চুলের যত্ন নেওয়ার টিপস
চুলের যত্ন নেওয়ার টিপস

চুলের যত্ন নেওয়ার টিপস খুজছেন, কিভাবে সঠিক উপায়ে চুলের যত্ন নিবেন, এই সম্পর্কে কার্যকরী ধারণা প্রয়োজন, তাহলে সঠিক স্থানে এসেছেন। এখানে  আপনি চুলের যত্ন নেওয়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আমরা সবাই জানি, চুল আমাদের সৌন্দর্যের প্রতীক গুলো মধ্যে অন্যতম। সুন্দর, ঘন, কালো কালো, লম্বা চুল কে না চাই। তবে এই সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য অবশ্যই চুলের সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিতে হবে। চুল পড়ে গেলে সবাই আফসোস করে বা অনেকের মন খারাপ হয়ে থাকে, কিন্ত আদৌ কি চুল পড়ার কারণ গুলো চিহ্নিত করেছি, কিভাবে সঠিক উপায়ে পরিষ্কার পরিছন্ন ও ভালো রাখা যায় এই সম্পকে ধারণা আছে কি আমাদের। প্রকৃতপক্ষে দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্তার কারণে নিয়মিত চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রায় অনেকের কাছেই অসম্ভব। হ্যাঁ চুল সুস্থ সুন্দর ও ভালো রাখতে প্রানবন্ত ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে এবং সেইটা সঠিক ও কার্যকরী উপায়ে হতে হবে।

যদি আপনি চুল সুস্থ, ঘন ও খুশকিমুক্ত রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই যত্ন নিতে হবে। মাথা ঘাম মুক্ত রাখুন, নিয়মিত তোয়ালে, চিরুনি, বালিশের কাভার পরিষ্কার করুন। তাই এই আর্টিকেলে আমরা জানবো চুলের যত্ন নেওয়ার ৭টি দরকারি টিপস, যার ফলে খুব সহজেই চুল পড়া কমিয়ে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো এবং চুলের গুড়া শক্ত ও মজবুত করাসহ অসাধারণ ও মসৃণ চুল হিসেবে রাখতে পারবো।

চুলের যত্ন নেওয়ার ৭টি টিপস

০১। চুলের যত্নে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
০২। সবসময় চুল সুরক্ষিত ও পরিষ্কার রাখুন।
০৩। মাঝেমাঝে ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
০৪। বিশুদ্ধ নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।
০৫। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়াবেন না।
০৬। অতিরিক্ত হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
০৭। মাঝেমাঝে চুলের যত্নে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

১। চুলের যত্নে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

চুলের যত্ন নেওয়ার প্রথম ও প্রধান ধাপ হচ্ছে নিয়মিত পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। কারণ পুষ্টিকর খাবারের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। চুলের গোঁড়া শক্ত ও মজবুত করার জন্য, কালো ঘন ও সুস্থ সুন্দর চুলের জন্য আপনাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

০২। সবসময় চুল সুরক্ষিত ও পরিষ্কার রাখুন।

চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হচ্ছে সবসময় সুরক্ষিত ও পরিষ্কার রাখা। যেকোনো জিনিস যদি সঠিক ও সুন্দর উপায়ে না ব্যবহার করেন বা অপরিষ্কার রাখেন, তাহলে সে জিনিসটা খুব তারাতারি নষ্ট হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ঠিক চুলের ক্ষেত্রে ও এটি প্রযোজ্য, অর্থাৎ আপনাকে প্রতিনিয়ত, ধুলা বালু ও ময়লা থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে, এবং বাহিরে কোথায় বের হলে, বাসার আসার সাথে সাথে পরিষ্কার করতে হবে। তাহলেই আপনার চুল সুস্থ সুন্দর থাকবে।

০৩। মাঝেমাঝে ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে অনেক ক্ষতি হয় এবং চুল পড়ার অন্যতম কারণই হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা। তবে ভালো মানের শ্যাম্পুর উপকারিতা ও রয়েছে যথেষ্ট। চুল পরিষ্কার রাখতে ও খুসকি দূর করতে ভালো মানের শ্যাম্পু অনেক অবদান রাখে। তাই সবসময় এক কোম্পানির শ্যাম্পু এবং ২/৩ দিন পর পর ভালোভাবে সঠিক নিয়মে ম্যাসেজ করবেন। এর ফলে চুলের গোঁড়া শক্ত ও মজবুত হয়, ময়লা দূর হয় এবং চুলকে করে তুলে আরও সুন্দর ও মসৃণ। বর্তমানে ছেলেদের জন্য ভালো শ্যাম্পু গুলো হচ্ছে, ক্লিয়ার, ডাব ইত্যাদি। তারপরেও দেখে শুনে নিবেন।

০৪। বিশুদ্ধ নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।

চুল ভালো রাখার জন্য, সঠিক উপায়ে যত্ন নেওয়ার জন্য এবং চুল পড়া কিছুটা প্রতিরোধ করার জন্য, অবশ্যই আপনাকে বিশুদ্ধ নারিকেল তেল ব্যবহার করা উচিত। চুল ভালো রাখার জন্য এটি অনেক উপকারি। ১০০ গ্রাম নারকেল তেলে ৮৯০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে শুকানোর পর, নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য জন্য অনেকটাই কার্যকরী ও উপকারি।

০৫। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়াবেন না।

ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন। কারণ ভেজা চুল সবথেকে ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। ভেজা অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে চুলের গোড়া নরম হয়ে থাকে, একটু বেশি চাপ পড়লে উঠে যেতে পারে। এবং গোসল করার সময়ে ভিজে থাকার ফলে চুল ভেঙে যাওয়া সবচেয়ে সহজ তাই শ্যাম্পু করার সময় চুলে বেশি চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়। তাছাড়া গোসল করার পর সাথে সাথে আছড়ানো থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

০৬। অতিরিক্ত হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আমরা অনেক সময় চুলের স্টাইল করতে বা চুলের যত্নে অনেক ধরনের উপায় অবলম্বন করি। অনেকে আবার অতিরিক্ত হিট এর মাধ্যমে চুলের যত্ন নিতে চাই ও বিভিন্ন ধরনের স্টাইল করতে চাই, যা চুলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাপ চুলকে ভেঙে যেতে সহায়তা করে এবং চুলের গোঁড়ায় অনেক চাপ সৃষ্টি করে ফলে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা বেশি, তা অতিরিক্ত হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

০৭। মাঝেমাঝে চুলের যত্নে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

চুলের যত্নে আমরা অনেক প্রয়োজনীয় উপায় অনুসরণ করি আবার মাঝে মাঝে অপ্রয়োজনীয় ও অকার্যকরী কিছু জিনিস মেনে চলি না জেনে বা বুঝে। যার ফলের একটা সময় চুলের জন্য অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, অর্থাৎ খুব বেশি পরিমাণে চুল উঠতে থাকার কারণে টাক হয়ে যায়, যা ভালো দেখাই না। তাই আমাদের উচিত, প্রতি ৬ মাস পর পর ভালো এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো। এরফলে আপনি জানতে পারবেন চুলের বর্তমান কি অবস্থা, চুল কি সব পড়ে যাচ্ছে কিভাবে কার্যকর ভাবে প্রতিরোধ করা যায় এবং আরও নিয়মাবলী। তাই চেষ্টা করবেন মাঝে মাঝে চুলের যত্নে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আরও জানুন – 

চুল পড়ার কারণ ও কার্যকরী সমাধান

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের ১০টি উপকারিতা

মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ১০টি উপকারিতা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here