হার্ট সুস্থ রাখার জন্য কার্যকরী উপায়

হার্ট সুস্থ রাখার উপায়

বর্তমান সময়ে হৃদরোগ শুধু উন্নত বিশ্বেই নয়, বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেও ভয়াবহরূপে বিস্তার লাভ করেছে। যেহেতু হৃদরোগের পরীক্ষা – নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা জঠিল ও ব্য্বহুল। এ জন্য রোগ প্রতিরোধের দিকে জোর দিতে হবে। জীবনের জন্য সুস্থ হার্ট মানেই সুস্থ মানুষ। সুতরাং হার্টকে সুস্থ রাখা একান্ত প্রয়োজন। সুস্থ হার্টের জন্য তিনটি বিষয় মেনে চলা জরুরী। ১। নিয়মিত সঠিক সময়ে ব্যায়াম করতে হবে। ২। সুষম খাদ্য গ্রহণ। ৩। মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা পরিহার। ৪। ধূমপান ও নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগ। নিয়মিত ব্যায়াম সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। হার্টকে সবল রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়াম করার জন্য সুপার এ্যাথলেট হওয়ার প্রয়োজন নেই। যে কেউ ব্যায়াম করতে পারে। ব্যায়ামকে আনন্দের বিষয় মনে করলে এতা অভ্যাসে পরিণত। এমন ব্যায়াম নির্বাচন করতে হবে যেটা করতে ভালো লাগে। গ্রুপ করেও ব্যায়াম করা যায়। যেমন – ফুটবল, বাস্কেট বল, ব্যাডমিন্টন প্রভৃতি খেলার মাধ্যমে আনন্দ যেমন পাওয়া যায় তদ্রূপ ব্যায়ামও হয়। যে কেউ যে কোনভাবে অনুশীলন করতে পারে। যেমন – হাঁটা, … Read more

হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এবং হলে করণীয়

হার্ট অ্যাটাক কেন হয

উপসর্গঃ ১। সামান্য শারীরিক পরিশ্রমে কিংবা শুয়ে পরার সময় হাঁপিয়ে ওঠা বা দম ফুরিয়ে যাওয়া এরকম হাঁপিয়ে ওঠার সময় অনেক ক্ষেত্রে বুকে শন শন শব্দ হতে পারে, যেটাকে প্রায়শই হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগের লক্ষণ বলে ভুল করা হয়। ২। দুর্বলতা এবং অবসাদ গ্রস্ততা। ৩। বুকে ব্যথা অনুভব করা। ৪। ঘুমাবার সময় সাধারনের তুলনায় বেশি বালিশের প্রয়োজন বোধ করা কিংবা বসে বসেই ঘুমানো। ৫। পায়ের পাতায় গোড়ালিতে কিংবা পা ফুলে ওঠা। ৬। ক্রমাগত কাশি হওয়া এবং কাশির সঙ্গে ফেনাযুক্ত রক্তমাখা শ্লেষ্মার নির্গমন। ৭। অনিয়মিত কিংবা হার্টবিট বা হৃদস্পন্দন। ৮। তলপেটে চাপ অনুভব করা বা ভরা পেট অনুভব করা। ৯। তরলের নির্গমন কম হওয়া ও ওজন বৃদ্ধি পাওয়া। ১০। বার বার প্রস্রাবের চাহিদা, বিশেষ করে রাতের বেলা। ১১। গলার রগগুলো ফুলে ওঠা। ১২। বিষাদ গ্রস্ততা, বমি হওয়া এবং খাবারের পরতি অনিহা জন্মানো। কি করবেনঃ ১। প্রথমে রোগ আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা। ২। প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন। পরে লক্ষণ গুলো অপসারিত … Read more

৫টি রোগের লক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা

বিভিন্ন রোগের লক্ষণসমূহ

০১। সর্দি ও কাশিঃ লক্ষণঃ নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, গলা খুসখুস করা, জোর কাশি, গা- হাত পা কামড়ানো, বুক ব্যথা প্রভৃতি এই রোগের প্রধান লক্ষণ। ঠাণ্ডা লাগা, পানিতে ভেজা, বাতাস লেগে ঘাম গায়ে শুকানো, হঠাৎ করে গরম থেকে ঠাণ্ডাবা ঠাণ্ডা থেকে গরম হয়ে যাওয়া আই রোগের লক্ষণ। প্রাথমিক চিকিৎসাঃ ১) বাসক পাতা ১০ গ্রাম, তুলসী মঞ্জরী ১০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম পানিতে ফুটিয়ে ১০০ গ্রাম হলে নামাতে হবে। ছেঁকে নিয়ে ৪ চাপচ মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খেতে হবে ৫ দিন। ২) বাসকপাতা ৪ গ্রাম, তুলসীপাতা ৪ গ্রাম, তেজপাতা ৩ গ্রাম, পিপুল ৩ গ্রাম ০২। সাধারন জ্বরঃ লক্ষণঃ ঠাণ্ডা লাগা, হঠাৎ ঘাম বন্ধ হওয়া, অত্যাধিক পরিশ্রম করা, আঘাত লাগা, রাত্রি জাগা, গোসল ও খাওয়ার অনিয়ম এবং হঠাৎ ঋতু পরিবর্তন প্রভৃতি কারণে এই জ্বর হয়। প্রথমে শীত কাপুনি ও গা ব্যথা সহ জ্বর দেখা দেয়। কখনো শীত, কখনো গরম, গা জ্বালা, অস্তিরতা, পিপাসা, মাথা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা উদরাময়, নাড়ী দ্রুত … Read more

উচ্চ রক্তচাপ কি? এর প্রকারভেদ ও লক্ষণ সমূহ

উচ্চ রক্তচাপ কি এর প্রকারভেদ ও লক্ষণ সমূহ

উচ্চ রক্তচাপ বর্তমানে বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। সারা বিশ্বে এখন প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। শরীরের জন্য উচ্চ রক্তচাপ একটি ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। সবাইকে উচ্চ রক্তচাপ সম্পরকে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা, এ ব্যপারে সচেতন করা, প্রতিরোধমূলক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এর জটিলতা ও চিকিৎসা সম্পর্কে অবহিত করাই বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসের উদ্দেশ্য। তাই প্রতি বছর ১৭মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উদযাপন করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ কি? শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে যখন সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৪০ মি মি পারদ চাপের এবং ডায়াস্টোলিকের রক্তচাপ ৯০ মি মি পারদ চাপের বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ চিহ্নিত করা হয়। বয়স ও লিঙ্গ ভেদে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কম হলে নিম্ন রক্ত চাপ বলে। তবে হঠাৎ করে সাধারণ নিয়মের অতিরিক্ত রক্তচাপ বাড়লেই তাকে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে ধরা যাবে না। রাতে ভালো … Read more

তুলসী পাতার ৭টি বিস্ময়কর উপকারিতা

তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসীপাতার রয়েছে অনেক কার্যকর উপকারিতা। আয়ুর্বেদিক মতে তুলসীপাতা বিভিন্ন ব্যাধি ভালো করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। যখন ইচ্ছা যতগুলি ইচ্ছা কাঁচাপাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়। বনৌষধির মধ্যে তুলসী সর্বোৎকৃষ্ট বলে স্বীকার করা হয়েছে। এবং মেটেরিয়া মেডিকা তে এই গাছকে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়েছে। তুলসীপাতার উপকারিতা ০১। কার্ত্তিক মাসে প্রতিদিন প্রাতঃকালে দু-তিনটি করে তুলসী পাতা খালিপেটে চিবিয়ে খেলে পুরো বছর কোন প্রকারের রোগ হওয়ার বেশি সম্ভবনা থাকবে না। কার্ত্তিক মাসে আবহাওয়ায় তুলসীপাতার প্রয়োগ সর্বদা দেহকে নীরোগ রাখে। ০২। তুলসীপাতার রস নিয়ে মারিশ করলে হাড় শক্ত হয়, দেহ কান্তিময় হয়, দেহকে নীরোগ রাখে। সাবান, তেল ক্রিম প্রভৃতির স্থলে তুলসীর রস প্রয়োগ করলে নানা প্রকার দৈহিক সুস্থতা লাভ হয়। ০৩। তুলসীপাতা চিবালে দাঁতে পোকা থাকে না। এবং দাঁতকে আরও সুন্দর উজ্জ্বল মজবুত এবং দাতের আয়ু ব্রদ্ধি হয়। দাঁতের যন্ত্রণা খুবই কষ্টদায়ক। দাঁতের যন্ত্রণা হলে তুলসীপাতা ও কালো মরিচ পেষণে করে বটিকা তৈরি করতে হবে এবং যে দাঁতে যন্ত্রণা হচ্ছে, তার … Read more

স্ট্রোকের কারণ ও প্রতিকারের উপায়

স্ট্রোকের কারণ

বিশ্বে স্ট্রোকের কারণে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। আপনার স্ট্রোক ঝুঁকি কমানোর জন্যই স্বাস্থ্যকর জীবন পদ্ধতি আজই শুরু করুন। এবং সাথে ধূমপান বা তামাক সেবনের অভ্যাস পরিহার করুন স্ট্রোক কেন, কিভাবে হয়ে থাকে? ব্রেইন বা মগজের রক্ত চলাচলের ব্যহত হয়ে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে ফলে ব্রেইন বা মগজের কোষ নষ্ট হয়ে যায় যাকে স্ট্রোক বলে। ব্রেইনে রক্তক্ষবণ বা রক্ত সরবরাহকারী শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ফলে স্ট্রোক হতে পারে। ব্রেইনে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালীর অভ্যন্তরে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমার ফলে মূলত রক্ত সরবরাহ ব্যহত হয়। ফলে রক্তনালী সরু হয়ে যায় ও নমনীয় হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ব্রেইনের রক্ত সরবরাহ ব্যহত হয়। রক্তনালীতে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমার মূল কারণ হল ধূমপান কিনা তামাক সেবন অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, কর্মশীল না থাকা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে রক্তনালীতে চর্বি জমার প্রবণতা বেড়ে যায়। ব্রেইনের রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে ব্রেইন এর কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাকে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকের ঝুঁকিপূর্ণ গুণক হৃদকম্পন … Read more

কাঁচা লবণ খাওয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো জেনে নিন

কাঁচা লবণ খাওয়ার ক্ষতি

আমরা প্রতিনিয়ত কাঁচা লবণ খাচ্ছি যা দিন দিন শরীরের জন্য ভয়ংকর হচ্ছে। কাঁচা লবণ খাওয়ার রয়েছে অনেক ক্ষতিকর দিক, যা এই আর্টিকেল আমরা বিস্তারিত জানবো। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ১ গ্রাম এবং শিশুদের জন্য আরও কম লবণ গ্রহণই যথেষ্ট। কিন্ত আমাদের দেশের অধিকাংশ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানষ গড়ে দিনে ৭-১০ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে থাকে। আবার কিছু কিছু মানুষ এর চেয়ে বেশি লবণ খেতে থাকে। সম্প্রতি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে লবণ গ্রহণের গড় পরিমান দিনে ১৬ গ্রাম। যা আমদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, দেহের অনেক ক্ষতি করে থাকে। যদি লবণ গ্রহণের পরিমাণ অর্ধেক কমানো যায়, তাহলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের বিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ লোকের মৃত্যু প্রতিহত করা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক দিনে ৬ গ্রাম (এক চা চামচের সমপরিমাণ) বা তারও কম লবণ গ্রহণ করতে পারেন এবং শিশুদের জন্য এই পরিমাণ আরও কম হওয়া বাঞ্ছনীয়। অধিক লবণ … Read more