উপরের হাত নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ
উপরের হাত নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ

উপরের হাত নিচের হাত থেকে অনেক শ্রেষ্ঠ। অথচ আমরা অনেকেই ভালো করে জানিই না উপরের হাত কোন গুলো এবং নিচের হাত কোন গুলো এবং কেনই বা শ্রেষ্ঠ? এই আর্টিকেল আপনি এই বিষয় সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা পাবেন যা আপনার জীবনকে আরও উন্নত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। তাহলে শুরু করুন –

এখানে নিচের হাত বলতে বুঝানো হয়েছে, গ্রহীতা অর্থাৎ যে বা যারা সবসময় শুধু গ্রহন করে অন্যের কাছ থেকে, নিজে কিছু করার চেষ্টা করে না, নতুন কিছু তৈরি করার কোন স্বপ্ন দেখে না। শুধু অলস থেকে বিভিন্ন কলা কৌশলের মাধ্যমে অন্য মানুষদের কাছে হাত পেতে থাকে।

এবং উপরের হাত বলতে বুঝানো হয়েছে, দাতা অর্থাৎ যে বা যারা সবসময় চেষ্টা করে দান করার জন্য, অন্য মানুষদেরকে সর্বদা সাহায্য করার চেষ্টা করে। যারা অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করে গরীব, দুর্বল ও সাধারন মানুষদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করে।

যারা বা যে হাত দিয়ে সবসময় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা হয়, সাধারন ও নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়, সেই হাত সবসময় উত্তম নিচের হাতের চেয়ে। অর্থাৎ যারা সাধারন মানুষের ভালো চিন্তা করে না বা যারা অন্য মানুষদেরকে সাহায্য ও উপকার করার চিন্তা ভাবনা করে না এবং অপরজনের কাছে হাত পেতে থাকে সবসময়, সেই হাত খুব বেশি সমাজের জন্য ভালো দিক নয়।

উপরের হাত শ্রেষ্ঠ
মানুষকে সাহায্য করুন

এখানে একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে বুঝা উচিত, একজন সাধারন পরিবারের ছেলে যার চলাফেরা ও নিজের ভরণ-পোষণ করতেই অনেক কষ্ট হয়ে যায়। সে যদি তার সঠিক ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১/২ বার বড় কোন মানুষের সাহায্য চেয়ে থাকে, তাহলে তাকে ছোট করে দেখা উচিত নয় বা নিচের হাত বলা খুব বেশি ঠিক হবে না।

যারা সবসময় অন্যের আশায় বসে থাকে, অলসতা দিন কাটায়, ভালো একটা ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করার জন্য পরিশ্রম করে না, নিজে চলার জন্য অন্য মানুষের উপর নির্বর থাকে, হাত বাড়িয়ে থাকে, সেই হাতকেই নিচের হাত বলা হয়েছে।

কেন উপরের হাত নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ?

প্রকৃত সুখী তারাই যারা সঠিক ও সৎ ভাবে চলার চেষ্টা করে, বিভিন্ন খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখে এবং বেশি বেশি পরিশ্রম করে নিজেকে শ্রেষ্ঠ পর্যায়ে নিয়ে যায়। এবং সবশেষে সাধারন, নিম্নবিত্ত, গরীব, বিপদগ্রস্ত মানুষদের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। এইসব কাজের মধ্যেই নিহিত থাকে প্রকৃত সুখ, যা মন মানুসিকতা ও শরীর স্বাস্থ্যকে রাখে অনেক আরামদায়ক।

প্রকৃত সুখী কেনই বা হবেন না, জিবনের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হচ্ছে এটি। এইজন্য সর্বদা নিজের হাত কে উপরের হাত বানানোর চেষ্টা করা উচিত।

এছাড়াও সহীহ বুখারীতে হাদিসে রয়েছে,

আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, উপরের (দাতা) হাত নিচের (গ্রহীতা) হাত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে আছে তাদেরকে আগে দাও। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে সাদকাহ করা উত্তম। যে ব্যক্তি হারাম ও ভিক্ষা করা থেকে পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন এবং যে পরমুখাপেক্ষিতা থেকে বেঁচে থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে অভাবশূন্য করে দেন।

তাহলে কি বুঝতে বা শিখতে পারলেন, নিজেকে অলসতার মধ্যে না ডুবিয়ে রেখে, অন্যের উপর নির্ভর না থেকে, বড় ও ভালো একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, সৎ ও সঠিক পথে কঠোর পরিশ্রম করা এবং সম্পদ যোগানোর পর সাধারন মানুষের ভালোর জন্য ব্যবহার করা।

সবসময় মনে রাখা উচিত, উপরের হাত নিচের হাত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here