যেসব খাবারে ওজন বাড়ে জেনে নিন। আপনি কি ওজন বাড়াতে চান? আরও স্বাস্থ্যবান ও মোটা হতে চান? দেহের কাঠামো বেশ মোটা ও শক্তিশালী করতে চান এবং ফিটনেস উপযুক্ত রাখতে চান? তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন, এখানে আপনি জানতে পারবেন যে ১০টি খাবার খেলে ওজন বাড়ে।
ওজন বাড়ানোর টিপস দেখে অনেকে অবাক হচ্ছেন তাইতো, হ্যাঁ অবাক হওয়ার কিছু নাই। অনেক মানুষ আছে যারা ওজন বাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে থাকে। শরীর হালকা, চিকন, দেহের ওজন কম হলে, দেখলে রোগা মনে হয় এবং এখানে কিছু অসুবিধা ও রয়েছে। তাই তারা ওজন বাড়াতে চাই, সঠিক পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যবান হতে চায়।
আর প্রকৃতপক্ষে পরিশ্রমী ছেলেদের অবশ্যই ওজন বাড়ানো উচিত, শক্তিশালী হওয়া উচিত। কারণ বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করলে শরীর থেকে অনেক ক্যালরি শেষ হয়ে যায়, তাই নিয়মিত খাওয়া উচিত। তাহলে জেনে নিন ১০টি খাবারের নামে যা খেলে প্রতিনিয়ত ওজন বাড়বে ও ভালো দেখাবে।
যে ১০টি খাবার খেলে ওজন বাড়ে
০১। কিচমিচ।
০২। খিচুড়ি।
০৩। সেদ্ধ আলু।
০৪। বিরিয়ানি।
০৫। গরুর মাংস।
০৬। চিকেন ফ্রাই।
০৭। “ফ্যান” ভাত।
০৮। প্রচুর শাক সবজি।
০৯। পিনাট বাটার।
১০। ভাঁজা খাবার।
০১। কিচমিচ।
ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী খাবার হচ্ছে কিচমিচ। অর্থাৎ কিচমিচে রয়েছে এমন সব উপাদান যার ফলে, শরীরে যথেষ্ট শক্তি যোগাতে ও দেহের ওজন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিচমিচ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তাঁর মধ্যে ওজন বাড়ানোর কাজটা অন্যতম। প্রতিদিন রাতে একটি গ্লাসে পানি নিয়ে সেখানে ২৫/৩০ টি কিচমিচ ভিজিয়ে রাখুন সকাল পর্যন্ত। সকালে ঘুম থেকে উঠে এই কিচমিচ গুলো অনেক বড় বড় হয়ে আছে, তারপর খালি পেটে কিচমিচ গুলো খেয়ে ফেলবেন, ভিজানো পানিটা ও খেতে পারেন। এইরকম ১/২ মাস করে দেখবেন আপনার শরীরের ওজন অনেক বেড়ে গেছে এবং আহের চেয়ে শরীর অনেক শক্তিশালী, সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান মনে হবে।
০২। খিচুড়ি।
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে। সকাল, দুপর, বিকাল ও রাতে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের খাবার বিশেষ করে এই লিস্টের যে ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হয়েছে এইগুলো খেতে হবে। মোটা বা দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য সকালে খিচুড়ি দিয়ে শুরু করতে পারেন। ডিম খেলেও ওজন বাড়ে তবে, প্রতিদিন নিয়মিত ভালো এক প্লেইট খিচুড়ি খেতে পারলে। তাই আপনি যদি ওজন ভালোভাবে বৃদ্ধি করতে চান, তাহল নিয়মিত সকালে ব্রেকফাস্টের সময় খিচুড়ি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে
০৩। সেদ্ধ আলু।
যেসব খাবারে ওজন বাড়ে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সেদ্ধ আলু। আলু আমাদের অনেকেরই প্রিয় একটা খাবার। আলু একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। এটি এমন একটা সবজি, যেইটা অনেক ভাবে খাওয়া যায়। এতে একদিকে যেমনি ভাতের মতো শর্করা আছে তেমনি সবজির মতো ফাইবার বা তন্তু, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ্জ প্রোটিন আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে শর্করা আছে ১৯ গ্রাম, খাবার আঁশ ২.২ গ্রাম, উদ্ভিদ প্রোটিন ২ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫২ গ্রাম যার মধ্যে পটাশিয়াম লবণই ০.৪২ গ্রাম, এবং ভিটামিন ০.০২ গ্রাম। এছাড়াও আরও অনেক উপাদান রয়েছে। যদি প্রতিদিন সকালে সেদ্ধ আলু ২/৩ টা খান অথবা আলুর ভর্তা খান, তাহলে এটি ওজন যথেষ্ট সাহায্য করবে।
০৪। বিরিয়ানি।
হ্যাঁ, ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত বিরিয়ানি খেতে পারেন। যদিও বিরিয়ানি খাওয়াটা একটু খরচ সাপেক্ষ, তারপরে ও এটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে শরীরের ওজন বাড়াতে। আপনি ইচ্ছা করলে প্রতিদিন দুপরে অথবা বিকালে ১ প্লেট করে বিরিয়ানি খেতে পারেন। এটি ওজন বাড়াতে অনেকখানি সহায়তা করে। কারণ এটিতে রয়েছে অনেক দরকারি উপাদান যা শরীর আরও স্বাস্থ্যবান ও ওজন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত না পারলে ২ দিন পর পর ভালোমানের বিরিয়ানি খাওয়ার চেষ্টা করুন ১/২ মাস পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কিভানে ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
০৫। গরুর মাংস।
ওজন বাড়াতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে গরুর মাংস। গরুর গোশত প্রোটিনের সম্পূর্ণ উৎস (অর্থাৎ ২০টি অ্যামিনো এসিডই এতে পাওয়া যায়), এবং মানুষের বহু প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ও খনিজ লবণ এতে বিদ্যমান। ফলে দেহ আরও স্বাস্থ্যবান ও ওজন বাড়াতে বিশেষ সহায়তা করে থাকে। আমরা অনেকেই মোটামোটি ধারণা করে থাকি যে গরুর মাংস একটি ক্ষতিকর খাবার যা এড়িয়ে চলা উচিত। আসলে এড়িয়ে চলা উচিত নয়, তবে কম মাত্রায় খাওয়া প্রয়োজন। দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হল, ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। অর্থাৎ আমরা যা স্বাভাবিক টুকরো দেখি, এইরকম ২/৩ টা খাওয়া যেতে পারে।
০৬। চিকেন ফ্রাই।
চিকেন ফ্রাই হচ্ছে আরেকটি অসাধারণ, জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাবার। চিকেন ফ্রাইতে প্রচুর ফ্যাট রয়েছে। প্রতিদিন বিকালে ১টা করে চিকেন ফ্রাই খেলে, অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। শরীর মোটা, ওজন বাড়াতে ও সুন্দর দেহ গঠন করতে এর ভূমিকা অনন্য। চিকেন ফ্রাই একটি ফাস্ট ফুড খাবার। আর প্রায় সকল ফাস্ট ফুড খাবারই শরীরের ওজন বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা রাখে, তবে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকেন ফ্রাই। তাই চেষ্টা করুন মাত্র ১ করে হলেও চিকেন ফ্রাই খাওয়ার।
০৭। “ফ্যান” ভাত।
০৮। প্রচুর শাক সবজি।
০৯। পিনাট বাটার।
১০। ভাঁজা খাবার।
আরও জানুন –
