তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাক্যটির সাথে বিশ্বের প্রায় সবাই পরিচিত। এককথায় বলা চলে, বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এই আর্টিকেলে আপনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি এবং এর ক্ষেত্র, সুবিধা ও অসুবিধা গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত ও কার্যকরী তথ্য জানতে পারবেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি (ইংরেজি: Information and communications technology (ICT)) সাধারণভাবে তথ্য প্রযুক্তির সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এক ধরনের একীভূত যোগাযোগব্যবস্থা এবং টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও তৎসম্পর্কিত এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার, মিডলওয়্যার তথ্য সংরক্ষণ, অডিও-ভিডিও সিস্টেম ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত এমন এক ধরনের ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজে তথ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ, সঞ্চালন ও বিশ্লেষণ করতে পারেন। প্রযুক্তিতে আইসিটি শব্দটির ব্যবহার শুরু করে একাডেমিক গবেষকরা ১৯৮০ সালের দিকে। কিন্তু শব্দটি জনপ্রিয়তা লাভ করে ১৯৯৭ সাল থেকে। স্টিভেনসন ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই শব্দটি উল্লেখ করেন, যা পরবর্তীতে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের নতুন জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা হয়। (সুত্রঃ উকিপিডিয়া)

যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য দ্রুত আহরণ, প্রয়োজন অনুযায়ী সংরক্ষণ, আধুনিকীকরণ, ব্যবস্থাপনা এবং বিতরণ করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে। তথ্য প্রযুক্তিকে Infomation Technology বা It বলা হয়।

এবং, কম্পিউটারের উপর নির্ভর করেই সারা বিশ্বের যোগাযোগ বাবস্থা গড়ে উঠেছে। তথ্যকে অন্য স্থানে এক বা একাধিক কম্পিউটার থেকে অন্য ডিভাইসে আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।

র্থাৎ তথ্য প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা Information and Communication Technology বলা হয়। তথ্য প্রযুক্তির মূলে রয়েছে আধুনিক টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বাবস্থা।

বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্বারা একক তার বা একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন, অডিও-ভিজুয়াল ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বয় প্রযুক্তিকে প্রকাশ করা হয়। একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন, অডিও-ভিজুয়াল ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ের ফলে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক খরচ কমে গিয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা

• তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে প্রায় সকল কাজ করা যাচ্ছে।
• তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
• প্রতিনিয়ত প্রতিটা কাজের গতি চরমভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
• কম সময়ে বেশি তথ্য স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে, ফলে খরচ কম হচ্ছে।
• যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নত হয়েছে।
• সময় ও কাজের অপচয় কম হচ্ছে।
• তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের ফলে ব্যবহারকারী এবং দ্রব্য উৎপাদকের মধ্যে সমন্বয় ঘটছে।
• বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাসে অংশ গ্রহন করতে পারছে।
• খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটার সুবিধা পাচ্ছে।
• প্রতিটা মানুষের শক্তির অপচয় কম হচ্ছে।
• সহজে তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ করতে পাচ্ছে।
• দিন দিন মানুষের মানুষের দক্ষতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসুবিধা

• তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে প্রায় সকল কাজ করা যাচ্ছে।
• তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
• প্রতিনিয়ত প্রতিটা কাজের গতি চরমভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
• কম সময়ে বেশি তথ্য স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে, ফলে খরচ কম হচ্ছে।
• যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নত হয়েছে।

1 COMMENT

  1. বর্তমান সময়ে সারা দুনিয়া তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল এবং আগামী বিশ্ব আরও বেশি নির্ভরশীল হতে চলেছ। তাই তথ্য প্রযুক্তিকে ভালভাবে জানা সকলের জন্যই জরুরী। তাহলে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে একে মানব জাতির উপকারে কাজে লাগাতে পারবো। তাছাড়া তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে বর্তমানে ঘরে বসে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের অফিস বা ব্যাক্তির কোন কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে যাকে আউটসোর্সিং বলে। আউটসোর্সিং শিখতে হলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ভালভাবে বুঝতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here