ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় গুলো জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য, এখানে আপনি জানতে পারবেন ওজন কমানোর ৭টি কার্যকরী উপায়। যার ফলে খুব সহজেই আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে ও কমাতে পারবেন। তাহলে এখনই জেনে নিন ওজন কমানোর ৭টি কার্যকরী উপায় গুলো সম্পর্কে।

আসলে ওজন বেশি হওয়ার অনেক অসুবিধা রয়েছে। চলা ফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়, কাজ কাম ও ঠিক ভাবে করা যায় না, আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। তাইতো সবাই চাই ওজন কমানোর জন্য বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কারণ যখন আপনার দেহের ফিটনেস উপযুক্ত থাকবে, তখন কিন্ত আপনি সব কিছু খুব সহজেই করতে পারবেন, যেকোনো কাজ করতে সক্ষম হবেন। এছাড়া আপনাকে দেখতে ও অনেক সুন্দর ও ভালো লাগবে। তাই সবারই উচিত শরীরের ফিটনেস সবসময় উপযুক্ত রাখা, বিশেষ করে ছেলেদেরকে অবশ্যই শরীর ঠিক রাখা উচিত।

ওজন কমানোর ৭টি উপায়

০১। সবসময় খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
০২। মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিন।
০৩। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
০৪। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
০৫। শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
০৬। সকালে হাঁটার চেষ্টা করুন।
০৭। ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

০১। সবসময় খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ওজন কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী অন্যতম হচ্ছে খাবার নিয়ন্ত্রণ রাখা। অর্থাৎ বলা যায়, তিন ধরনের খাবার রয়েছে ১। অপুষ্টিকর খাবার, ২। ওজন বাড়ানোর পুষ্টিকর খাবার, এবং ৩। ওজন কমানোর পুষ্টিকর খাবার। তাহলে বুঝতেই পারছেন খাবার নিয়ন্ত্রণ রাখা ওজন কমানোর জন্য কতটা কার্যকরী উপায়। প্রথম কথা হচ্ছে আপনি অপুষ্টিকর বা স্বাস্থ্যকর না এমন খাবার খাবেন না, খেলে নিশ্চিত অসুস্থ হয়ে পরবেন। আর পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অবশ্যই আপনাকে বাঁচায় করে খেতে হবে। অর্থাৎ ফ্যাট আছে বা বেশি ক্যালরি আছে অথবা যে খাবার গুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, এইগুলো খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আর অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার গুলো নিয়মিত খেতে হবে। তাহলেই একটি উপযুক্ত ফল পাবেন।

০২। মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিন।

হ্যাঁ, ওজন সঠিকভাবে কমাতে চাইলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিন। যেকোনো বয়সের বা যে কারোর ওজন বাড়াতে পর্যাপ্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে দিন। আর যেহেতু আপনি ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাহলে এইসব খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। কারণ মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো শরীর ইন্সুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইন্সুলিন হল শরীরে চর্বি সংরক্ষণ করার প্রধান হরমন। দেহে ইনসুলিন বেড়ে গেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে দৈনন্দিন খাওয়া খাবার গুলো শরীরে থেকে যায় এবং ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাহলে ওজন কমানোর জন্য বা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার ছেড়ে দিতে হবে।

০৩। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন। কারণ বেশি পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের ওজন অনেকটা কমে যায়। দেহের অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য বিশুদ্ধ পানি অনেকটা ভূমিকা রাখে। পানি শরীরে জমে থাকা টক্সিন এবং শর্করাকে শরীর থেকে বার করে দিতে সক্ষম। বেশি পরিমাণে পানি পান করলে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের এই সমস্ত ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে শুধু যে শরীরকে সুস্থ মনে হয় তা-ই নয়, পাশাপাশি মেদও কমে। ওজন বাড়ার খাবার গুলো না খেয়ে থাকতে হবে, আর তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে যদি পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তাহলে শরীরের শক্তিও যোগায় সাথ ওজন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।

প্রতিদিন কত লিটার পানি পান করা উচিত ও উপকারিতা গুলো জানতে, এখানে ক্লিক করুন!

০৪। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

ওজন কমানোর জন্য সবাই সর্ব প্রথম শারীরিক ব্যায়াম করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়, গুরুত্বপূর্ণ, কার্যকরী উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি অন্যতম উপায় হচ্ছে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা। অর্থাৎ শারীরিক ব্যায়াম করার ফলে আপনি আপনার মেদ ও অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই কমাতে পারবেন। আপনি জিম করতে পারেন বা জগিং করতে পারেন অথবা যৌগ ব্যায়াম করতে পারেন। ১/২ মাসের জন্য একটা রুটিন তৈরি করতে হবে।

একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন, সেটা হচ্ছে নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করবেন, তাহলেই উপযুক্ত একটি ফল পাবেন। মনে রাখবেন শারীরিক ব্যায়াম করা কিন্ত অনেকটা কষ্টকর একটি কাজ, তারপরেও আপনাকে ধৈর্য সহকারে করে যেতে হবে। এটি সত্যিই অনেক কার্যকর একটি উপায়। ওজন কমানোর জন্য এই ধাপটি অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে।

০৫। শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।

শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমেও দেহের মেদ কমানো যায়। অনেক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, কারোর যদি ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকে বা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, তাহলে শারীরিক পরিশ্রমের কোন একটা কাজে লেগে থাকা উচিত। বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করলে দেহের অতিরিক্ত মেদ কমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এটি ব্যায়াম করার সাথে কিছুটা মিল আছে, অর্থাৎ জিম করতে বা জজ্ঞিং করতে কিন্ত পরিশ্রম প্রয়োজন হয়, ঠিক এইরকম কোন পারিশ্রমিক কাজে ২/৩ মাসের জন্য আপনার লেগে থাকা দরকার। তাহলেই ওজন যথেষ্ট পরিমাণে কমে যাবে। তাই ভালো একটা শারীরিক পরিশ্রম কাজে লেগে থাকতে পারেন, একটু বেশি পরিশ্রম করলে মেদ খুব তারতারি কমে যাবে।

০৬। সকালে হাঁটার চেষ্টা করুন।

ওজন কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি কার্যকরী ধাপ হচ্ছে নিয়মিত সকালে হাঁটা। সব ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা সবচেয়ে সহজ ও উপকারি। প্রতিদিন সকালে হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করুন, কারণ ওজন কমাতে হাঁটার কোন বিকল্প নাই। সকালে হাঁটার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন সুস্থ হৃদপিণ্ড, সুন্দর জীবন গঠন করতে, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, ওজন নিয়ন্ত্রণে বা কমাতে, জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি করতে ও পায়ের শক্তি বাড়াতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। সব গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওজন কমাতে এটি বেশ সহায়ক। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন পার্কে অথবা খোলা মেলা রাস্তায় নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। তাহলেই একটা উপযুক্ত ফলাফল পাবেন, অর্থাৎ খুব সহজেই আপনি ওজন কমাতে পারবেন।

০৭। ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হ্যাঁ, সবকিছু করার পর ও যদি আপনি ওজন কমাতে ব্যর্থ হন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ওজন বেড়ে থাকে অনেক কারণে, অনিয়মিত খাবারের জন্য ও হতে পারে বা বিভিন্ন রোগের জন্য ও হতে পারে। উপরে ওজন কমানোর জন্য যে ৬ টা ধাপ দেখে আসছেন, এইগুলো সত্যিই অনেক কার্যকর ধাপ। কিন্ত এইগুলো করার পরও যদি ঠিক ঠাক ভাবে আপনার মেদ না কমে, তাহলে আর কিছু না করে ভালো একটা ডাক্তারের কাছে চলে যান। ডাক্তারের পরামর্শ নিন, তাহলেই সব কিছু ঠিক যাবে। আশা করি, এখানে আপনি ওজন কমানোর সেরা টিপস গুলো পেয়েছেন যা আপনি বাস্তব জীবনে খুব সহজেই কাজে লাগাতে পারবেন।

আশা করি, ওজন কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here