২০টি শাক সবজির গুণাগুণ ও উপকারিতা

শাক সবজির গুণাগুণ, দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরা প্রতিদিন কম বেশি শাক সবজি খেলেও, কোন সবজিতে কি ভিটামিন আছে, কোন শাক সবজি গুলো কি কি উপকার করে, শরীরের কি সমস্যার জন্য কোন শাক সবজি খাওয়া উচিত, সেই সম্পর্কে আমাদের খুব বেশি ধারণা নেই।

সবজির গুণাগুণ সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ড. নাজমুল হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিনই কম বেশি সবজি খাই। স্বাস্থ্যকে সবল ও সুস্থ রাখতে আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত কোন সবজিতে কি গুণাগুণ রয়েছে।

এখানে আপনি জানতে পারবেন ২০টি শাক সবজির গুণাগুণ ও কার্যকরী উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, যা সাস্থ্য সম্পর্কে আপনার জ্ঞানকে একধাপ প্রসারিত করতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

২০টি শাক সবজির গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর, আপনি নিজেই নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ বোঝতে পারবেন, শরীর সাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমরা কম বেশি জানি এবং শুনে এসেছি যে শাক সবজির রয়েছে অনেক বিস্ময়কর উপকারিতা। এবং শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, এইগুলোতে পর্যাপ্ত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, আয়োডিন, ফসফরাস, সালফার ও ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যায়।

কিন্ত অন্যতম প্রধান উপকার গুলো সম্পর্কে একদমই ধারণা রাখি না, অর্থাৎ কোন সবজিটা শরীরের কি কাজ বা উপকার করে, কি রোগের জন্য কি শাক সবজি খাওয়া উচিত?

তাহলে আর অপেক্ষা না করে শুরু করে যাক –

০১। টমেটোঃ

• ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো ও উজ্জ্বল রাখে।
• ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
• দৃষ্টি শক্তির ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

০২। লাল শাকঃ

• দেহের রক্তশূন্যতা রোধ ও পরিষ্কার করে।
• দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
• চুলের গোঁড়া মজবুত করে।

০৩। পালং শাকঃ

• বাতের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন দূর করে।
• স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
• দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।

০৪। কলমি শাকঃ

• হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
• কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে।
• শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

০৫। শসাঃ

• পানিশূন্যতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
• ত্বক সুস্থ, কোমল ও উজ্জ্বল করে।
• হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

০৬। শিমঃ

• চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
• কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
• নিয়মিত শিম খেলে তা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

০৭। ফুলকপিঃ

• ক্যান্সার এবং টিউমার জনিত সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।
• হৃদ-স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
• শরীরকে বিষমুক্ত হতে সহায়তা করে।

০৮। বাঁধাকপিঃ

• হাড়ের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
• বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
• নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।

০৯। ব্রকলিঃ

• ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করে।
• মানসিক চাপ কমাতে ব্রকলি অবদান রাখে।
• চিনির প্রভাব রোধ করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখে।

১০। ঢেঁড়সঃ

• রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
• রুচি বাড়ায়, মন পরিষ্কার করে ও শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
• শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১১। করোলাঃ

• হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে অব্যর্থ।
• কৃমির সমস্যা দূর করে।
• দৃষ্টি শক্তির বিকাশ ঘটায়।

১২। লাউঃ

• দেহে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে।
• ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
• দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে।

১৩। বেগুনঃ

• ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
• হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা কমায়।
• মস্তিষ্কের নার্ভ সচল রাখে।

১৪। কচুর লতিঃ

• অ্যানিমিয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
• ত্বক এবং চুল ভালো রাখে।
• হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।

১৫। বিটঃ

• যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
• হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
• দেহের রক্ত স্বল্পতা দূর করে।

১৬। শালগমঃ

• ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
• শারীরিক দুর্বলতা অনেকাংশে কাটিয়ে তুলে।
• শরীরের রোগ প্রতিরধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১৭। সজনে পাতাঃ

• সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে লেবু থেকে।
• চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম আছে দুধের থেকে।
• কলার থেকে তিন গুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে।

১৮। গাজরঃ

• শরীরের শক্তি ও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
• অশ্ব এবং পিত্ত রোগ অসাধারণ কাজ করে।
• রক্ত পরিষ্কার করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

১৯। পটলঃ

• হজমে সহায়তা করে।
• হার্টের রোগের জন্য উপকারী।
• রক্ত বিকার এবং শ্লেষ্মা সারিয়ে তোলে।

২০। পেঁপেঃ

• ফ্যাটি লিভারের মোক্ষম দাওয়াই।
• পেটের অসুখ সারিয়ে তোলে।
• হার্ট শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

আরও জানুন –

সকালে খালি পেটে কি খাবেন ও কি খাবেন না

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের ১০টি উপকারিতা

মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু ক্ষতিকর দিক

1 thought on “২০টি শাক সবজির গুণাগুণ ও উপকারিতা”

Leave a Comment