মাইক্রোস্টক গ্রাফিক ডিজাইনার
মাইক্রোস্টক গ্রাফিক ডিজাইনার খালিদ সাইফ

আমি খালেদ সাইফ, নিজেকে একজন ডিজাইনার হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করি । তবে এখনো অনেক দূরে পাড়ি দেওয়া বাকি তাই পুরোপুরি ডিজাইনার দাবি করার সময় হয়তো এখনো হয়নি।

পেশাঃ পেশা বলতে আমি এখনো ছাত্র, পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করছি। পড়াশুনা বলতে ২০১৬ তে SSC পাশ এর পর ঢাকায় আসা তারপর মোহাম্মদপুর গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট থেকে কম্পিউটার টেকনোলজি ডিপ্লোমা ৮ম পর্বে আছি, করোনার কারণে ইন্টার্নি আটকে আছে তাই এখনো ডিপ্লোমা পাশ করা হয়নি। যেহেতু ফ্রিল্যান্সার, তাই বাসা থেকেই কাজ করা হয়, যদিও ঢাকায় আমি আমার ফুফুর বাসায় থাকি আর সেখান থেকেই আমার সব কিছু।

এখন পর্যন্ত আমার পার্সোনাল প্রোফাইলে ভিন্ন ভিন্ন মার্কেট এ প্রায় ১০০০+ প্রোডাক্ট আছে তবে আমি আমার প্রোফাইল থেকে বেশি আমার টিম এবং আমার টিমের প্রোফাইল থেকে প্রেজেন্ট করতে ভালোবাসি কারণ সেটাই আমার পরিচয়, আর টিম কে নিয়েই আমার যত স্বপ্ন, যত পরিশ্রম।

আমার গ্রাফিক ডিজাইন এ আসার গল্পটা একটু ভিন্ন। কম্পিউটার টেকনোলজিতে পড়ার সুবাদে আমার শিখা শুরু হয় ওয়েব ডিজাইন দিয়ে, সেখানে ইউটিউব থেকে শুরু করা, তারপর নিজে প্র্যাক্টিস, পরে এক ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে কোন এক নতুন আইটি সেন্টার থেকে ১ হাজার টাকায় আমার বেসিক শিখা শুরু। তবে উনারা ৪০% ক্লাসের মাঝেই কোর্স শেষ করে দেয়, তাই আর শিখা হয়নি। এখন ফাইনেন্সিয়াল অবস্থা এত ভালো ছিলো না যে কোথাও শিখবো। আর ক্যাম্পাসে আমরা প্রথম ব্যাচ ছিলাম কম্পিউটারের, তাই সিনিয়র কেও ছিলো না যে এই বিষয়ে হেল্প করবে । আমার কলেজ যেহেতু গ্রাফিক আর্টস, বাংলাদেশ এর এক মাত্র কলেজ যেখানে গ্রাফিক ডিজাইন এবং প্রিন্টিং এর উপর ডিপ্লোমা পড়া যায়, তাই সব সময় কলেজে শুনি ডিজাইন প্রিন্টিং রিলেটেড কথা । সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হওয়া আমি কলেজ এ ডিজাইন নিয়ে শুনতে শুনতে আসলে ডিজাইন এর প্রতি ইন্টারেস্ট জাগা।

কলেজে একজন সিনিয়র ভাই ছিলো, উনার অনেক ক্রেডিট আছে আমার এইখানে আসার পেছনে। সত্যি বলতে আমি প্রোফেশনালি কোথাও শিখিনি, কলেজে বড় এক ভাই থেকে ডিজাইন বেসিক টুলস শিখা, সেটাও বেশি দিন করা হয়নি সমস্যার কারণে। কারণ উনাকে আমি ১৫০০ টাকা মতো পে করেছিলাম যেটা আমার হাতে থাকা মোবাইল বিক্রি করে আমি পেয়েছিলাম। আর পসিবল হয়নি তাই নিয়মিত করা হয়নি। এবং কি কলেজে এসে যে ক্লাস করবো, তারপর উনার ক্লাস করবো মাঝে মাঝে সেই অবস্থা ছিলো না, পকেট খালি থাকতো, ক্লাস মিস দিতাম কারণ আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে কলেজে আসা যাওয়া গাড়ি ভাড়া প্রায় ৮০ টাকার উপরে লাগতো। আমাদের সেমিস্টার ফি মাত্র ২ হাজার টাকা ছিল, সেটাও ব্যবস্থা করতে পারিনি এমনও দিন গেছে আমার, তবে কয়েকজন মানুষ এর সাপোর্ট সব সময় পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি, যাই হোক এই গল্প বিশাল, লিখা শুরু করলে শেষ হবে নাহ। সময় টা ২০১৭ এর শেষ দিকের কথা।

তারপর আর কি, কোন রকম নিজ থেকে শুরু করলাম ক্যাম্পাসে আরেকজন সিনিয়র ভাই ছিলো (লিখন ভাইয়া) যাকে আমি সব সময় ফলো করতাম এখনো করি। ভাই থেকে অনেক ইন্সপায়ার হয়েছি এবং উনার ইন্সপায়ার গুলো আমাকে কাজ করার শক্তি জোগাতো, এইভাবে শুরু করা। ফ্যামিলির সাপোর্ট বলতে ফ্যামিলি তেমন কিছু বলেনি। শুরুতে এইটা বলতো যে শিখো, যেইটা ভালো লাগে, যা শিখো ভালোভাবে শিখ যাতে কাজে লাগে, তবে তারা হয়তো ফাইনেন্সিয়ালি তেমন হেল্প করার পরিস্থিতিতে ছিলো না তখন।

কারণ আমি নিজেই চাইতাম না ঋণের বোঝা মাথায় নিতে। আমি নিজেও চাওয়ার শক্তি পাইনি, কারণ তখন সেই পরিস্থিত ছিলো নাহ।

আমি ২০১৭ মাঝামাঝি তে কাজ শুরু করি এখন পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি, ইনশা-আল্লাহ আরো কাজ করে যাবো ।
১৫০ ডলার লস দিয়ে আমার অনলাইন ক্যারিয়ার এর যাত্রা শুরু, আব্বুর ফ্রেন্ড এর ফেসবুক পেইজ বুস্ট দিতে ডলার প্রয়োজন। একজন চিটার আমাকে এক প্রকার লাইফ শেষ করার মতো অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলো। এত টাকা আমি কোথায় পাবো, তখন তো ১০০ টাকাও পকেট এ ছিলো নাহ, নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিলো সেইদিন আমার পাশে কোন ফ্রেন্ড ছিলো নাহ তবে ২ জনকে পাশে পেয়েছি একজন আমার কলেজ ফ্রেন্ড প্রিয়, আরেকজন আমার ফিউচার লাইফ পার্টনার, মিম।

সত্যি বলতে আমার ক্যারিয়ার এখন পর্যন্ত আসা সাপোর্ট ভালোবাসা ইন্সপায়ার সব কিছুই মিম থেকেই পেয়েছি এবং এখন পর্যন্ত তার সাপোর্ট পেয়েই এগিয়ে যাচ্ছি । সত্যি বলতে ফাইবার আপওয়ার্কে আমি ১০০% ব্যর্থ কারণ আমার তেমন কোন গাইড লাইন ছিলো না, ভালো স্কিল ছিলো না, কাজ করিনি এমন না, কাজ করেছি, প্রায় ৪০+ ফাইবার এ রিভিউ ছিলো, আপওয়ার্কে এ ৩/৪ টা প্রজেক্ট কাজ করা ছিলো তবে সেটা ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে কোন এক ভুলের কারণে আমি আমার সব কিছু হারাই, ফাইবার এ এর পর আর কাজ পাইনি । আর NID না থাকার কারণে আপওয়ার্ক ও প্রাইভেট করে দেওয়া হইছিল।

তারপর আমার আসলে এত এত বাজে দিন গেছে সেটা আমি হয়তো লিখে বোঝাতে পারবো নাহ।
ফ্যামিলি তে একদিকে ঋণের চাপ অন্য দিকে আব্বুর ব্যবসা নেই এক প্রকার বেকার বলা যায়, পুরো পাগল হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো বলা যায়। তারপর কি করবো কি করবো কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম নাহ, ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও দেখতে দেখতে সাটারস্টক সম্পর্কে জানতে পারি । তখন আসলে শুরু করা হয়নি। ২০১৮ রমজান মাস এ কথা। আমি আমার ফ্রেন্ড রুদ্র, ২ জন ব্যর্থ ডিজাইনার তারাবির নামাজ না পড়ে ২ জন ক্যান্টনমেন্ট এর চিপায় গাছের নিচে মামার দোকানে বসে ২ কাপ চা নিয়ে প্লানিং শুরু করি যে এই মার্কেট এ কাজ শুরু করবো। ২ জন মিলে পুরো রমজান মাস ইচ্ছে মতো রিসোর্স করলাম সারাদিন রাত। তারপর আসলে মাইক্রোস্টক এ আসা, সাটারস্টক দিয়েই যাত্রা শুরু, ইউটিউব এ তেমন কোন রিসোর্স ছিলো না তখনো, এখনো নাই। গুগল এর, সাটারস্টক এর ব্লগ থেকে পড়েই আমার মাইক্রোস্টক এর যাত্রা শুরু, আর এখন পর্যন্ত সত্যি বলতে প্রায় ১০+ স্টক মার্কেট এ কাজ করেছি শুরু মার্কেট সম্পর্কে জানতে তবে আমি আমার টিম এখন মাত্র অল্প কিছু মার্কেট এ কাজ করি যেইগুলো আমার রিসার্চে বেস্ট বের হয়ে এসেছে সেইগুলো তে এখন কাজ করা হয় । কারণ আমি মনে করি একাধিক মার্কেট এ কাজ করে সময় নষ্ট করার চেয়ে বেস্ট অল্প কয়েকটা মার্কেট এ কাজ করেই ভালো একটা আউটপুট পাওয়া যায়।

বর্তমানে আমি এবং আমার টিম সবাই যা করে তার থেকে একটু ভিন্ন কিছু করার চেস্টা করতেছি এবং করে যাচ্ছি। আমরা এখন গ্রাফিক্যাল এলিমেন্ট নিয়ে বেশি কাজ করি, যেমন ব্রাকগ্রাউন্ড, অর্নামেন্ট, পাশাপাশি ব্রান্ডিং আইডেন্টিটি সেট আর স্পেশাল হিসেবে আছে আমার লাস্কারি এবং মর্ডান টাইপের ব্রাকগ্রাউন্ড ডিজাইন, যার চাহিদা সব সময় ভালো কম্পিটিটর, তাই এইটাই চয়েজ করা আমাদের। যদিও এইটা শিখার পিছনে অনেক গল্প অনেক সময় অনেক কস্টের ফল বলা যায়, তবে এইখানে আমি আমার গুরু আমার টিমের আরেকজন ফাউন্ডার সাইফুল ইসলাম সাইমন ভাই কে বেশি ক্রেডিট দিতে চাই।

আমি রাত জাগী কম, আর বাসা থেকেও নিষেধ আছে, আর আব্বুকে অনেক ভয় পাই, উনি বকা দেয় রাত জাগলে, আর এমনিতে রাত জেগে কাজ করা আমি পছন্দ করি নাহ । আমি ঘুম পাগল মানুষ, প্রচুর ঘুমাই। তাই রাগ জাগা হয় একটু হলেও তবে রাত জেগে কাজ করা হয় নাহ। ১২ টার মধ্য কম্পিউটার অফ করতে হবে এইটা আব্বুর নির্দেশ আর মাঝে মাঝে কাজের চাপ থাকলে সেটা ভিন্ন কথা । আমি মূলত বিকেলে ৩টা থেকে বসি আর রাত ১২ টা উঠি। আর এখন যেহেতু LEDP তে ট্রেনিং করাই সেই হিসেবে সকাল ৯টায় বসি প্রায় রাত ১২ টায় উঠা হয় আমার, তাই রাত জাগার সুযোগ নাই।

একদিনে কয়টা ডিজাইন করি সত্যি বলতে এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নাই। পুরোটা নির্ভর করে আমি কি কাজ করতেছি, কোন মার্কেট এর জন্য করতেছি, আমি সব সময় কোয়ালিটি তে বিশ্বাসী। তাই আমার কাছে কোয়ালিটি আগে। এর জন্য যদি সারাদিন একটা ডিজাইন করা লাগে আমি সেইটাই করি। কারন আমি বিশ্বাস করি যে একটা ডিজাইন এর কোয়ালিটি ঠিক থাকলে সেটার আউটপুট আমি ১০০% ভালোই পাবো । তাই আমি কোয়ান্টিটিতে নজর না দিয়ে কোয়ালিটি দিকে নজর দিয়ে কাজ করি। তাই আসলে সত্যি বলতে পারছি না কয়টা ডিজাইন করি।

সত্যি বলতে ক্লাইন্ট এর কাজ পার্সোনালি আমি খুব পছন্দ করি নাহ, কারন ক্লাইন্ট এর কাজে ক্লাইন্ট কি চাচ্ছে এবং তার রিকোয়ার্মেন্ট অনুযয়ী কাজ করতে হয়। তাই চাইলেও আমি ইউনিক কিছু করতে পারি নাহ। যদি সে না চায়, তার উপর রিভিশন এর প্যারা তো আছেই, তবে প্যাসিভ এর পাশাপাশি এক্টিভ ইনকাম ও দরকার। প্রয়োজনে আমার সব রিকোয়ার্মেন্ট মিলে গেলে বড় প্রজেক্ট হাতে নিই আমি আমার পুরো টিম। আমি বেশি মাইক্রোস্টক এর জন্য ডিজাইন করতে পছন্দ করি এতে করে আমার স্বাধীনতা থাকে। পাশাপাশি ট্রেন্ড এবং মার্কেট এর চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করার সুযোগ থাকে আর কারনে এইখানে ঠান্ডা মাথায় কাজ করা যায় ইচ্ছে মতো চেঞ্জ করা যায় ইচ্ছে মতো কনটেণ্ট বসানো যায়।

মাইক্রোস্টক এ আমার অভিজ্ঞতা সব সময় ভালো ছিলো, কারন আমি কোন মার্কেট বা কোথাও কোন কাজ করার আগে সেই মার্কেট সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিই এবং সেটা আমার পক্ষে করা পসিবল কিনা সেটা ভেবেই কাজে নামি । মাইক্রোস্টক এ কিছু মার্কেট এ ফাইল এপ্রুভ করানো পানির মতো সহজ, আবার কিছু মার্কেট এ অনেক কঠিন, তবে আমি কাজ করলে কঠিন মার্কেট এর কথা ভেবেই কাজ করি কারন আমি আগেও বলেছি আমি কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী । এক মার্কেট এ সহজে এপ্রুভ করে সেই ভেবে যদি ডিজাইন করতে বসি মানে সময় + স্কিল ২টাই নস্ট করা হয় কারণ এতে করে ভালো কাজের আইডিয়া জন্ম নিবে নাহ সাথে ভালো ডিজাইন ও আসবে নাহ। আর ভালো ডিজাইন না আসলে সেল পাওয়ার চান্স নাই।

মাইক্রোস্টক এ কাজের সুবিধা মধ্যে ১ম হচ্ছে আমি স্বাধীন, আমি আমার মনের মতো আমার হাতের উপর পুরো কাজ করতে পারি । সেটা অব্যশই মার্কেট রিসার্চ এবং মার্কেট এর চাহিদার উপর ভিত্তি করেই করি । তারপর এইখানে কোন ডেডলাইন নাই যে আজকেই আমাকে ফাইল দিতে হবে নাইলে বাজে রিভিউ দিবে বা ডেলিভারী লেইট হবে । তাই আমি এইখানে যখন খুশি কাজ করতে পারি যখন খুশি ঘুম আর যখন খুশি নিজের নতুন স্কিল ডেভেলপ এ সময় দিতে পারি। আবার ফ্যামিলি কেও সময় দিতে পারি।

আমি নতুন আইডিয়া কিভাবে পাই সেটার কিছু সিস্টেম এর এর মধ্য সর্ব প্রথম হচ্ছে স্কেচ করি। একদম বেসিক যাস্ট পেন্সিল টা কে বাচ্চাদের মতো আকিবুকি করি কারণ আমি প্রোফেশনাল স্কেচ জানি না। দ্বিতীয়ত আমি রিসার্চ করি বেশি, অনেক বেশি ডিজাইন দেখি, আমাদের ক্ষেত্রে অনেক জনকেই লক্ষ্য করলাম যখন কোন কাজ একটু ক্রিয়েটিভ দেখি বা একটু কঠিন মনে হয় সেটা কে আমার পক্ষে পসিবল নাহ বলে রেখে দেই । তবে আমি একটু ভিন্ন আমি যখনি কোন ক্রিয়েটিভ ডিজাইন দেখি বা কোন ইউনিক ডিজাইন তখন সেটা ডাওনলোড করা পসিবল হলে সেটা ডাওনলোড করে কিভাবে ইফেক্ট দেওয়া হইছে, কিভাবে লাইন টানছে কিভাবে এরেঞ্জমেন্ট করছে সেটা কে খুলে খুলে শিখি, আর যদি সেটা পসিবল না হয় তাহলে নিজ থেকে ট্রাই করি, ইউটিউব গুগল এর হেল্প নিই। আমাদের মধ্য বড় আরেকটা সম্যসা হচ্ছে আমরা ইউটিউব গুগল থেকে হেল্প নিয়ে ইউটিউবার কি বানাচ্ছে সেটা কে হুবহুব বানিয়ে শিখার চেষ্টা করি । তবে কোন দিন সে কিভাবে ইফেক্ট দিচ্ছে বা কোন লাইন বা ইফেক্ট বা সেপ কিভাবে কাজ করতেছে সেটা শিখার চেষ্টা করি না, যার কারণে কিছু শিখেও সেটা কিভাবে কাজ করে এবং কোথায় কাজে লাগাইতে হয় সেটা আমরা জানি নাহ, এইটাই বড় সমস্যা।
তবে আমি প্রতিদিন শিখি নতুন ভাবে শিখি নাইলে নিজের মতো করে শিখে নিই, কারন যখন আমি সিদ্ধান্ত নেই যে আমি একটা কিছু শিখবো তখন আমি সেটা যেকোনো ওয়েতে হলেও শিখি, শখ পুরন করার জন্য হলেও শিখি ।

আমি একা থেকেও বেশি আমার টিমে পছন্দ করি। আমার ছোট একটা টিম আছে Dnezel. এই টিমকে নিয়ে আমার স্বপ্ন, আর আমার এইখানে বা এতদুর আসার পিছনে আমি যদি ক্রেডিট দিতে চাই তাইলে পুরোটাই আমার টিমকে, কারন আমাদের টিমের প্রতিটা মেম্বার ডেডিকেটেড আর আমি সেই টিমকে লিড করতেছি, আর ফিউচারে ইচ্ছে আমার সব টার্গেট স্বপ্ন আমার এই টিম এবং টিম মেম্বারদের নিয়ে।

সামনে প্লান অনেক বড়। আমি আবার টিম এলরেডি বড় কিছু স্টার্ট-আপ প্লান নিয়ে আগাচ্ছি। বিশেষ করে মাইক্রোস্টক মার্কেট এ কাজ করার এক্সচপেরিয়েন্স নিয়ে আমরা নিজেরাই ফ্রি গ্রাফিক রিসোর্স সাইট নিয়ে কাজ শুরু করেছি (Crowdgraphic.com).

আশা করি আগামী মাসেই সেটা অফিশিয়াল ভাবে চালু করতে পারবো। এখন আমার স্বপ্ন এই ওয়েবসাইটকে নিয়ে অনেক শক্ত পজিশন এ যেতে যাই, এই ওয়েব সাইট এ সব ধরনের ডিজাইন নিয়ে আমরা কাজ করবো। সাথে অন্য ডিজাইনার কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করতে পারবে। এতে করে দেশের ডিজাইনাদের উন্নতি হবে পাশাপাশি আমরা এমন একটা ওয়েব সাইট কে নিয়ে পুরো বিশ্বে আমাদের শক্তি প্রমান করতে পারবো।আগামী ৫ বছরে ডিজাইন সেক্টর এ মিলিয়ন এর কাতারে আমি না শুধু আমার পুর টিমকে দেখতে চাই আর সেই হিসেবেই কাজ করতে যাচ্ছি, ইনশা-আল্লাহ সফল হবো।

নতুন যারা ডিজাইন এ আসতে চাচ্ছে বা যারা এলরেডি কাজ করতেছে তাদের উদ্দেশ্য কিছু কথা বলবো। আগে স্কিল ডেভেলপ করে নিজেকে শক্ত পজিশন এ নিয়ে আসতে হবে। তারপর মার্কেট প্লেস এ সেই স্কিল দিয়ে রাজ্যত্ব করতে হবে। পাশাপাশি ট্রেন্ড এবং মার্কেট রিসার্চ করে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার ইচ্ছে শক্তি থাকবে হবে এবং নতুন কিছু শিখতে হবে।

ধৈর্য পরিশ্রম আর সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক শিক্ষা নতুনদের সফলতার মুখ দেখাবে। তবে হুট করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সময় পরিশ্রম এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে, আপডেট থাকতে হবে। এইটা একটা যুদ্ধের ময়দান যেখানে আপনার স্কিল আপনার কৌশল আপনাকে বিজয় এনে দিবে, না হয় পরাজয়। তবে হতাশ না হয়ে নতুন কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে শক্তি থাকতে হবে।

মাইক্রোস্টক এ নতুন যারা আসতে চাচ্ছেন বা যারা শুরু করেছেন তাদের জন্য কিছু কথাঃ

১. যেই মার্কেট এ কাজ করবেন সেই মার্কেট সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা
২. তাদের রুলস সম্পর্কে জানা
৩. ট্রেন্ড ফলো করা
৪. ডিজাইন এর বেসিক রুলস স্ট্রং ভাবে ফলো করা
৫. লো কম্পিটিটর নিস চয়েজ করে কাজ করা
৬. ইউনিক ডিজাইন করা
৭. অন্যদের থেকে আলাদা ডিজাইন করা
৮. মার্কেট রিসার্চ, সেই মার্কের এর চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা
৯. ধৈর্যশীল হওয়া
১০. প্রতিনিয়ত আপডেট থাকা আর স্কিল ডেভেলপ করা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here