তর্কের মাধ্যমে জয়ী না হয়ে কাজের মাধ্যমে জয়ী হওয়াটাই সফল মানুষের বৈশিষ্ট। এটিই হচ্ছে বুদ্ধিমানের প্রকৃত কাজ। এখন পর্যন্ত এই পৃথিবীতে যত মানুষ কিংবদন্তী হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে বেঁচে আছে, তারা সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজের মধ্যে জয়ী হয়েছে, তর্কের মধ্যে নয়।
সফল হতে কে নাই চাই? ভালো একটা পজিশনে কেইবা যেতে নাই চাই? বড় হওয়ার স্বপ্ন সবার মাঝেই আছে, যতেষ্ট পরিমাণে আয় করে সুখীভাবে ঘোরাঘুরি করতে সবাই চাই। কিন্ত প্রশ্ন হলে, আমরা কি সেইভাবে আগাচ্ছি, যথেষ্ট পরিশ্রম করছি, সঠিক পথে পা রেখেছি? এইরকম প্রশ্নের উত্তর খুব কম মানুষই দিতে পারবে, তারমানে একদিন তারাই সফল হবে। অতীতে যারা সফল হয়েছেন, বর্তমানে যারা আছেন, এবং ভবিষ্যতে যারা উচ্চতর পজিশনে পদার্পণ করবেন, কখনো তাদেরকে নিয়ে কেস স্টাডি করেছেন? তাদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা আছে কি? কিভাবে তারা সফল হয়েছে? অনেক কষ্টের কাজকে তারা জয়ী করেছেন, কিন্ত কিভাবে? তাহলেই বুজতে পারবেন সফলতা কাকে বলে, আর অযথা তর্ক করার কুফল।
আপনাকে তাদের সম্পর্কে জানা উচিত যদি জীবনে ভালো কিছু করতে চান, সুখী থাকতে চান, সবার কাছে ভালোবাসার পাত্র হতে চান এবং তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখা উচিত। রিসার্চ করে দেখবেন সফল ব্যক্তিরা কখনও তর্কের মাধ্যমে জয়ী হয় নি, কাজের মাধ্যমেই প্রকৃত জয়ী হয়েছেন।
অযথা তর্ক করার কুফলঃ
অধিক প্রশ্ন, তর্ক-বিতর্ক, যে কোনো কথা বা কাজ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা জঘন্য বদঅভ্যাস। এর ফলে মানুষের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, আত্ম-অহমিকা, গোড়ামি-কপটতা এমনকি প্রাণহানির মতো মারাত্মক কু-প্রভাব বিস্তার লাভ করে। তাছাড়া হরামকে হালাল আবার হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা হয়। মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধী সে ব্যক্তি, যে এমন জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা হারাম ছিল না, কিন্তু তার জিজ্ঞাসাবাদের কারণে তা হারাম হয়ে যায়।
অথতা তর্ক বিতর্কে জড়াবেন না। তর্ক বিতর্ক কখনও সুফল বয়ে আনে না। যারা কথা কম বলে, হাদিসে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। কম কথা বলা বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানের পরিচায়ক। যে কথা কম বলে, সে অনেক ধরনের অনর্থক বিষয় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। গিবত-পরনিন্দা-মিথ্যা-অশ্লীল কথাবার্তা ইত্যাদি নানা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকাও তার পক্ষে সম্ভব হয়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে সফল ব্যক্তিরা সবসময় কম কথাই বলতেন।
আপনি যদি অন্য মানুষের জীবন দেখে শিক্ষা লাভ করেন তাহলে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। অন্যের ভুল থেকে শিখার চেষ্টা করুন, নিজে কখন ভুল করবেন, তার থেকে কবেই বা অভিজ্ঞতা নিবেন এবং আবার শুরু করবেন। শুধু সময় অপচয় হবে। তারচেয়ে বরং অন্যের ভুল গুলো থেকে শিক্ষা লাভ করুন।
কিছু সফল মানুষদের কে নিয়ে রিসার্চ করুন। তাদের জীবনী পড়ুন, গভীরভাবে বুঝার চেষ্টা করো। এই পৃথিবীতে ভালো মানুষদের জন্য জীবনটা সহজ নয়, মেনে নিন, আর অস্থায়ী সুখের পিছনে না গিয়ে স্থায়ী সুখের পিছনে যান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা সর্বদা ইতিবাচক চিন্তা করুন, ভালো মানুষদের সাথে চলুন।