ডিজিটাল মার্কেটার
ডিজিটাল মার্কেটার মুহম্মদ আসিফের সফলতার গল্প

ডিজিটাল মার্কেটার মুহাম্মদ আসিফ এমন একজন সফল ব্যাক্তি যার অসাধারণ সফলতার গল্প শুনলে আপনি অনুপ্রাণিত হতে বাধ্য। একই সাথে জানতে পারবেন সফল হওয়ার কিছু কার্যকরী উপায়।

যারা সফল মানুষদের খোঁজে না, তারা জানবেইও না যে পৃথিবী কত সুন্দর ও কেমন সুখী মানুষ ছিল। বর্তমানে সাফল্য যেন একটা সোনার হরিণ, কিন্ত চাইলেই কী আর পাওয়া যায়? হ্যাঁ পাওয়া যায় কারণ ব্যর্থতার শেষ আছে তবে সাফল্যের শেষ নেই। যারা কঠিন পথকে পারি দিয়ে সফল হয়েছে, তাদের জীবন খুবই আনন্দ ও সুখময়। সফলতার মূলমন্ত্র আমাদের শিক্ষা দেয়, সফলতা আসবেই, সফলরা হাসবেই। তাহলে আপনি কেন পারবেন না?

ডিজিটাল মার্কেটিং সেমিনার
আপওয়ার্ক বাংলাদেশ এওয়ার্ড অরগানাইজার হিসেবে

সফল হওয়ার জন্য যথেষ্ট প্ররিশ্রম করতে হয়, অনেক ধৈর্য নিয়ে কাজে লেগে থাকতে হয়, এইসব আমরা সবাই জানি। কিন্ত বর্তমানে শুধু কঠোর পরিশ্রম করে গেলেই সফলতা খুব সহজেই অর্জন করা যাবে না। তাহলে কিভাবে?

সেটাই একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার থেকে জানবো

অধ্যবসায় তো করতেই হবে যেকোনো কাজে, তবে সেটা শুধু কঠোরভাবে নয় স্মার্টভাবে করতে হবে। যারা সফল হয়েছেন ও হচ্ছেন তারা সবাই দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার সাথে স্মার্টভাবে পরিশ্রম করে গেছেন। তারা একসাথে কয়েকটা কাজে দক্ষ থাকলেও অনেক বিষয় নিয়ে রিসার্চ করেছেন ও জেনেছেন। এইজন্যই বলে থাকি, নিয়মিত সফল মানুষদের সফলতার গল্প পড়ুন। নতুন কিছু জেনে নিজেকে নতুনভাবে আবিস্কার করুন। একটা কথা সর্বদা মনে রাখবেন, অন্যের চেয়ে আপনি যত বেশি জানবেন, যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত সাফল্যের পথে এগিয়ে থাকবেন।

নিজের ভুল থেকে নয় অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়াই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। এইজন্যই বেশি বেশি সফল মানুষদের সফলতার গল্প পড়া উচিত। তাহলে আপনি সহজেই হতাশা ও ব্যর্থতা থেকে ফিরে আসতে পারবেন এবং বুদ্ধিমানের সাথে কাজ করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং
টেক ডক্টরস মেগা সামিটে স্পিকার

“সাধারণ মানুষ যতক্ষণ ভালো লাগে ততক্ষণ কাজ করে আর অসাধারণ সফল মানুষেরা ভালো না লাগলেও যতক্ষণ না কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ কাজ বন্ধ করে না।“(বিশ্বখ্যাত সেলফ ডেভেলপমেন্ট কোচ ও লেখক – ব্রায়ান ট্রেসি।) চলুন অসাধারণ সফল মানুষের গল্পটা ওনার থেকে শুনে আসি।

ডিজিটাল মার্কেটার মুহম্মদ আসিফের সফলতার গল্প

আমি মুহম্মদ আসিফ। একজন আল্লাহ্ভীত মুসলিম এবং পেশায় ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রেটেজিস্ট। আমার জন্ম ঢাকাতেই এবং এখানেই বড় হয়েছি। সরকারি তিতুমির কলেজ থেকে মার্কেটিং এ অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি।

বর্তমানে আমি কি কি নিয়ে কাজ করছি?

বিটপা সেমিনার ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমানে আমি কি কি নিয়ে কাজ করছি?

আমি মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিয়ে গত ৭ বছর ধরে কাজ করছি। ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি, কনটেন্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, গুগোল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস ফানেল, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, ইমেইল ক্যাম্পেইন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, লীড জেনারেশন, কনভার্সন ফানেল, ন্যাটিভ অ্যাডস সহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং স্ট্রেটেজি নিয়ে নিয়ে ক্লাইন্ট সার্ভিস দিচ্ছি।

এবং নিজের কিছু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট আছে, সেগুলোতেও নিয়মিত সময় দিচ্ছি। মাঝে মাঝে নিজের শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা থেকে আমার NiravAsif ব্লগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ, ইনফোরমেটিভ ও কার্যকরী রিসোর্স শেয়ার করছি। যেখানে ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এবং ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং সহ স্কিল ডেভেলপমেন্টের বেশ কিছু টপিক নিয়ে ব্লগিং করছি।

এছাড়াও ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ইউওয়াই ল্যাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কনসালটেন্ট হিসেবে জয়েন দিয়েছিলাম। এবং তিন মাস পর হেড অফ ডিজিটাল মার্কেটিং এ পদোন্নতি হয়।

একই সাথে এখন পর্যন্ত ইউওয়াই ল্যাবে ৩০টার মত ব্যাচে মেন্টর হিসেবে ছিলাম। প্রতি ব্যাচে ১৫-১৮ জন স্টুডেন্ট ছিল অর্থাৎ প্রায় ৪৫০+ জন ছাত্র ছাত্রীদের কে ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

বিআইটিম এর প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সেও মেন্টর ছিলাম। BITM এ ২০১৮-২০২০ পর্যন্ত ছিলাম, সেখানেও প্রায় ১১টা ব্যাচ করিয়েছি। এছাড়া আইটি প্রফেশনালস এবং মার্কেটারদের বেশ কিছু সেমিনার, কনফারেন্সে স্পিকার হিসেবে ছিলাম এবং কিছু লাইভ টিভি প্রোগ্রামেও গেস্ট ছিলাম।

আমি কতটা সফল?

সফলতা আসলে একটা আপেক্ষিক বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, আমার বেষ্ট আউটপুট আমি এখনও দিতে পারিনি, কিন্তু ইনশাআল্লাহ্ আমি আমার সর্বচ্চো চেষ্টা করছি। হালাল ভাবে রুজির তালাশ করাটাই মুখ্য আমার কাছে। বুদ্ধিমানের মতো পরিশ্রম করে যাচ্ছি, প্রতিনিয়ত বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নিয়ে রিসার্চ করছি। এটাই আমার পথচলা এবং এতে আমি আলহামদুলিল্লাহ্ সন্তুষ্ট।

ফ্রিলান্সিং অ্যান্ড ডিজিটাল মার্কেটিং সেমিনার
ফ্রিলান্সিং অ্যান্ড ডিজিটাল মার্কেটিং সেমিনার

কিভাবে আমি আজকের পজিশনে এসেছি?

আমি আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করি ২০১২ সালে। তবে তখন নিজ থেকে কাজ করার সাহস করতে পারি নাই। আমার এক কলিগ ছিল যার সাথে মিলে কাজ করতাম। আলহামদুলিল্লাহ্ ২০১৩ সালে প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেই তৎকালীন ওডেস্ক (বর্তমানে আপওয়ার্ক) প্ল্যাটফর্মে।

সফল ডিজিটাল মার্কেটার
সফল ডিজিটাল মার্কেটার

২০১৪ সালে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা শুরু করি এবং এরপরে লোকাল ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিও রান করেছি। কিন্তু বছরখানেক পরেই সেটা বন্ধ হয়ে যায়। হয়তো অনেকে জানেন ইতোমধ্যে ইউওয়াই ল্যাব, ইউওয়াই সিস্টেমস, হেলথপ্রায়োরে কাজ করেছি ও বিআইটিএম এ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মেন্টর হিসেবে ছিলাম দীর্ঘ সময়। এছাড়াও বেশ কিছু লোকাল কোম্পানিগুলোতে কন্সাল্টেন্সি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং টিম লিড দিয়ে আসছি গত ৪ বছর ধরেই। এভাবেই ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।

এসইও এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ উপায় গুলোর মধ্যে এসইও এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম। যেহেতু আজকের এই সময়ে সারা বিশ্বব্যপী প্রচুর মানুষ ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল ডিভাইস ইউজ করছে, তাই তাদের কাছে কোম্পানি গুলো সহজেই নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রমোশন করতে পারছে। সেই দিক থেকে সার্চ ইঞ্জিনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চ্যানেলগুলার ব্যবহার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং সেমিনার
বিটপা কনফারেন্স

এসইও এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে হাজার হাজার এসইও এক্সপার্ট ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা রয়েছে এবং দিন দিন এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা একটা কোম্পানির সেলসে বিশাল ইম্প্যাক্ট রাখে। তাদের মাধ্যমে অনেক কোম্পানি বড় রকম একটা সেলস ভলিউম পাচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অ্যাফিলিয়েটসদের কদর আছে। তাই বলা যায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎও বেশ সুদূরপ্রসারি।

ভবিষ্যতে আমার কিছু প্লান?

ইন্টারনেট মার্কেটিং কনসালটেন্ট
ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি দিবো।

অনেক আগে থেকেই নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি দেয়ার নিয়ত ছিল, ইনশাআল্লাহ্। বর্তমানে সেই লক্ষে কাজও করছি, আলহামদুলিল্লাহ্। ভার্চুয়াল টিম মেম্বারদের সাথে নিয়ে কিছু লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইন্ট সার্ভিস দিচ্ছি। বড় পরিসরে কাজ করতে চাই আগামি কিছুদিনের মধ্যে। এর মাঝে Marketow নামে নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং কন্সাল্টেন্সি ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিতে চাই।

লার্নিং এবং আর্নিং বাংলাদেশ
লার্নিং এবং আর্নিং প্রজেক্ট বাংলাদেশে গেস্ট

নতুনদের সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন,
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে চাই, কিভাবে শুরু করবো?

নতুন যারা শুরু করতে চান তাদের জন্য শুরু করাটাই জরুরী। ডিজিটাল মার্কেটিং এতো বিশাল একটা ক্ষেত্র। এখানে আপনি একা কাজ করতে চাইলে একটা ছোট জায়গা দিয়েই শুরু করতে পারেন।

তবে শুধু শুরু করলেই হবেনা। ফোকাস ধরে রাখাটা এখানে খুব জরুরী। যদি নতুন কারো মাইন্ডসেট থাকে যে সে নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে ইনভল্ভ করবে তাহলে একেবারে বেসিক কাজ দিয়েই শুরু করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া পেজ অপ্টিমাইজেশন, কন্টেন্ট পোস্ট করা – এসব খুব সহজ কাজ। আবার এসইও’র ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ, প্রাইমারি ব্যাকলিঙ্কস এসব কাজের চাহিদাও অনেক। শুরুটা এভাবে করতে পারলে পরবর্তী নিজের আগ্রহ অনুযায়ী অনেক কিছুই করা সম্ভব।  তবে দরকার, সঠিক মাইন্ডসেট এবং ফোকাস পাওয়ার।

এই সেক্টরে আসার আগে কি কি বিষয় জানা উচিত?

ইংরেজিতে যদি আপনি কিছুটা কনফিডেন্ট থাকেন তাহলে সেটা আপনার জন্য বিশাল প্লাস পয়েন্ট এই ইন্ডাস্ট্রিতে মুভ করার। সেই সাথে ইন্টারনেটের ব্যসিক ব্যপারসমূহ জানা ও টেকনোলোজির নতুন বিষয় সম্পর্কে আগ্রহ থাকাও জরুরী।

তবে একজন মার্কেটারের জন্য অনেক জরুরী বিষয় হচ্ছে তার কমনসেন্স! আমাদের এই ড্যাটা ড্রাইভেন ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর জায়গায় আমাদের খুব স্মার্টলি সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

ক্লাইন্ট কমিউনিকেশন এবং ইন্টার্ভিউতে কমনসেন্স খাটিয়ে আপনি প্রোজেক্ট দখল করতে পারেন।

যারা নতুন শুরু করেছেন বা করবেন ভাবছেন, আপনাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে যায়।

আপনারা নতুন যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে প্রচুর সময়, পরিশ্রম বিনিয়োগ করার মানসিকতা থাকতে হবে। অনেকেই হুজুগে পড়ে বা অন্য কারো সফলতা দেখে রাতারাতি নিজেকেও সেভাবে কল্পনা করে ফেলেন এবং দ্রুত সফলতা পাবার জন্য হুমড়ী খেয়ে পড়েন। এইটা একদমই ভুল সিদ্ধান্ত, রাতারাতি কখনও বড় হওয়া যায় না।

বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সেমিনার
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

দেখা যায় তখন সফলতা না পেয়ে খুব হতাশ হয়ে পড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটাই দেখা যায়।

তাই অনুরোধ করবো, যদি প্রচুর পরিশ্রম ও ধৈর্য ধরার মত ইচ্ছা ও মানসিকতা না থাকলে এই জায়গাটা আপনার জন্য না। সাথে হয়তো নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন সময়ে নানান কোর্স, টুলস এসবের পেছনেও আপনার টাকা ইনভেস্ট করতে হতে পারে তাই এসবও মাথায় রাখতে হবে। একদম ফ্রিতে সবকিছু শেখা যায় না, ভালোভাবে শিখতে হলে অনেক প্রিমিয়াম টুলসের প্রয়োজন হবেই, তখন কিন্ত আপনাকে অবশ্যই ইনভেস্ট করতে হবে।

শুধু কল্পনায় কল্পনায় কাটিয়ে দিলে কাজ হবে না। আমাদের ফেসবুক ভিত্তিক প্রচুর কমিউনিটি গ্রুপে দেখা যায় যে, অনেকেই আছে যারা প্রচুর জ্ঞানী। সব ব্যপারেই তাদের প্রচুর ধারণা আছে। আসলে অনেক মানুষের ফেসবুক পোস্ট, কমেন্ট, ভিডিও দেখে দেখে তারা অনেক কিছুই জানেন। কিন্তু সরাসরি কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতা নাই। তাদের অনেকেই নিজে কখনও কাজ করার চেষ্টাও হয়তো করেন নাই।

এতে আসলে কোনও লাভ নেই।

আপনাকে প্রচুর কাজ করতে হবে। লাইভ প্রজেক্টে কাজ করে অভিজ্ঞতা বাড়াতে হবে। দরকার হলে কোনও ভালো টিমে ফ্রি ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করবেন। এরপর নিজেকে প্রমাণ করে অবস্থান তৈরি করবেন।

আরেকটা জিনিস আমি প্রায়ই বলে থাকি, সেটা হলো নতুনদের অনেকে কাজ দিতে চায় না। কারণ তাদের অতীত কাজের নমুনা বা পোর্টফলিও থাকেনা। সেক্ষেত্রে যারা নতুন কাজ শিখেছেন তারা চাইলে ক্লাইন্টদের ফ্রী ট্রায়াল অফার করে দেখতে পারেন। যখন ক্লাইন্টকে আপনি ছোট একটা ট্রায়াল অফার করবেন তখন সে আপনাকে সুযোগ দিতেও আগ্রহী হবে। তখন আপনি তাকে নিজের স্কিলের খেলা দেখাতে পারবেন। এবং ক্লাইন্ট যদি দেখে আপনি ট্রায়ালে ভালো করতে পেরেছেন তখন আপনাকে পুরো প্রোজেক্টে হায়ার করেন।

ইনশাআল্লাহ্ বিভিন্ন ক্লাইন্টের সাথে কাজ করতে গিয়ে আপনার কমিউনিকেশন স্কিলও বাড়বে। একশন আপনাকে নিতেই হবে। কাজ শেখার পর বসে আছেন, আর ভাবছেন টাকা আপনার কাছে উড়ে উড়ে আসবে তাহলে সেই দিবাস্বপ্ন বাদ দেন।

এই করোনাকালীন সময়ে মার্কেট প্রচুর প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তাই অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন করতে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিকল্প নেই।

সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন, সঠিক কাজে মনযোগী হন, অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
সবার জন্য শুভকামনা রইলো। আমার জন্য দোআ করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here