জেনে নিন ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ উত্তম স্বাস্থ্যবিধি। এখানে কিক্ল করুন!

০৩। সঠিক উপায়ে ত্বক ও চুলের যত্ন নিন।

মানুষের ত্বক ও চুলকে সৌন্দর্যের একটা বিশেষ প্রতিক বললেই চলে। ত্বক ও চুলের সঠিক যত্নের ফলে শরীর ও মন ভালো থাকে, মন সতেজ থাকলে যেকোনো কাজ সঠিক, সুন্দর ও ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে করা যায়। এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কিন্ত আমরা অনেকেই এইটার গুরুত্ব দেই না তেমন, বিশেষ করে ছেলেরা। যদি আপনার ত্বক ও চুল পরিষ্কার ও সুন্দর থাকে, তাহলে অন্য ১০ জনের চেয়ে আপনাকে দেখতে ভালো লাগবে। ছেলেদেরকেই সবচেয়ে বেশি ত্বকের যত্নে সজাগ থাকা উচিত। কারণ, প্রায় সময় ছেলেরা বাহিরে থাকে, অফিসে ও বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যায়, ফলে রাস্তার ধুলা-বালু ত্বক ও চলে এসে পরে এবং দীর্ঘসময় রোদে থাকার কারণে চেহারা কালো হয়ে যায়। বেশিক্ষন রোদে থাকলে ঘামে ভিজে ও ধুলা বালু মিশে চুল ড্যামেজ হয়ে যায় বা অকালে ঝরে যায়। তাই সবারই ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত, বিশেষ করে ছেলেদেরকে গুরুত্বসহ কারে যত্ন নেওয়া উচিত, যদি শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাই এবং তাহলে অবশ্যই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে।

  • জেনে নিন ত্বক ও চুলের যত্ন ১০ টি সেরা টিপস, এখানে কিক্ল করুন!

০৪। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান ও ব্যবহার করুন।

পানির অপর নাম জীবন, তাই প্রতিদিনই প্রচুর পানি খেতে হবে। তবে সবসময় অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। পানিতে রয়েছে অনেক শক্তিশালী ও কার্যকর উপাদান যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের গঠন উন্নত করতে বিরাট সহায়তা করে। যেমন- দেহের রক্তের ক্ষতিকর টক্সিন দ্রুত শরীর থেকে বের হয়ে যায় যা শরীরের জন্য অনেক ভালো, ত্বক পরিষ্কার ও কোমল রাখে, পানি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, দেহের রক্ত উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, পাকস্থলীর ব্যথা কমাতে ও পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং আরও অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। তাই বিশুদ্ধ পানি ছাড়া শরীর সুস্থ রাখার কোন চিন্তায় করতে পারবেন না।

  • দৈনিক কত লিটার পানি খাওয়া উচিত এবং এর উপকারিতা কী কী, এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে, এখানে কিক্ল করুন!

০৫। স্বস্তিতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

সুস্বাস্থ্য ও ভালো ফিগারের জন্য নিয়মিত স্বস্তিতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। সারাদিন কাজ করার পর অবশ্যই আপনাকে স্বস্তিতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। এখানে পর্যাপ্ত বলতে বোঝাচ্ছি আপনার কতটা সময় ঘুম প্রয়োজন, কতক্ষণ ঘুমালে আপনার শরীর ও মন সতেজ হবে। আর এইটা সম্পরন নির্ভর করবে আপনার পরিশ্রমের উপর।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছে, দৈনিক ন্যূনতম ৬/৭ ঘণ্টা ঘুমানো জন্য, এতটুকুই যতেষ্ট শরীর সুস্থ রাখতে। তবে অবশ্যই স্বস্তিতে ঘুমানোর চেষ্টা করবে হবে। আমরা অনেক সময় খুব তারাতারি করে যতেষ্ট টেনশন মাথায় নিয়ে ঘুমাতে যায়। এর ফলে বিভিন্ন নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা আমাদেরকে অস্বস্তি করে তুলে। তাই শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে অবশ্যই আপনাকে স্বস্তিতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। আর সেটা যেন হয় রাতে, অর্থাৎ রাত ১১/১২ থেকে সকাল ৫/৬ টা পর্যন্ত ঘুমাতে পারলে শরীরের জন্য ভালো।

০৬। নিয়মিত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন।

মনে রাখবেন সকালের সময়টা হচ্ছে দিনের সবচেয়ে মূল্যবান ও কার্যকারী সময়। আপনি সকালে মনোযোগ দিয়ে যেকোন কাজ করতে পারবেন সহজেই। কারণ নিয়মিত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারলে আপনার দেহ ও মন দুটোই সতেজ থাকে। এবং খুব সহজেই কাজের প্রতি মননিবেশ হওয়া যায়। তখন আপনি রুটিন অনুযায়ী ঠাণ্ডা মাথায় প্রয়োজনীয় কাজটি করে ফেলুন। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারলে যতেষ্ট উপকার পাওয়া যায় এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। সব বিখ্যাত ব্যক্তিরাই বলেছেন, সফল হতে হলে ভোরের আলো দেখতে হবে।

এখন প্রধান কথা হচ্ছে নিয়মিত খুব সকালে কিভাবে উঠবেন? আসলে সকালে ঘুম খুবই আরামদায়ক হয়ে থাকে যা কারণে এত সহজেই ঘুম ভাঙতে চাই, ঘুম ভাঙলেও বিছানা থেকে উঠতে মন চাই। এইটা ধীরে ধীরে বধ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তাই অবশ্যই এখন থেকেই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ জেনে নিন, ৫ টি কার্যকর উপায়ে কিভাবে খুব সকালে ঘুম থেকে স্বস্তিতে উঠবেন, এখানে কিল্ক করুন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে যে ৫ টি কাজ করা উচিত না। এখানে কিক্ল করুন!

০৭। নির্দিষ্ট সময়ে শারীরিক ব্যয়াম করুন।

শরীর ও মন সুস্থ রাখতে শারীরিক ব্যয়ামের গুরুত্ব অপিরিসিম। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে, “ব্যয়াম করুন, সুস্থ থাকুন।“ নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক ভাবে শারীরিক ব্যয়াম করার ফলে, যেকোন শারীরিক কার্যক্রম যা শারীরিক সুস্থতা রক্ষা বা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এবং শরীরের ভালো গঠন তৈরি করতে ও রোগমুক্ত অবস্থা বজায় রাখতে ও বিরাট ভূমিকা রাখে। এটি শরীর এবং মন দুটোকেই সুস্থ ও সতেজ রাখে। যেকোনো সময় ব্যয়াম করা যায়, তবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে করতে পারলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যায় এবং ব্যয়ামের ফলে যে উপকার গুলো পাওয়ার কথা, সেগুলো সঠিক ভাবে পাওয়া যায়। তাই শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য বা ভালো রাখার জন্য নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে শারীরিক ব্যয়াম করা উচিত।

মানব শরীরের উপর প্রভাবের ভিত্তিতে শারীরিক ব্যায়ামকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়:

• অ্যারোবিক ব্যায়াম
• অ্যানেরোবিক ব্যায়াম
• ফ্লেক্সিবিলিটি ব্যায়াম
উৎসঃ উকিপিডিয়া

একজন মানুষের জন্য শারীরিক ব্যয়ামের অনেক উপকারিতা রয়েছে, ব্যয়াম করার ১০ টি উপকারিতা জানতে এখানে কিল্ক করুন।

০৮। স্মার্টফোন থেকে কিছুটা সময় দুরে থাকুন।

স্মার্টফোন গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে যতেষ্ট ক্ষতিকর, কিন্ত মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা বুঝতেই পারি না কিভাবে ক্ষতি করছে। ক্ষতি তখনই বেশি হয়, যখন প্রয়োজনের অতিরিক্তি আপনি কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন। বর্তমানে স্মার্টফোন দিয়ে কিনা করা যায়, কল দেওয়া থেকে শুরু করে, বিনোদনের পাওয়ার জন্য, শপিং করা বা কিছু কেনাকাটার জন্য, ফেইসবুক ও ইউটিউব চালানোর আরও কত কাজই না খুব সহজেই করা যাই। এখন আপনি যদি নিজেই একটু হিসাব করে দেখেন, কতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। তাহলে দেখবেন এমনও হতে পারে দিনের অর্ধেক সময় থেকে বেশি আপনি ব্যবহার করে আসছেন। এইটাকেই আসক্ত বলে, তাই মাঝে মাঝে নিজেকে স্মার্টফোন থেকে কিছুটা সময় দুরে রাখুন।

স্মার্টফোন আসক্তি কমানোর ৫ টি কার্যকর উপায় জানতে এখানে কিক্ল করুন!

আর এখনতো আমরা ফেইসবুক ছাড়া চলতেই পারি না। হ্যাঁ ফেইসবুক দিয়ে খুব সহজেই যেকোনো জাইগা থেকে যোগাযোগ করা যায়। কিন্ত মনে রাখতে হবে এইটিতে আসক্ত হওয়া যাবে না। এমনকি আপনার পুরো জীবনকে নষ্টও করে দিতে পারে। তাই যতাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে ভালো কাজে ব্যবহার করার জন্য এবং কম সময় দেওয়ার জন্য। গবেষকরা বলেছে, যাঁরা পরপর তিন দিন ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে রাখেন তাঁদের ফেসবুকে ফিরে আসার প্রবণতা কমতে থাকে।

০৯। কিছু দিন পর পর ভ্রমনে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

ঘোরাঘুরি বা ভ্রমন করা সবারই ভালো লাগে। তারপরেও কেউ আছে একদমই ভ্রমনে যাই না, গেলেও অনেক দিন পর পর। এইটা মোটেও ঠিক না, কারণ ভ্রমনে শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট দিন পর পর ভ্রমন যাওয়া উচিত।

ভ্রমন সম্পর্কে বিখ্যাত ব্যক্তিরা বলেছে –
“ভ্রমণের জন্য বিনিয়োগ হচ্ছে নিজের জন্য বিনিয়োগ, ভ্রমন ও স্থান পরিবর্তন মনের মধ্যে নতুন প্রাণশক্তি তৈরী করে, ভ্রমণ পৃথিবীর একমাত্র জিনিস যার পেছনে অর্থ ব্যয় করে আপনি শুধু ধনী থেকে আরো ধনী হবেন।“

তাহলে বুঝতেই পারছেন ভ্রমন আমাদেরকে খুশি রাখতে কি ভূমিকা রাখে। ভ্রমনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, যেমন-

• শরীর ও মন স্বস্থ রাখে।
• মানসিক চাপ হ্রাস করে।
• নতুন কিছু শিখতে পারা যায়।
• সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
• ধৈর্যশীলতা বৃদ্ধি করে।

ভ্রমনের ১০ টি গুরুত্ব ও উপকারিতা বিস্তারিত জানতে, এখানে কিক্ল করুন!

১০। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা ও মন খুলে কথা বলুন।

হ্যাঁ সমসময় ইতিবাচক চিন্তা আর মন খুলে কথা বলা ও হাসি খুশি থাকা আপনাকে সুস্থ রাখতে অনেকখানি ভূমিকা রাখবে। ইতিবাচন চিন্তাতে বেশ শক্তি রয়েছে, যা আপনাকে সুখী রাখতে বেশ সহায়তা করবে। ঠিক মন খুলে কথা বলাও শরীরের জন্য যতেষ্ট উপকারী। বিশেষজ্ঞরা সর্বদা মন খুলে কথা বলার এবং হাসার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছে।

মন খুলে কথা এবং হাসতে পারলে যে সুবিধা গুলো শরীরের জন্য পাওয়া যাবে –

• শারীরিক গঠন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,
• মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে,
• বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,
• মন সবসময় সতেজ রাখে,
• এবং অযথা চিন্তা ভাবনা দূর করতেও ভূমিকা রাখে।

ইতিবাচক চিন্তার অধিকারী হওয়ার ধাপ গুলো হচ্ছে –

• যেকোনো পরিস্তিতে সঠিক ও ভালো চিন্তা করা,
• ইতিবাচক মানুষের সাথে চলা ও অন্যদের সাহায্য করা ,
• নিজের কাজকে বা পজিশনকে নিয়ে সর্বদা সন্তোষ্ট থাকা,
• কোন ভুল হয়ে থাকলে এর কারণ বের করার চেষ্টা করা,
• এবং ব্যর্থতাকে স্বাগত জানানো ও একটা সুযোগ হিসেবে গ্রহন করা।

শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এতক্ষণে হইতো যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সর্বদা ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা ও মন খুলে কথা বলা এবং হাসাহাসি করা কতটা প্রয়োজনীয়।

Leave a Comment