বিশ্বে স্ট্রোকের কারণে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। আপনার স্ট্রোক ঝুঁকি কমানোর জন্যই স্বাস্থ্যকর জীবন পদ্ধতি আজই শুরু করুন। এবং সাথে ধূমপান বা তামাক সেবনের অভ্যাস পরিহার করুন
স্ট্রোক কেন, কিভাবে হয়ে থাকে?
ব্রেইন বা মগজের রক্ত চলাচলের ব্যহত হয়ে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে ফলে ব্রেইন বা মগজের কোষ নষ্ট হয়ে যায় যাকে স্ট্রোক বলে। ব্রেইনে রক্তক্ষবণ বা রক্ত সরবরাহকারী শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ফলে স্ট্রোক হতে পারে। ব্রেইনে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালীর অভ্যন্তরে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমার ফলে মূলত রক্ত সরবরাহ ব্যহত হয়। ফলে রক্তনালী সরু হয়ে যায় ও নমনীয় হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ব্রেইনের রক্ত সরবরাহ ব্যহত হয়।
রক্তনালীতে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমার মূল কারণ হল ধূমপান কিনা তামাক সেবন অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, কর্মশীল না থাকা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে রক্তনালীতে চর্বি জমার প্রবণতা বেড়ে যায়। ব্রেইনের রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে ব্রেইন এর কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাকে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকের ঝুঁকিপূর্ণ গুণক হৃদকম্পন দুর্বল কিংবা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে হৃদপিণ্ডে রক্তজমাট বেঁধে যেতে পারে, যা রক্তনালীর মাদ্ধমে ব্রেইনে চলে যেতে পারে। ব্রেইনের সরু রন্তনালীতে যা আটকে গিয়ে ব্রেইনে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত করে।
কিভাবে স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেন?
• স্ট্রোকের ফলে অনেক রোগী হয় মৃত্যবরন করেন কিংবা অক্ষ্মত হয়ে পড়েন। কাজেই স্ট্রোক না হওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়াই উত্তম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ গুণক প্রতিরোধ করে স্ট্রোক স্ট্রোক প্রতিকার করা সম্ভব। দৈনন্দিন জীবনে উপরে বর্ণিত গুণকগুলো হচ্ছে স্ট্রোকের মূল কারণ (ধূমপান কিংবা তামাক সেবন; অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ; কর্মশীল না থাকা)। এ ধরনের খাবার জীবন যাপনের গুনকগুলো মূলত তিন ধরনের মারাত্মক শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে – উচ্চ রক্তচাপ; ডায়াবেটিস (বহুমুত্র); রক্তের চর্বি বেড়ে যাওয়া। বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে ধূমপানের প্রবণতা বেরেই চলেছে। এছারা কম কর্মশীল থাকার কারণে বেশি পরিমানে চর্বি ও চিনি গ্রহণের ফলে অতিরিক্ত ওজনসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে অধিক সংখ্যা লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
• তামাকের খারাপ জিনিসগুলোর কারণে ধূমপানের ফলে ফুসফুস, রক্তনাকি ও হৃদপিণ্ড ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যায়। ক্রমে এসব খারাপ সামগ্রী রক্তের অক্সিজেনের স্থান নিয়ে। তামাক সেবনের ফলে স্ট্রোক হওয়ার আশংকা বহুগুণ বেড়ে যায়। অন্যের ধূমপান গ্রহণ করার কারণে নিজে ধূমপান না করেও এই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
• বেশি পরিমানে খাবার গ্রহণ, বেশি পরিমানে চর্বি চিনি লবন গ্রহণ ও পরিমান মতো ফল ও শাকসবজি না খাওয়া। বেশি পরিমানে খাবার খেলে এবং একই সাথে কম কর্মশীল থাকলে ওজন বেড়ে যেতে পার। ক্রমে ক্রমে পানি মোটা হয়ে যেতে পারেন। ফলে মোটা হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এসব শারীরিক সমস্যার কারণে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। মোটা ব্যক্তির কোমরে ও পেতে চর্বি জমে। এছাড়া বেশি পরিমানে ফাস্টফুড গ্রহনেও ওজন বাড়ে।