সফল ফ্রিল্যান্সারের গল্প
সফল ফ্রিল্যান্সারের গল্প

পৃথিবীতে যত সফল মানুষ আছেন, প্রত্যেকেই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত ও যথেষ্ট পরিশ্রমের দ্বারাই হয়েছেন। মনে রাখবেন, নিজের সাফল্যের জন্য নিজেকেই ভালোভাবে প্রস্তত করতে হবে, আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে সঠিক রাস্তা বা সফল পথ।

আজকে ট্রেন্ডি বাংলায় জানতে পারবেন একজন ফ্রিল্যান্সারের স্বপ্ন পূরণের গল্প। চলুন অসাধারণ স্বপ্ন পূরণের গল্প উনার থেকেই বিস্তারিত শুনে আসি –

আমি সুলেমান আহমদ, ফ্রিল্যান্সিং করছি গত 3 বছর থেকে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে। ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি পড়াশোনা করছি মদনমোহন কলেজে অনার্স সেকেন্ড ইয়ার এ। বর্তমানে পরিবারকে নিয়ে সিলেট শহরেই বসবাস করি।

এখন পর্যন্ত আপওয়ার্কে ১৩০টা জব কমপ্লিট করেছি। এছাড়াও অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এবং কিছু ফিক্সড ক্লায়েন্ট আছে যাদেরকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি।

প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং জার্নি শুরুর দিকটা বলে নেই –

আমি শুরু করেছিলাম ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসাবে। তখন আমি বিভিন্ন এডমিন সাপোর্ট এর কাজ করতাম, যেমন অ্যাপোয়েন্টমেন্ট সেটিং, রিয়াল ইস্টেট অ্যাপার্টমেন্ট লিস্টিং, কন্টাক্ট লিস্ট বিল্ডিং, ইমেইল মার্কেটিং, লিড জেনারেশন, স্কিপ ট্রেসিং ইটিসি। অনেকদিন এইভাবে কাজ করার পর উপলব্ধি করলাম যে একটা জায়গায় নিজেকে খুব ভালোভাবে পাকাপোক্ত করি, তারপরে আমার চিন্তাধারা একটু পরিবর্তন করি আর একটা স্পেসিফিক স্কিল নিয়ে আগাতে থাকি। আর সেটা হচ্ছে লিড জেনারেশন, লিস্ট বিল্ডিং, ওয়েব স্ক্রাপিং।

বর্তমানে আমি আমার স্কিল সেট আরো বাড়িয়েছি কারণ আমার স্বপ্নের পরিধি অনেক বড়। তাই আমার ছুটে চলা নিরন্তর, আমার স্বপ্ন আর ইচ্ছা আমি একজন বড় ডিজিটাল মার্কেটার হবো। তাই আমি এসইও শেখা শুরু করেছিলাম গত বছর। ধীরে ধীরে আমি এসইও শেখা শেষ করি এবং এখন এসইও নিয়ে ভালোভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।

বর্তমানে আপওয়ার্কে কাজ করার পাশাপাশি একটা এসইও সম্পৃক্ত এজেন্সি শুরু করেছি। তারই সাফল্য স্বরূপ বর্তমানে  তিনটা স্টার্টআপ কোম্পানিকে এসইও সার্ভিস দিয়ে আসছি। আমি কাজ পাগল মানুষ, তাই কাজের পরিধি বৃদ্ধি আর নতুন কিছু শিখতে চাই। বেশ কয়েকটি কাজে ব্যাসিক দক্ষতা অর্জন করেছি যেমন, গ্রাফিক ডিজাইন, এইচটিএমএল, ওয়ার্ডপ্রেস যা এখন আমার নিজের জন্য অনেক কাজে আসছে।

সফলতার পথ কতটা পাড়ি দিয়েছি –

আসলে সাফল্যের কোনো সংজ্ঞা হয় না। সফলতা একটি উপলব্ধির ব্যাপার। যখন একটা কাজ সম্পর্ণ করার পর ক্লায়েন্টরা আমার কাজের প্রশংসা করে, আমাকে উৎসাহ দেয় কাজের জন্য তখনই নিজেকে কিছুটা সফল মনে হয়।

লিড জেনারেশন এক্সপার্ট
নিজের ওয়ার্কস্টেশনে কাজে মগ্ন

আলহামদুলিল্লাহ আমি একটা জায়গা তৈরি করতে পেরেছি হাজার হাজার কম্পিটিটর এর মাঝেও বিশ্বের সবথেকে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে। আমার কয়েকজন ক্লায়েন্ট আছে যারা আমাকে রেগুলার কাজ দিয়ে থাকে, আমি সবসময় তাদেরকে কোয়ালিটি সম্পর্ণ কাজ দিয়েছি। কাজ দেওয়ার পর যত সময় পর্যন্ত আমার প্রতি খুশি হয়নি তত সময় পর্যন্ত আমি পেমেন্ট না নেওয়া চেষ্টা করি। কারণ আমি বিশ্বাস করি টাকার চেয়ে ভালো কাজ দেয়াটাই বড়।

এই কারণে তাদের সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই ৩ বছরের জার্নিতে এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

আমি বর্তমানে যে অবস্থানে আছি আমি সন্তুষ্ট। তবে এখানেই থেমে থাকতে চাই না, স্বপ্ন যে আমার বহুদূর, যেতে হবে অনেক দূর, পূরণ করতে হবে অনেক স্বপ্ন।

কোন কিছু পাওয়াকে আমি সফলতা মনে করিনা। কারণ আমি মনে করি সাকসেস হচ্ছে একটা জার্নি এটা ডেস্টিনেশন না। আর আমার এই ছুটে চলার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এমন কিছু করা যাতে দেশে বেকারত্বের অভিশাপ দূর হয়। আমি সেইসব জিনিসগুলো তাদের কাছে সহজ ভাবে উপস্থাপন করতে চাই যেগুলো আমি অনেক কষ্ট করে আয়ত্ত করতে পেরেছি। জীবনে কিছু করতে হলে কষ্ট তো অবশ্যই করা লাগবে, তবে আমি তাদের কষ্টগুলো হালকা করতে চাই। আমার কিছু পরিকল্পনা, ট্রিক্স আছে যা ইনশাআল্লাহ্ একসময় এক্সিকিউট করবো, যারফলে অনেক নতুনদের পথ সহজ হয়ে যাবে।

আমি আজকের পজিশনে যেভাবে এসেছি –

প্রথমেই বলি মা-বাবার দোয়াই আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। দুনিয়াতে কমবেশ সবাই কঠোর পরিশ্রম করে, কতজন সফল হয়? আমি খুব কঠোর পরিশ্রম করেছি তবে শক্তিটা পেয়েছিলাম মা-বাবার কাছ থেকে।
দিন রাতে এক করে কাজ করেছি। প্রতিদিন গড়ে ১৮ ঘন্টারও বেশি কাজ করেছি। কেউ কোন সাপোর্ট করেনি, অনেকের কাছে হেল্প নিতে এসেছি কিন্তু পাইনি। যে কারণে আমার আপওয়ার্ক প্রোফাইল এপ্রুভ করতেই সময় লেগেছিল প্রায় আট মাস।

তাই যারা সফল হয়েছেন তাদেরকে বলতে চাই, নতুনদের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিন। কারণ কয়েকটা মানুষকে যখন সফল করাতে পারবেন তখন নিজের মনের প্রশান্তি পাবেন, আপনার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করুন তাদের সাথে। এতে অনেকজন উপকৃত হবে।

সফল ফ্রিল্যান্সারের গল্প
ফ্রিল্যান্সিং করে প্রথম বাইক কিনেছি

আজকের পজিশনে আসতে আমার জীবনে সব থেকে সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে। কঠোর মনোবল আর রাত দিন এক করে পরিশ্রম করে এতটুকু আসতে পেরেছি৷

আমি চেষ্টা করেছি টাকায় ফোকাছ করার পরিবর্তে ক্লাইন্ট সেটিসফেকশন এর উপর ফোকাস করা। সবসময় রেডি থাকতাম যদি ক্লায়েন্ট বলে কাজ ভালো হয় নাই তাহলে আমি রিফান্ড করে দেব। এই কাজ গুলোই আজকের পজিশনে নিয়ে আসছে এবং আশা করি অনেক দূর নিয়ে যাবে।

সৎ ভাবে ডিটারমাইন্ড হয়ে কাজ করেছি, এখন পর্যন্ত কোনো কাজের ডেডলাইন মিস করিনি। আরেকটা জিনিস হচ্ছে কমিটমেন্ট। আমি যে কমিটমেন্ট করি যেকোন ভাবে তা পূরণ করি।

একটা জব একসেপ্ট করার আগে আমি সিম্পল প্রোভাইড করি যাতে আমাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা ক্লিয়ার হয়ে যায়। এবং ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে যে, আমি কাজটা করতে পারবো। আমি মনে করি এই জিনিসগুলো আমাকে সবার থেকে আলাদা ভাবে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে।

Lead Generation, Internet Research, B2B, LinkedIn & List Building এর ফিউচার সম্পর্কে কিছু ধারণা দেয় এবং কিভাবে শুরু করবেন –

আপনি যদি ডিটারমাইন্ড হন যেকোনো স্কিল নিয়ে সাকসেসফুল হতে পারবেন, এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। লিড জেনারেশন এবং লিস্ট বিল্ডিংয়ের ফিউচার অনেক ভালো। যদি কেউ চায় খুব দ্রুত কোন কাজ শিখতে তাহলে এই স্কিলটা তার জন্য পারফেক্ট। দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে কাজ শিখতে, আরো দুই তিন মাস প্র্যাকটিক্যাল কাজ করলেই সে এক্সপার্ট হতে পারবে। তবে যে কাজই শিখেন না কেন ক্লিয়ার ভাবে শিখেন।

আমার অনেক বাজে এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে কাজ করতে গিয়ে লোকাল ওয়ার্কারদের সাথে। যখন আমার কাজের জন্য কাউকে হায়ার করা লাগে সবাই বলে আমি খুবই এক্সপার্ট আমার এত বছরের এক্সপেরিয়েন্স আছে কিন্তু যখন টেস্ট নিলাম দেখলাম 100 জনের মধ্যে 2 জন বা তিনজন ভালো কিছু করতে পেরেছে বাকিরা ধারে-কাছে যেতে পারে না।

টু বি অনেস্ট এই সেক্টর টা অনেক বড় একটা সেক্টর। মানুষ তাদের বিজনেস ডেভলপ করার জন্য প্রতিদিন অনেক অনেক ডাটা কালেক্ট করছে। প্রতিদিন নতুন নতুন কোম্পানি বাড়ছে এবং তাদের লিডের প্রয়োজন হচ্ছে। এ সেক্টরে বড় বড় কাজ পাওয়ার পসিবিলিটি অনেক বেশি।

আমি দেখেছি অনেকেই বড় কোম্পানিতে পার্মানেন্টলি জব করছেন যা চিন্তাই করা যায় না। যদি আপনি একা কাজ করেন তাহলে আপনার আর্নিং একসময় সীমিত হয়ে যাবে। আপনি চাইলেই একটা সীমার উপরে যেতে পারবেন না। কিন্তু যদি আপনার টিম থাকে টিম নিয়ে কাজ করেন তাহলে এখানে অনেক বড় বড় কাজ পাওয়ার পসিবিলিটি আছে।

তবে এই সেক্টরে কম্পিটিটর অনেক বেশি। আপনি সহজ কাজ মনে করে এই সেক্টরটি জয়েন করেছেন তাহলে ভুল করেছেন। কেননা যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা সহজ না। মার্কেটপ্লেসে সরাসরি ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে হলে আপনাকে কমপক্ষে এক বছর খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে প্রথম কাজ পেতে তাও আপনি যদি খুব ক্রিটিভ এবং ইউনিক হয়ে থাকেন।

অনেকেই তো পাঁচ বছর পরও পারে না। তবে যদি আপনি লিড জেনারেশন এনজয় করেন কাজ করার সময় তাহলে সেটা অন্য কথা।

তাই আমি বলবো যেহেতু আপনার এক থেকে পাঁচ বছর সময় এখানে লাগবে, আপনি অন্য কোন স্কিল চুজ করেন। যেমন ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, এসইও, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইটিসি।

কারণ এই কাজগুলো শেখা অনেক কঠিন যে কারণে তুলনামূলকভাবে আপনার কম্পিটিটর কম। আপওয়ার্ক ফাইবার সীমাবদ্ধ না থেকে আপনি চাইলে সরাসরি অনেক এজেন্সির সাথে কাজ করতে পারবেন। এবং এই স্কিল গুলো অনেক ডিমান্ডিং, রেইট অনেক বেশি। long-term কাজ পাওয়ার পসিবিলিটি বেশি। তবে যদি আপনার এই জিনিসগুলো ভালো না লাগে আপনি এগুলা নিয়ে বেশি দূর যেতে পারবেন না। সব সময় নিজের ভালো লাগাকে প্রায়োরিটি দিন।

কিভাবে কাজ শিখা শুরু করবেন?

বিভিন্ন source এর মাধ্যমে আপনি কাজ শিখতে পারবেন সেগুলোর মধ্যে ইউটিউব ও গুগোল অন্যতম। আপনার বেসিক স্ট্রং করার জন্য ইউটিউব ও গুগোলই প্রথম চয়েস হওয়া উচিত।

শুরুতেই আপনারা কোন কোর্সে ভর্তি হবেন না যতক্ষণ না বেসিক জিনিসটা ক্লিয়ার হবে। আমাদের দেশে ধান্দাবাজ এর অভাব নাই। তাদের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে ফাঁদে পড়বেন না।

আপনার আশেপাশে অনেকে ধান্দাবাজ রয়েছে যারা তিন মাস কাজ শিখে মাসে 1 লক্ষ টাকা ইনকাম করার প্রলোভন দেখায়। ভুলেও এদের ফাঁদে পা দিবেন না। তিন মাস পর যখন আপনি একটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন না তখন ফ্রিল্যান্সিং এর উপর থেকে আপনার বিশ্বাস উঠে যাবে, আপনার স্বপ্ন ভেঙে যাবে। তাই প্রতিষ্ঠান বাচাই করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই করে নিন।

সফল ফ্রিল্যান্সের গল্পউপরের ক্যাটাগরিগুলো দেখে যেকোনো একটি ক্যাটাগরি বাচাই করে নেন। হ্যাঁ অবশ্যই এমন ক্যাটাগরি বাচাই করুন যা করতে আপনার ভালো লাগে। আপনি যদি এ ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কাজ ভালোভাবে পারেন তাহলে আপনি একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।

কাজ শিখতে বেশি সময় লাগবে না যদি প্রবল ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষা থাকে। ভয় পেলে বা শুরু না করলে কিভাবে শিখবেন? আজকের দিনটি আপনার প্রিয় বিষয়টি শেখা শুরু করার জন্য কি একটি ভালো দিন নয়? তাই সময় ব্যয় না করে যা শিখতে আপনি আগ্রহী তা শুরু করে দিন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ –

সফল ফ্রিল্যান্সের গল্প
প্রজেক্ট কমপ্লিট করে রিলেক্স

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে পা রাখতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলব –

ফ্রিল্যান্সিং একটা সম্মানজনক পেশা। আমাদের দেশে অনেকেই মনে করে ফ্রিল্যান্সিং একটা স্কিল। আসলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটা পেশা যেখানে আপনি আপনার স্কিল টা কাজে লাগিয়ে আপনার ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন।

যারা নতুন এই সেক্টরে আসতে চায় তাদেরকে বলবো আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি চান? যদি টাকায় হয় প্রধান কাম্য তাহলে বেশি দূর যেতে পারবেন না। অবশ্যই টাকা তো লাগবেই তবে উদ্দেশ্য যেন হয় সঠিকভাবে কাজ করে কারো সমস্যা সমাধান করা

কারণ আপনি যদি কারো সমস্যার সমাধান না করেন তাহলে কেন টাকা দিবে? কাজ না করেই যদি টাকা ইনকামের চিন্তাধারা থাকে তাহলে আপনি কোনদিনও ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে পারবেন না।

আর অবশ্যই ইংলিশে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। যদি ঠিকভাবে কমিউনিকেট করতে পারেন না তাহলে কাজ করবেন কিভাবে? তাই আপনার কাজ শেখার পাশাপাশি ইংলিশ স্কিল ডেভেলপ করতে হবে।

দোয়া করি আপনার ফ্রিল্যান্সিং পথ সুন্দর এবং সফল হোক।

4 COMMENTS

  1. অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। এমন আরোও অনেক অনেক অনুপ্রেরণাময় প্রবন্ধ দেখতে চাই!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here