ইমেইল ও জিমেইল এর পার্থক্য
ইমেইল ও জিমেইল এর পার্থক্য

বর্তমানে আমরা উঠতে বসতে জিমেইল ও ইমেইল শব্দ ব্যবহার করে থাকি, অথচ অনেকেই জানি না জিমেইল ইমেইল এর মূল কাজটা কি এবং তাদের মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে। এই আর্টিকেল জিমেইল ও ইমেইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

জিমেইল

জিমেইল (ইংরেজি: Gmail) একটি বিনামূল্যে ওয়েবমেইল, যার সার্ভিস দেয় গুগল। জিমেইল এ POP3 এবং IMAP সুবিধা রয়েছে। ইউ.কে. এবং জার্মানিতে এটি গুগলমেইল নামেই পরিচিত। মূলত জিমেইলের পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয় ১লা এপ্রিল ২০০৪ এ বেটা সংস্করণ আকারে এবং সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৭ এ ।পরবর্তীতে ৭ই জুলাই ২০০৯ পরিপূর্ণ সংস্করণ হিসেবে প্রকাশ করা হয়।

শুরুতে ব্যবহারকারীদের জন্য জিমেইল বিনামূল্যে ১ গিগা বাইট স্পেস দেয়। পরবর্তীতে তা ২ গিগা থেকে ৪ গিগাবাইট করা হয়। বর্তমানে বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য জিমেইল ব্যবহারকারীদের ১৫ গিগাবাইট স্পেস দিচ্ছে যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর পাশাপাশি ইচ্ছে করলে জায়গা বাড়ানোর সুযোগও দিয়েছে। এক্ষেত্রে ২৫ গিগাবাইটের জন্য মাসিক ২.৪৯ ডলার,১৬ টেরাবাইট স্পেসের জন্য মাসিক ৭৯৯.৯৯ ইউএস ডলার দিতে হবে। ২০১১ অক্টোবর পর্যন্ত জিমেইলের ব্যবহারকারী ২৬০ মিলিয়ন। ২০০৫ সালের ১ এপ্রিল জিমেইলে প্রথম জন্মদিনে গুগল জিমেইলে স্পেস ১ গিগাবাইট করে।

ই-মেইল

ই-মেল শব্দটি ইলেকট্রনিক মেইলের একটি ছোট ফোটারম। এটি একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যেমন ইন্টারনেট হিসাবে স্থানান্তরিত বার্তা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় পাঠানো বার্তাগুলি একটি কীবোর্ডের সাহায্যে প্রবেশ করা হয়। না হলে, একটি ডিস্কের সংরক্ষিত বার্তাগুলি নেটওয়ার্কের উপর পাঠানো যাবে। এই ধরণের মেসেজিংয়ের যথাযথ ব্যবহার শুরু হয় 1960-এর দশকের প্রথম দিকে। এখন এটি জনপ্রিয় হিসাবে ইমেল হিসাবে পরিচিত। ইমেল এখন ইন্টারনেট জুড়ে কাজ করে, এবং বেশিরভাগ ডিভাইস যা কম্পিউটিং পাওয়ার সাথে আসে ই-মেইল সিস্টেমে আসে।

ই-মেইল তথা ইলেক্ট্রনিক মেইল হল ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ১৯৭২(RFC 561) খ্রিষ্টাব্দে তদানিন্তন আরপানেটে সর্বপ্রথম ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করা হয়। ই-মেইল পেতে প্রথম দিকের ই-মেইল ব্যবস্থায় প্রেরক এবং প্রাপক দুজনকেই অনলাইনে থাকতে হত। এখনকার ই-মেইলগুলোতে এই সমস্যা নেই। ই-মেইল সার্ভারগুলো মেইল গ্রহণ করে এবং সংরক্ষণ করে পরে পাঠায়। ব্যবহারকারী বা প্রাপককে অথবা কম্পিউটারকে অনলাইনে থাকার প্রয়োজন হয় না শুধু মাত্র কোন ই-মেইল সার্ভারে থাকলেই সচল ই-মেইল ঠিকানা থাকলেই হয়।

একটি ই-মেইল বার্তা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত- বার্তার খাম বা মোড়ক, বার্তার হেডার বা মূল (যেটাতে বার্তা কোথায় এবং কার কাছ থেকে তথ্য থাকে) এবং বার্তা। হেডার মেইল নিয়ন্ত্রনের তথ্য বহন করে, যেটাতে (কম করে হলেও) প্রেরকের ই-মেইল ঠিকানা, এক বা একাধিক প্রাপকের ঠিকানা থাকে। কিন্তু সাধারণত আরো বিস্তারিত তথ্যও থাকে যেমন হেডার বিষয়বস্তুর জন্য একটি ফিল্ড এবং বার্তা প্রেরণের তথ্য, গ্রহণের তথ্য প্রভৃতি।

উৎপত্তিগতভাবে বার্তায় লেখা (৭ বিটের আসকি এবং অন্যান্যগুলো) হল যোগাযোগের মাধ্যম কিন্তু ই-মেইল এখন মাল্টিমিডিয়াও পাঠাতে পারে এবং এটাচমেন্ট(সংযুক্তি) সংযুক্ত করতে পারে। এটি আরএফসি ২০৪৫ থেকে ২০৪৯এ পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া। এই আরএফসি কে এমআইএমই বলে যার অর্থ হল মাল্টিপারপাস ইন্টারনেট মেইল ইক্সটেনশন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here