বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাক্যটির সাথে বিশ্বের প্রায় সবাই পরিচিত। প্রতিটা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান রয়েছে, আজকে আলোচনা করবো শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে।
শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করে তাদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করা। শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাকে অনেক সহজ ও এগিয়ে নেওয়া যাবে। আর হ্যাঁ প্রথম বিশ্বের সকল দেশগুলোতে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার দেখা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এর প্রসার হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশেও শিক্ষার অনেক কাজ এখন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হচ্ছে, শিক্ষাকে সহজ করার জন্য এখন তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন স্কুল।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
তথ্য প্রযুক্তি ( ইনফরমেশন টেকনোলজি ) একটি সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য শিক্ষা যন্ত্র। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকারিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত করা হয়েছে। স্কুল ব্যবস্থায় শিক্ষা দানের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় কাজকর্ম দ্রুত ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক টেকনোলজিতে দক্ষ করার লক্ষে সারা বিশ্বজুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়োগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৬৪ সালে থেকে টেলিভিশনও কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়। শিক্ষাবিস্তারে টেলিভিশনের প্রথম কার্যকর ব্যবহার দেখা যায় ইংল্যান্ডে। টেলিভিশন মাধ্যম ব্যবহার করে দূরশিক্ষণ প্রোগাম বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে যা বয়স্ক শিক্ষা বিস্তারে প্রভাব ফেলে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় (১৯৯২) থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (বাউবি) বিটিভির মাধ্যমে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এছাড়াও উন্নতদেশগুলো সমসাময়িক প্রযুক্তি তথা স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ইন্টারেক্টিভ হোয়াইট বোর্ড, টেলিভিশন,রেডিও ইত্যাদি শ্রেণি কক্ষের শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করে আসছে। এগুলোর মাধ্যমে যেমন শিক্ষার গুনগত মানের উন্নতি সাধিত হয়েছে তেমনি শিখন প্রক্রিয়া হয়েছে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। নব্বইয়ের দশকে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে পাঠদানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। ইন্টারনেটের(১৯৯৬)যাত্রা শুরু হলে জ্ঞানার্জনে পথ আরো উন্মুক্ত ও বিস্তৃত হয়। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী,
শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থীও শিক্ষক-শিক্ষক ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহায়তায় নানা রকম সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মাঝে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই শিখতে পারছে। বিদ্যালয় তাদের কাছে শিক্ষালাভের একমাত্র জায়গা থাকছে না। শিখন ঘটছে তাদের নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে।
শিক্ষাকে সহজ করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
ডিস্টেন্স শিক্ষণ
রেকর্ড সুরক্ষিত থাকে
জ্ঞান অর্জন
অনলাইন লাইব্রেরি তথ্য
মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা
ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কাজে
শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট তৈরি করতে
প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে