শিক্ষা মানুষকে যথেষ্ট উন্নত করে সফলতার পথে ধাবিত করে। আসলে শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত? শিক্ষিত ও ভালো মানুষ হয়ে সমাজ এবং দেশের জন্য কি কাজ করা উচিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে জানতে পারবেন।
শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত
• বড় ছোট, ধনী গরীব মিলেমিশে থাকা
• বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকা
• দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করা
• বাস্তবতা বুঝে কাজ করা দরকার
• মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার চর্চা
• শুধু সার্টিফিকেট এর জন্য না পড়া
• সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা
শিক্ষা সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। শিক্ষাই মানুষকে বন্য জীবন থেকে সভ্যতার আলোয় ফিরিয়ে দিয়েছে। একজন মানুষ কিভাবে থাকলে সুখে ও আনন্দে থাকতে পারবে তা শিখিয়েছে শিক্ষা। শিক্ষাই মানুষকে ‘মানুষ’ হিসেবে তৈরি করে। বিশেষ করে সমাজে সবাই ঘাড় উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা করে বাঁচতে চায়। মেরুদণ্ডহীন হয়ে বাঁচার শখ বা স্বাদ কারো নেই। আমরা অনেকেই ‘শিক্ষিত’ বলে গর্ব করি, কিন্তু শিক্ষার আসল রূপ কী হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে আমরা অবগত নই।
সেজন্যই আমাদের মধ্যে এডুকেশন পদ্ধতি, আবার কেউ কেউ ইনস্টিটিউশন পদ্ধতি অবলম্বন করি। সে যাই হোক, নিজের মেরুদণ্ডকে সোজা ও সুদৃঢ়রূপে গড়ে তুলতে আমরা জীবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় ওই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে ব্যয় করি। এরপর নানা কষ্টে অর্জিত শিক্ষাকে পদে পদে তার সত্যতা প্রমাণের জন্য অগ্নিপরীক্ষা নেই। বর্তমানে একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়—‘আজকালকার স্কুল-কলেজগুলোর হালচাল খুবই দুর্বল। বর্তমানে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী প্রশংসাপত্র আদায়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়, শিক্ষা গ্রহণের জন্য নয়।’ এসব কথাবার্তা সত্য হলেও শুনে শুনে স্বভাবতই শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে মনে একটি ঘৃণার ভাব জন্ম হতে পারে।
তাই আমাদের প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে।